৯ মে ২০১৮, বুধবার, ৮:০৬

সুন্দরবনের প্রান্ত টেংরাগিরিতে আবার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

* বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্বেগ
* পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ এ উদ্যোগ প্রত্যাহারের আহ্বান

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বরগুনার টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সন্নিকটে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে (পিপিএ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।

পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ উদ্যোগ অবিলম্বে বাতিলের আহবান জানিয়েছে টিআইবি, বাপা ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা এই উদ্বেগ জানায়।
দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি বন আজ বিপন্ন: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি বনের অসংখ্য গাছ মরে যাচ্ছে। তীব্র ভাঙনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুন্দরবন খ্যাত এই বনের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। তার উপরে যদি আবার নতুন করে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয় তবে এই বন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা।
পরিবেশ-প্রতিবেশের পরিবর্তনে আয়তন কমছে সংরক্ষিত বন টেংরাগিরির। এই বনাঞ্চলে প্রতিবছর মরছে অসংখ্য গাছ। ১৫ বছর ধরে এই অবস্থা চলছে। কিন্তু প্রকৃতির এই বিপদ থেকে বনটিকে রক্ষায় বন বিভাগের কোনো উদ্যোগ নেই।

পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, টেংরাগিরি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে। তেমনি পরিবেশ-প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এই বনের ভূমিকা অপরিসীম। টেংরাগিরির অস্তিত্ব বিলীন হলে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বনের অস্তিত্ব রক্ষায় কোনো উদ্যোগ না থাকাটা দুঃখজনক। বরগুনার তালতলী উপজেলা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত পর্যন্ত বিস্তৃত এই বন। বন বিভাগের খাতায় ‘টেংরাগিরি বনাঞ্চল’ হলেও স্থানীয়ভাবে এটি ‘ফাতরার বন’ নামে পরিচিত। ১৯৬৭ সালে এই নামকরণ করা হয়। তখনকার হিসাব অনুযায়ী, বরগুনার বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে চোখজুড়ানো এই বনের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ একর।
১৯২৭ সালের জরিপ অনুযায়ী, ১৯৬০ সালের ১২ জুলাই তৎকালীন সরকার এটিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করে। লবণাক্ত ও মিষ্টি মাটির অপূর্ব মিশ্রণের কারণে এই বনে গেওয়া, জাম, ধুন্দল, কেওড়া, সুন্দরী, বাইন, করমচা, বলই কেওয়া, গরানগাছের সমারোহ। এখানে বসত গড়েছে হাজারো প্রজাতির প্রাণী। অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে সোনাকাটা ইকোপার্ক পর্যটনকেন্দ্র। কিন্তু একের পর এক গাছের মৃত্যু প্রকৃতি ও মানুষের এসব আয়োজনকে ভন্ডুল করতে বসেছে।

বন বিভাগ বলছে, এই বনে গাছের মৃত্যুর কারণ শ্বাসমূলে বালু জমে যাওয়া ও ভূমিক্ষয়। প্রবল ঢেউয়ে উপকূলে পাড় ভাঙছে, গাছের গোড়ার মাটি ও বালু সরে গিয়ে শিকড় শুকিয়ে যাচ্ছে। তীব্র ভাঙনে বনে প্লাবনভূমির পরিমাণ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। এতে এসব শ্বাসমূলীয় গাছ ঠিকভাবে অক্সিজেন নিতে না পারায় পাতা ও কা- হলদে হয়ে প্রথমে সজীবতা হারায়, পরে মরে বিবর্ণ হয়ে যায়। যদি উপকূলীয় বনে ব্যাপক পলি পড়ে, গাছের শ্বাসমূল ঢেকে যায়, তাহলে সেসব গাছ মারা যাবে। ১৫ বছর ধরে এই ভাঙন অব্যাহত আছে। বনের ২১ কিলোমিটারজুড়ে প্রতিবছর দ্রাঘিমাংশ ২ সেকেন্ড করেভাঙছে। অর্থাৎ ভাঙনের কারণে ওই এলাকায় সাগর বছরে গড়ে ২৫০ মিটার বনের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। বন বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো শ্বাসমূলীয় বনের গঠনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তর আছে। শুরুতে উপকূলে ভূমি গঠনের পর উড়িগাছ জন্মায়, তারপর ভূমি কিছুটা শক্ত হলে উড়িগাছ মরে গিয়ে কেওড়া-গেওয়া জন্মায়। মাটি আরও শক্ত হলে আগের গাছগুলো মরে গিয়ে সেখানে সুন্দরী, গরানসহ অন্যান্য গাছ জন্মায়। তাই ফাতরার বনে গাছ কেন মারা যাচ্ছে, তা জানতে দ্রুত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান প্রয়োজন। ভাঙনরোধ ও গাছ মরে যাওয়ার বিষয়ে এখনই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিত সংরক্ষিত টেংরাগিরি বন থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে ৩০৭ মেগাওয়াটের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইসোটেক ও বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠান।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ইতিমধ্যে ২৫ বছর মেয়াদী পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) করেছে। অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ এর ৭(৪) ধারা অনুযায়ী, ‘লাল’ শ্রেণিভুক্ত যেকোনো শিল্প স্থাপনে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) সাপেক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা ছাড়াই এই কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন নিষেধ হলেও তা অমান্য করে একতরফা এ ধরনের উদ্যোগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে দেশের আইনের উদ্বেগজনক লঙ্ঘন। অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রাপ্তির বিষয়ে পিডিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভিন্ন বক্তব্য পুরো বিষয়টির ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সমন্বয়ের সুস্পষ্ট ঘাটতি নির্দেশ করে। তাছাড়া, একই এলাকায় পর্যায়ক্রমে আরও একটি ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সাংবিধানিক ও আইনি বাধ্যবাধকতাকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
ড. জামান বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সাংবিধানিক ও আইনি বাধ্যবাধকতাকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আইন ও সংবিধান রক্ষায় সরকার যেখানে অঙ্গীকারাবদ্ধ সেখানে এই ধরনের উদ্যোগ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান পিডিবি’র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি দুর্ভাগ্যজনক।

নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সুখ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথভাবে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) না করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর নামে এসব কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত বনাঞ্চলকে আরো ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলে ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণের জীবন, জীবিকা ও জীববৈচিত্র্যকে আরো ঝুঁকিতে কেন ফেলা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়। আত্মঘাতি এ উদ্যোগ অবিলম্বে বাতিলের জন্য টিআইবি আহ্বান জানাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের অক্টোবরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় টেংরাগিরি বনাঞ্চলকে বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা টেংরাগিরি বনাঞ্চল অতীতে সুন্দরবনের অংশ ছিল। ১৯৬০ সালে টেংরাগিরি বা ফাতরার বনকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। গেওয়া, জাম, ধুন্দুল, কেওড়া, সুন্দরী, বাইন, করমচা, গরান প্রভৃতি গাছের সমারোহ ছাড়াও এ বনে বসত গড়েছে কাঠবিড়ালি, বানরসহ প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রাণি। ইতিমধ্যে টেংরাগিরি বনের গাছ কেটে উজার করছে বনদস্যুরা। এ ছাড়া, জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন বৃক্ষ মারা যাওয়ায় এমনিতেই বনটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ছাড়পত্র ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে টিআইবির উদ্বেগ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে পরিবেশ ও প্রতিবেশ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ উদ্যোগ অবিলম্বে বাতিলের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের অক্টোবরে পরিবেশ ও বনমন্ত্রণালয় টেংরাগিরি বনাঞ্চলকে বন্য প্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা টেংরাগিরি বনাঞ্চল অতীতে সুন্দরবনের অংশ ছিল। ১৯৬০ সালে টেংরাগিরি বা ফাতরার বনকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। গেওয়া, জাম, ধুন্দুল, কেওড়া, সুন্দরী, বাইন, করমচা, গরান প্রভৃতি গাছের সমারোহ ছাড়াও এ বনে বসত গড়েছে কাঠবিড়ালি, বানরসহ প্রায় ৪০ প্রজাতির প্রাণি।
এদিকে টেংরাগিরি বনের গাছ কেটে উজার করছে বনদস্যুরা। এ ছাড়া, জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন বৃক্ষ মারা যাওয়ায় এমনিতেই বনটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে রয়েছে। ছাড়পত্র ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে টিআইবির উদ্বেগ প্রকাশ করে। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, পরিবেশগত প্রভাব নিরূপন সমীক্ষা ও কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা ছাড়াই টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সন্নিকটে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে বন্ধ করা দাবি করেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭ এর ৭(৪) ধারা অনুযায়ী, ‘লাল’ শ্রেণীভুক্ত যেকোনো শিল্প স্থাপনে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) সাপেক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা না মেনেই এই কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন নিষেধ হলেও তা অমান্য করে একতরফা এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইনি বাধ্যবাধকতাকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। তাছাড়া অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রাপ্তির বিষয়ে পিডিবি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ভিন্ন বক্তব্য পুরো বিষয়টির অব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়ের ঘাটতি এক্ষেত্রে প্রতিয়মান। একই এলাকায় পর্যায়ক্রমে আরও একটি ৩০৭ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সুখ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথভাবে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) না করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর নামে সংবিধান এবং আইন লঙ্ঘন করে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাছের অভয়ারন্য বিনাশী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজার ধ্বংসকারী মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দক্ষিণ বাংলায় এ ধরনের প্রাণ ও প্রতিবেশ বিধ্বংসী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত বনাঞ্চলকে আরো ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলে ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণের জীবন, জীবিকা ও জীববৈচিত্র্যকে আরো ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। তাই পরিবেশ ও জনবিরোধী এ ধরণের কয়লা ভিত্তক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে।

http://www.dailysangram.com/post/329743