৭ মে ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৫

পবিত্র রমযান এবং নিত্যপণ্যের মূল্য

আশিকুল হামিদ : পবিত্র রমযান শুরু হতে এখনো দিন দশেক বাকি রয়েছে। বাংলাদেশে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এরই মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ী-মহাজনদের তৎপর হয়ে ওঠার কথা। প্রকাশিত বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে, তাদের সে তৎপরতা শুরুও হয়ে গেছে। এটাই ‘স্বাভাবিক’ হলেও এবারের রমযানে কিন্তু বাজার পরিস্থিতি অন্য রকম হওয়ার কথা ছিল। এর কারণ, অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বয়ং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, মজুদদারি বা কালোবাজারির মতো কোনো কর্মকান্ড যারা চালাবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি দেয়া হবে। মন্ত্রী প্রসঙ্গক্রমে জানিয়েছিলেন, দেশ যদিও মুক্তবাজার অর্থনীতির ফর্মুলাতেই চলবে কিন্তু চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সমন্বয় ও সামঞ্জস্য বিধান করা হবে বলে এবারের রমযানে কোনো পণ্যেরই দাম বাড়বে না। তাছাড়া টিসিবিকে দিয়ে খোলাবাজারে জরুরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করার মাধ্যমেও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

এটা কিন্তু খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। গত মাস এপ্রিলের ১৮ তারিখের সংবাদপত্রে বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল। একইদিন প্রকাশিত অন্য এক খবরে জানানো হয়েছিল, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের রমযানে পণ্যের মূল্য নাকি মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে। এমন মন্তব্যের কারণ হিসেবে দৈনিকটি জানিয়েছিল, পবিত্র রমযানে প্রধান যে পাঁচটি পণ্যের চাহিদা ও মূল্য অনেক বেড়ে যায় সেই ছোলা, ভোজ্য তেল, চিনি, খেজুর এবং পেঁয়াজের মজুদ দেশে নাকি কয়েকগুণ পর্যন্ত বেশি রয়েছে। একযোগে এগিয়ে চলেছে আমদানির কার্যক্রমও। এসবের কিছু কিছু পণ্য এখন বাংলাদেশের পথে রয়েছে এবং রমযান শুরু হওয়ার আগেই সেগুলো বাজারে এসে পৌঁছাবে। অর্থাৎ সব মলিয়েই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যাতে এবারের রমযানে জরুরি কোনো পণ্যেরই সংকট সৃষ্টি হতে এবং মূল্য বেড়ে যেতে না পারে।

দৈনিকটির রিপোর্টে উদাহরণ দেয়ার জন্য প্রধান পাঁচটি পণ্যের মজুদ সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যানেরও উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, রমযানে ভোজ্য তেলের চাহিদা যেখানে ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন হওয়ার কথা, সেখানে মজুদ রয়েছে ২২ দশমিক ৫৯ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় প্রায় ৮ গুণ বেশি। একইভাবে ৮০ হাজার টন ছোলার স্থলে মজুদ রয়েছে ৭ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন তথা ৮ দশমিক ৩৩ গুণ বেশি। পেঁয়াজের সম্ভাব্য চাহিদা যেখানে ৪ লাখ টন, সেখানে মজুদ রয়েছে ১৭ দশমিক ৯১ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রায় ৩ দশমিক ৪৮ গুণ বেশি। খেজুরের চাহিদা যেখানে ১৮ হাজার টন, সেখানে মজুদ রয়েছে ৬৪ দশমিক ১৪ হাজার টনÑ প্রায় ২ দশমিক ৫৬ গুণ বেশি। চিনির মজুদ অবশ্য খুব বেশি নেই। সম্ভাব্য চাহিদা যেখানে ৩ লাখ টন সেখানে চিনির মজুদ রয়েছে ৪ দশমিক ৩৫ লাখ টন। অর্থাৎ দশমিক ৪৫ গুণ বেশি। প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, এরই মধ্যে চিনির পাশাপাশি অন্য সব পণ্য আমদানির জন্যও ব্যবসায়ীরা এলসি খুলেছেন। সে সব পণ্য অচিরেই দেশের বাজারে পৌঁছে যাবে। সুতরাং এবারের রমযানে কোনো পণ্যেরই সংকট দেখা দেবে না। মূল্য বাড়ারও সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে বাস্তব পরিস্থিতি কিন্তু যাহা ‘বাহাহ্ন তাহা তেপ্পান্ন’ হওয়ার দিকেই রওয়ানা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সামনে আনা হয়েছে মার্কিন ডলারের দ্রুত বেড়ে চলা মূল্যকে। পবিত্র মাস রমযানের প্রাক্কালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হঠাৎ করে মার্কিন ডলারের মূল্য বাড়তে শুরু করেছে। গণমাধ্যমের খবরে জানা যাচ্ছে, ডলারের মূল্য শুধু বাড়ছেই না, বাড়ছেও লাফিয়ে লাফিয়ে। মাস তিন-চারেক আগেও প্রতি ডলারের মূল্য যেখানে ৭৮ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল তার মূল্যই ৮৬-৮৮ টাকায় উঠেছে। এটা ঘটেছে গত মাস এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে। এ সময়ে ব্যাংকগুলোতে সরকারি পর্যায়ে নগদ ডলারের সর্বোচ্চ দর বা মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ টাকা ৭৫ পয়সা। বিপরীতভাবে সর্বনি¤œ দর ছিল ৮৪ টাকা। কিন্তু সবই ছিল কাগজেপত্রে। বাস্তবে ২৯টি ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিদেশিসহ প্রায় সব ব্যাংকই বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনÑ বাফেডা’র নির্দেশনা উপেক্ষা করেছে এবং যার যেমন খুশি তেমন মূল্যে ডলার কেনা-বেচা করেছে। এর ফলে কোনো কোনোদিন ডলারের আন্তঃব্যাংক দর ৮২ টাকা ৬০ পয়সা থাকলেও বিক্রি হয়েছে এমনকি ৮৮ টাকা দরে। ব্যাংকের পাশাপাশি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোও ইচ্ছামতো ডলারের মূল্য আদায় করেছে।

মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করে মার্কিন ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদসহ তথ্যাভিজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে পবিত্র রমযান মাসকে সামনে রেখে পণ্য আমদানির জন্য বিপুল পরিমাণ আমদানি ঋণের দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সেবাখাতের আমদানির ব্যয়ও এ সময়ই মেটাতে হচ্ছে। পাশাপাশি ছিল টানা কয়েকদিনের ছুটি, যখন বিত্তবানেরা সাধারণত দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে যান। এ ধরনের কিছু বিশেষ কারণেই নাকি মার্কিন ডলারের ওপর প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বিগত কিছুদিনের মধ্যে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার খাতে এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের টান পড়েছে।
কয়েকটি কারণের কথা উল্লেখ করা হলেও তথ্যাভিজ্ঞরা জানিয়েছেন, আসল কারণ পবিত্র রমযান। আগে থেকে যত মজুদের কথাই শোনানো হোক না কেন, এলসি তথা আমদানি ঋণের দায় পরিশোধ করার দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা রীতিমতো সুচিন্তিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে ডলারের দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারা সফলও হয়েছেন। এখানে আপত্তির কারণ হিসেবে এসেছে বিশেষ একটি বিষয়। পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ডলারের দর যখন ছিল ৭৮ থেকে ৮০ এবং ৮২ টাকা, তখন কেনা বা আমদানি করা পণ্যের দরও ডলারের বর্তমান তথা সর্বশেষ দরের ভিত্তিতেই রাখার পাঁয়তারা চলছে। অর্থাৎ যে ছোলা, খেজুর ও ভোজ্য তেল ৭৮ বা ৮০ টাকা দরে আমদানি করা হয়েছিল, সেসবের দামও এমন হারে রাখা হচ্ছে যেন সেগুলো বেশি দরেই আমদানি করতে হয়েছে! বলাবাহুল্য, এর ফলে রমযানের দিনগুলোতে জনগণকে অনেক বেশি দামে বিশেষ করে জরুরি পণ্যগুলো কিনতে হবে।

এভাবেই এবারও রমযানের প্রাক্কালে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে ব্যবসায়ী-মহাজনরা। পেঁয়াজ-রসুন ও ডাল থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি পর্যন্ত তো বটেই, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনি, লবণ ও সয়াবিনসহ নিত্যপণ্যের সবকিছুরই দাম বেড়ে গেছে। বেড়েছে রসুনের মতো পণ্যগুলোর দামও। এখনো বাধাহীনভাবেই চলছে দাম বাড়ানোর কর্মকান্ড। কাঁচা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, শুকনো মরিচ, লবঙ্গ, এলাচের মতো অন্য পণ্য গুলোরও দাম বেড়ে চলেছে- যেগুলো রমযানে বেশি দরকার পড়ে। কোনো কোনো পণ্যের ব্যাপারে বাজারে আতংক ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, মার্কিন ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ছোলাসহ সব পণ্যের দামেও সরাসরি প্রভাব পড়বে। ফলে এবারের রমযানে মানুষকে অনেক বেশি দামে কিনতে হবে। তাছাড়া গরু ও খাসির গোশত এবং মুরগির দামও বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
অভিজ্ঞতার আলোকে বাজারের মুদি দোকানদার ও ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি এখনই মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার তদারকি করার ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে এবারের রমযানে মানুষের কষ্টের কোনো সীমা থাকবে না।

বলার অপেক্ষা রাখে না, রমযানের আগেই সব মিলিয়ে বাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভীতিকর হয়ে পড়েছে। নাম ধরে ধরে কোনো সবজির দাম পৃথকভাবে উল্লেখ না করেও বলা যায়, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তা সত্ত্বেও মানুষকে বাজারে যেতে হচ্ছে। রমযানের মধ্যে তো যেতে হবেই। কারণ, স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি রমযানে রয়েছে ইফতারি ও সাহরি খাওয়ার বাড়তি বিষয়। সুতরাং বেশি দাম দেয়ার সাধ্য না থাকলেও বাজারে না গিয়ে পারবে না মানুষ। অতীতে সব সময়, এমনকি গতবারের রমযানেও একই অবস্থা দেখা গেছে। সেজন্য সঙ্গত কারণে প্রশ্ন উঠেছে, দেশে আদৌ কোনো সরকার রয়েছে কি না। কারণ, কোনো পণ্যের দামই রাতারাতি বা কেবলই রমযান মাসকে সামনে রেখে বাড়ায়নি ব্যবসায়ী-মহাজনরা। দাম বেড়ে আসছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু কোনো পর্যায়ে, কোনো বছরই ধমক দেয়ার এবং লম্বা আশ্বাস শোনানোর বাইরে মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ফলপ্রসূ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও ব্যতিক্রম ঘটার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বাজার সংশ্লিষ্টরা বরং বলেছেন, রমযান আসার এবং পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার পর মন্ত্রীরা বড়জোর ব্যবসায়ী-মহাজনদের ভয় দেখানোর অভিনয় করবেন। শোনাবেন, বাজারের ব্যাপারে ‘কঠোর নজরদারি’ করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে ‘অসৎ ব্যবসায়ীদের’ ওপর দোষ চাপাতেও পিছিয়ে থাকবেন না মন্ত্রীরা।

অন্যদিকে ব্যবসায়ী-মহাজনরা যে কোনো ধমককেই পাত্তা দেবে না- সে কথাটাও আগেভাগে বলে রাখা হচ্ছে। কারণ, সরকার যা কিছুই বোঝাতে চাক না কেন, ভুক্তভোগী মানুষ কিন্তু ঠিকই জানে, তারা বুঝতেও পারে- এই ব্যবসায়ী-মহাজনদের সঙ্গে সরকারের অতি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণেই সরকারের কোনো কথায় কান দেয়ার দরকার বোধ করে না তারা। আর এই অতি চমৎকার সম্পর্কের পেছনে যে চাঁদা ও কমিশন ধরনের কিছু ফ্যাক্টর বা নির্ধারক যে রয়েছে সে কথাটাও কাউকে বুঝিয়ে বলতে হয় না। এ ব্যাপারেও মানুষের অভিজ্ঞতা মোটেই মধুর নয় বরং তিক্ত। নাহলে কথিত ‘কঠোর নজরদারি’ সত্ত্বেও প্রতি বছরই রমযানের প্রাক্কালে নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে পারতো না। বলা বাহুল্য, চাঁদা ও কমিশনসহ সহজবোধ্য কিছু কারণে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না বলে ব্যবসায়ী-মহাজনরাও সুযোগের সদ্ব্যবহার করে যথেচ্ছভাবে। এবারও করতে শুরু করেছে রমযানের আগে থেকেই। একই কারণে দামও চলে যাচ্ছে মানুষের নাগালের অনেক বাইরে। সব কিছুর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রশ্রয়। অতীতেও একই কারণে মানুষকে কষ্ট ও ভোগান্তির কবলে পড়তে হয়েছে। সাধারণ মানুষের তো বটেই, নাভিশ্বাস উঠেছে এমনকি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ বিত্তের মানুষদেরও।
বলা দরকার, অসৎ ও মুনাফাখোর টাউট ব্যবসায়ী-মহাজনদের প্রশ্রয় ও সহযোগিতা দেয়ার পরিবর্তে সরকারের উচিত এখন থেকেই কঠোরতার সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা ও পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনা। চিনি ও ছোলার মতো জরুরি কিছু পণ্য বিক্রির ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই ওএমএস ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। মনিটরিং করে দাম বাড়ানোর অপতৎপরতাকে এখনই প্রতিহত না করা গেলে পণ্যের দাম আরো বাড়তেই থাকবে।

সরকার যতোই ‘কঠোর নজরদারি’র প্রশ্নসাপেক্ষ পদক্ষেপ নিক না কেন, রমযানে মানুষ কোনো সুফলই ভোগ করতে পারবে না। মানুষকে বরং সীমাহীন কষ্টের শিকার হতে হবে। আমরা তাই মূল্য কমানোর ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখনই তৎপর হওয়ার দাবি জানাই। এ ব্যাপারে জনগণ বিশেষ করে বাণিজ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করে। কারণ, মাত্র কিছুদিন আগেই তিনি মজুদ সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং আশ্বাসের কথা শুনিয়েছেন।

http://www.dailysangram.com/post/329497