তরল প্রাকৃতিক গ্যাস-এলএনজি আসার পর শিল্পের পাশাপাশি আবাসিক খাতের গ্রাহকরা আবার গ্যাসের সংযোগ পেতে যাচ্ছেন। তবে নতুন কোনো ভবনে এই সংযোগ দেওয়া হবে না। যেসব ভবনে আগেই গ্যাস সংযোগ রয়েছে, তাদের বর্ধিত অংশে নতুন চুলার অনুমোদন দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সোমবার সমকালকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন হতে আবেদন ঝুলে থাকা দুই হাজার ৩৯০টি শিল্প-কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। মে মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে এসব কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেবে সরকার। তবে আবাসিকে নতুন সংযোগ না দেওয়ার বিষয়ে সরকার অনড় ছিল। সেটা কিছুটা শিথিল হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম এলএনজি প্রক্রিয়াকরণ জাহাজ (এফএসআরইউ) এক লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস নিয়ে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছে। গ্রাহক পর্যায়ে এলএনজি পৌঁছাবে মে মাসের শেষ সপ্তাহে।
দীর্ঘ সময় ধরে শিল্প, বাণিজ্য সব ধরনের গ্যাস সংযোগের অনুমোদন সীমিত রয়েছে। তবে আবাসিকে নতুন সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ঘাটতির কারণে ২০০৯ সালের ৩১ জুলাই থেকে শিল্পে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।