২৬ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩১

সন্ধ্যার পর কালবৈশাখী ও ঝমঝম বৃষ্টি

তীব্র যানজট : ঘরমুখোদের দুর্ভোগ

দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল কালবৈশাখীতে গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় সন্ধ্যার পরপরই প্রথমে ধূলিঝড় ও এরপর ভারী বৃষ্টিতে অনেক রাস্তায় সাময়িকভাবে পানি জমে যায়। দেখা দেয় তীব্র যানজট। অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় দুর্ভোগে পড়তে হয় কর্মজীবীদের। রাত ৯টায় বৃষ্টি কমে গেলেও যানজট অব্যাহত থাকে। ঝড়ের সময় ঢাকার বহু এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা।

ঢাকার বেশির ভাগ স্থানে ভূগর্ভে পাইপ বসানো চলছে। সেখানকার গর্তগুলোতে পানি আটকে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি করে। কারণ গাড়িচালকদের জন্য এটা ছিল এক ধরনের মৃত্যুফাঁদের মতো। পানি দেখে বোঝা যাচ্ছিল না যে, সেখানে পানির গভীরতা কতটুকু। এ ছাড়া রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিও পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ছোট ছোট আমের ভারে নুয়ে পড়া ডাল ভেঙে পড়েছে ঘরের চালে, রাস্তায়। আমগাছ ছাড়াও অন্যান্য গাছ ভেঙে সাময়িকভাবে গাড়ি চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। তেজগাঁওসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ ঝড়ে পড়ে যায়।

আবহাওয়া অফিস রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসংিহ, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের জন্য ইতোমধ্যে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নদীতে চলাচলকারী নৌযানগুলোকে ২ নম্বর নৌ সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এ ছাড়া আবহাওয়া বিভাগ আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/313479