২৫ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার, ৯:১৪

ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিতে হবে

এম এ খালেক : সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য কিছু নীতিগত পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। এসব পরিবর্তন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে গৃহীত সিদ্ধান্তের ফলে আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টরে কি প্রতিক্রিয়া হবে তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা বলছেন,ব্যাংকিং সেক্টর যে কোনো দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এবং অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি খাত। কাজেই এ খাতের জন্য যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে তার ভালোমন্দ এবং স্বল্প ও দীর্ঘকালীন প্রভাবের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় যে কোনো সিদ্ধান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ খাতের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কয়েক দিন আগে ব্যাংকগুলোর জন্য সেক্টরের জন্য ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। আগে সিডিউল ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের সাড়ে ৬ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদে জমা রাখতে হতো। এই হার পুনঃনির্ধারণের ফলে এখন থেকে ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ৫ শতাংশ সিআরআর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। এতে ব্যাংকগুলোর হাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগযোগ্য তহবিল আসবে বলে জানা গেছে। বেসরকারি ব্যাংক মালিকগণ সিআরআর ৩ শতাংশ হ্রাসের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী ১ শতাংশ সিআরআর কমানোর কথা ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোনো সময় বাস্তবতার নিরিখে সিআরআর হ্রাস-বৃদ্ধি করতে পারে এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সর্বশেষ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই কাজটি করা হলো তা খুবই দুঃখজনক। কারণ এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির কোনো সভায় আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত হয়নি। বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর সঙ্গে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বৈঠককালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এক শতাংশ সিআরআর কমানোর কথা বলেছেন। বৈঠককালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত ব্যাংকের বাইরে কোনো হোটেলে গৃহীত হবার ঘটনা এবারই প্রথম ঘটলো। ফলে এই সিদ্ধান্ত ব্যাংক ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের এ ধরনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়াটাই উচিত হয় নি। উল্লেখ্য, সিডিউল ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের একটি অংশ সিআরআর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে নগদে জমা রাখে। এ ছাড়া সংবিধিবদ্ধ রিজার্ভ হিসেবে আরো ১৩ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। এটাকে বলা হয়,‘ স্ট্যাটুইটুরি লিকুইডিটি রিজার্ভ’ বা এসএলআর। এসএলআর নগদে সংরক্ষণ করতে হয় না। এটা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বন্ড এবং অন্যান্য আকারে জমা রাখতে হয়। সিআরআর এবং এসএলআর এর পরিমাণ হ্রাস করা হলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আবার কোনো কারণে এটা বাড়ানো হলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের পরিমাণ হ্রাস পায়। সিআরআর এবং এসএলআর হ্রাস-বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণ প্রবাহ হ্রাস-বৃদ্ধির উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাডভান্স-ডিপোজিট রেশিও(এডি রেশিও) কমিয়েছে। আগে সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলো তাদের মোট বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারতো। অন্য দিকে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এটা ছিল ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নতুন নির্দেশনায় সাধারণ ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এডি রেশিও নির্ধারণ করেছে ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্য দিকে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এটা ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব ব্যাংক এই সীমাতিরিক্তি ঋণ প্রদান করেছে তাদের আগামী জুন মাসের মধ্যে তা সমন্বয় সাধনের নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকের মালিকগণ বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে থাকে। তারা বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্ণা দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি কিছুটা হলেও মানাতে সক্ষম হয়। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করে। পরবর্তীতে এই সীমা মার্চ,২০১৯ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ আরো তিন মাস বর্ধিত করাতে সক্ষম হয়।

এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবার পর ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো আমানত সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তারা উচ্চ সুদের আমানত সংগ্রহের জন্য চেষ্টা চালাতে থাকে। ফলে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। কিছু দিন আগেও ব্যাংকিং সেক্টরে আমানতের ওপর পৌনে ৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, বর্তমানে ব্যাংক রেট হচ্ছে ৫ শতাংশ। অর্থাৎ আমানতের উপর প্রদত্ত সুদের হার কিছু দিন আগেও ব্যাংক রেটের চেয়ে কম ছিল। সাধারণত আমানতের উপর প্রদেয় সুদের হার সব সময়ই ব্যাংক রেটের উপরে থাকে। সিডিউল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক(বাংলাদেশ ব্যাংক) ঋণ গ্রহণকালে যে সুদ প্রদান করে তাকেই ব্যাংক রেট বলা হয়। বর্তমানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের ১১/১২ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে। আমানতের উপর প্রদেয় সুদ হার বেড়ে যাবার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক ঋণের সুদের হার ডাবল জিডিটে উন্নীত হয়েছে। কিছু দিন আগেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটের নিচে ছিল। এদিকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পাবার কারণে দেশের উদ্যোক্তা শ্রেণি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ করে তা দিয়ে পণ্য ও সেবা উৎপাদন করে লাভজনকভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এমনিতেই দেশের ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ কার্যক্রমে অনেক দিন ধরেই মন্থরতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় ঋণের উপর সুদের হার বেড়ে গেলে তা বিপদে ফেলবে উৎপাদক শ্রেণিকে। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে সব নীতিগত পরিবর্তন সাধন করেছে তার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণ প্রবাহকে কিছুটা হলেও রাশ টেনে ধরা। কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ কিছুটা সন্দেহজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। চলতি অর্থ বছরের প্রথম মুদ্রা নীতিতে ব্যাংকিং সেক্টরের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু অর্থ বছরের প্রথম ৫মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। দেশের বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি এতটা বৃদ্ধি পাবার কথা নয়। কিন্তু কার্যত ঘটেছে সেটাই। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও অনেকেই মনে করছেন, ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে কোনো কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠী তা অন্য খাতে প্রবাহিত করছেন। এমন কি দেশের বাইরে পাচার করে দেয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ প্রবাহে লাগাম টেনে ধরতে চাইছে। যদিও তারা প্রকাশ্যে এ ধরনের কোনো কথা বলছে না। অন্য কোনো কারণেও বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক ঋণের গতি মন্থর করতে চাইতে পারে। বর্তমান বছরেই দেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগের সময়টাতে দেশ থেকে মুদ্রা পাচার হবার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। যেমনটি হয়েছিল ২০১৩ সালে। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মুদ্রা পাচার হয়েছিল সেই বছরটিকে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হলে অনেকের ভাগ্যেই দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে যারা রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে অনৈতিক উপায়ে বিত্ত-বৈভব গড়ে তুলেছেন তারা নিশ্চিতভাবেই বিপদে পড়বেন। তাই তারা সময় থাকতে আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাদের অর্থ-বিত্তের সুরক্ষার জন্য হলেও বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। দেশের ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে অনেক দিন ধরেই। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধি এতটা হবার কথা নয়। কিন্তু ব্যাংক ঋণ বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। একই সঙ্গে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। বিশেষ করে ক্যাপিটাল মেশিনারি এবং শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। কিন্তু বাস্তবে এটা হওয়া উচিৎ ছিল না। অনেকেই মনে করছেন,আসলে এক শ্রেণির মানুষ ক্যাপিটাল মেশিনারি এবং শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল আমদানির নামে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক পাচার করছেন। শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম অনেকটেই বেড়ে গেছে। গত ৪ এপ্রিল প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ছিল ক্রয় ৮২ দশমিক ৫০ টাকা এবং বিক্রয় ৮৩ দশমিক ৫০ টাকা। কয়েক মাস আগেও প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮০ টাকা। অনেকেই মনে করছেন,মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবমূল্যায়নের পেছনে মুদ্রা পাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কারণ দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি যে কারণে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার এভাবে বেড়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিতে রেমিটেন্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উল্লসিত হবার তেমন কিছু নেই। এটা হয়েছে মূলত টাকার ব্যাপক ভিত্তিক অবমূল্যায়নে কারণে। স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বতর্মান সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় তেমন একটা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় নি। তার অর্থ কি এই যে রপ্তানিকারকগণ তাদের রপ্তানিকৃত আয়ের পুরোটা দেশে আনছেন না? হয়তো হতেও পারে। এসব বিষয়ে তীক্ষè নজরদারি প্রয়োজন। কারণ নির্বাচনী বছরে আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে মুদ্রা পাচার বেড়ে যেতে পারে।

ব্যাংকিং সেক্টরের আরো একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যে কোনো নির্বাচনের প্রাক্কালে এক শ্রেণির ঋণ খেলাপি যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন তাদের মাঝে খেলাপি ঋণ পুন:তফসিলিকরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। এই প্রবণতা যে কোনো মূল্যেই হোক রোধ করতে হবে। খেলাপি ঋণের ১৫ শতাংশ অথবা খেলাপি ঋণসহ মোট পাওনা ঋণের ১০ শতাংশ এককালিন ডাউন পেমেন্ট হিসেবে ব্যাংকে জমা দিলেই যে কেউ তার খেলাপি ঋণ নিয়মিত করে নিতে পারবেন ঋণ হিসাব পুনঃতফসিলীকরণের মাধ্যমে। জাতীয় নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে ঋণ হিসাব পুন:তফসিলিকরণের এই সাধারণ নিয়ম রহিত করা প্রয়োজন। বলে দেয়া যেতে পারে নির্বাচনের আগে যারা ঋণ হিসাব নিয়মিত/পুন:তফসিলিকরণ করবেন তাদের খেলাপি ঋণের পুরোটা এককালিন পরিশোধ করতে হবে। একই সঙ্গে যে ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেবেন তার এবং তার উপরি নির্ভরশীল কারো খেলাপি ঋণ থাকা চলবে না। এটা করা হলে নির্বাচনের আগে খেলাপি ঋণ আদায় অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। আমাদের মনে রাখতে হবে,ব্যাংকিং সেক্টর হচ্ছে একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই ব্যাংকিং সেক্টরের সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তা থেকে সরে আসার কোনো উপায় নেই। এটা করা হলে সাধারণ মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হবে যা প্রকারান্তরে এই সেক্টরের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

http://www.dailysangram.com/post/328073