১৯ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৪

এবারো পানিতে ভাসবে রাজধানী ঢাকা

‘টিপটিপ বৃষ্টি হলেই কেবল রাজধানীতে পানিবদ্ধতা হবেনা’ গত পহেলা এপ্রিল এমনই মন্তব্য করেছেন পানি নিষ্কাষনের জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। তিনি বলেছেন, টানা বৃষ্টি হলে আমাদের কিছুই করার নেই। তার বক্তব্যের প্রমাণ মঙ্গলবারই রাজধানীর অনেক এলাকাতে দেখা গেছে। মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পানিবদ্ধতা নিয়ে এবারো কোনো খুশির খবর নেই। রাজধানীর অধিকাংশ খাল এখনো ময়লা আবর্জনায় ভরা। ওয়াসা বারবার ঘোষণা দিয়েও খাল পরিষ্কারে তেমন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। বৃষ্টি হলেই রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় চরম পানিবদ্ধতা দেখা দেবে। ফলে এবারো যে রাজধানীবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পানিবদ্ধতার বিষয়ে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলেন, মূলত তিনটি কারণই পানিবদ্ধতার জন্য যথেস্ট। সেগুলো হচ্ছে, প্রথমত: বৃষ্টি পানি ধরে রাখার জন্য ১২ শতাংশ জায়গা প্রয়োজন। কিন্তু রাজধানীতে যেসব পুকুর, ডোবা, খাল বিল ছিল সেগুলো এখন আর নেই। সবই দখলে চলে গেছে। পানি ধরে রাখার জন্য বর্তমানে মাত্র ২ শতাংশ জায়গা রয়েছে। দ্বিতীয়ত: ঢাকা শহরে এখন মাটি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কোথাও খালি জায়গা নেই। পুরো রাজধানীটাই ইট আর কনক্রিটে ঢাকা। বৃষ্টির পানি যে প্রকৃতিগতভাবে মাটির নীচে যাবে তা সম্ভব নয়। ফলে পানি সরতে পারে না এবং শহরের যে নিন্মাঞ্চলগুলো ছিল সেগুলো এখন আর নেই। প্রভাবশালীরা সেগুলো ভরাট করে অবৈধ বসতি গড়ে তুলেছে। ফলে বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে পানিবদ্ধতা দেখা দেয়। তিনি জানান, টিপটিপ বৃষ্টি হলে সমস্যা নেই। কিন্তু যখন একটানা ৫০ মিলি মিটার বৃষ্টি হবে তখন কারোরই কিছু করার থাকেনা। তিনি চলতি বর্ষা মওসুমেও রাজধানীতে পানিবদ্ধতা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াসার এমডি বলেন, এক সময় রাজধানীতে ৬৫টি খাল ছিল। এখন মাত্র ২৬টি খাল বিদ্যমান। অন্য খালগুলো কোথাও গেলো, তা দেখার কেউই নেই। তিনি বলেন, খাল দখলমুক্ত করার পর আবারো দখল হচ্ছে এটি ঠিক। কিন্তু কারা দখলে রাখছে সেটি দেখার বিষয়। আমাদের সেখানে কিছুই করার থাকেনা। তবে আমরা আমাদের ক্ষমতার মধ্যে যা দরকার তাই করছি। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ২৬টি খালের পাড় বাঁধাই করার দায়িত্ব আমাদের দেয়া হয়। প্রথমে ৮টি, এরপর ৫টি মোট ১৩টি খালের পাড় বাঁধানো হয়। খালের পাড় বাঁধানোর কাজ শেষ না করলে উচ্ছেদ করে কোন লাভ হবে না। আর খাল দখল যারা করছেন তারা অনেক উপর মহলের লোক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা যে কোন একটি সংস্থার উপরই ন্যায্য থাকা উচিৎ। একাধিক সংস্থা জড়িত থাকায় ঠিক মতো তদারিক হয়না।

পানিবদ্ধতার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি বলেন, রাজধানীর পানিবদ্ধতার জন্য ঢাকা ওয়াসাই অনেকাংশে দায়ী। তিনি বলেন, রাজধানীর খাল পরিষ্কারসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি কেবল ওয়াসাই করে থাকে। অন্য সংস্থাগুলো এর সাথে তেমন বেশী জড়িত নয়। তিনি বলেন, ওয়াসা তাদের দায়িত্বগুলো সেভাবে পালন করেনা। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় রাজধানীতে মশার উৎপাদনও বাড়ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করার জন্য ঢাকা ওয়াসাকে অনেকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো চিঠির উত্তর দিচ্ছে না। আমরা সিটি কের্পারেশনের পক্ষ থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করছি। কিন্তু ওয়াসা সেভাবে সহায়তা করেনা। এর ফলে আগামী বর্ষা মওসুমে যেমন পানিবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি মশার দৌরাত্ম্যও নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে।

অভিযোগ রয়েছে, দায় নিয়ে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের টানাপড়েন, একক ও সমন্বিত কর্তৃপক্ষ না থাকায় রাজধানীবাসী পানিবদ্ধতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। পানি নিষ্কাশনের ২৬টি খাল আবারো দখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর শুধু খাল উদ্ধার আর পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে সেগুলো ভেস্তে যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো শুধু খাল দখলের তালিকা করে দায় সারছে। ড্রেন ও নর্দমা নির্মাণ ও পুরনো নর্দমা পরিষ্কারের কার্যকর কর্মসূচিও তেমনভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে না।

গেল বছর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর পানিবদ্ধতা দূর করতে বক্স কালভার্টগুলো খুলে দিয়ে এগুলোর ওপর দিয়ে উড়াল সেতু করা যায় কি না তা ভেবে দেখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় পানিবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধারের নির্দেশও দিয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও এসব কাজে সমন্বয় ও অগ্রগতি চোখে পড়ে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুই সিটি কর্পোরেশনে পানিবদ্ধতা নিরসনে সহায়ক ও সড়ক উন্নয়নে দুই হাজার ৬১২ কোটি টাকার সাতটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তবে এসব উন্নয়ন ও সংস্কারকাজের সুফল দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বৃষ্টি হলেই মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও অলিগলিতে উপচে পড়ে পানি। দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার সড়ক দফায় দফায় ভেঙে পড়ছে। পিচের সড়কে তিন দিন পানি জমে থাকলেই তা ভেসে যায়।

সূত্র মতে, গেল বছর রাজধানীতে দফায় দফায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেসব স্থানে হাঁটু পানি দেখা যেত, এবার কোমর পানিতে সেসব স্থান ডুবেছে। চলেছে নৌকা ও ভেলা। জানা গেছে, খাল রক্ষণাবক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা ওয়াসা হাত গুটিয়ে বসে আছে বছরের পর বছর ধরে। এ অবস্থায় যতবার পানিবদ্ধতার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে, ততবারই শুধু আশ্বাস বাণী শুনতে হয়েছে রাজধানীবাসীর। এবারো বলেছে, টানা বৃষ্টি হলে তাদের কিছুই করার নেই।

নগর বিশেষজ্ঞ, নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার সার্বিক সমস্যা সমাধানে একটা সুপার অথরিটি থাকা দরকার। সুশাসন, পরিচালন ও সমন্বয়ের জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষমতার কর্তৃপক্ষ হবে এটি। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একজন উপপ্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমাদের এখানে এটা করা যাবে না আইনগত কারণে। তবে প্রবীণ কোনো মন্ত্রীকে প্রধান করে এ ধরনের কর্তৃপক্ষ করা যেতে পারে। অথবা দুই মেয়রকে দায়িত্ব ভাগ করে সমন্বয়ের কাজটা করানো যায়। পানিবদ্ধতা নিরসনে কী কী বিষয় প্রাধান্য পাবে তা এ কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে, সমন্বয় করবে।
ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার খালগুলোয় অবৈধ দখলদারদের সর্বশেষ তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা খুব শীঘ্রই খালে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা শুরু করবো। এতে দুই সিটি কর্পোরেশনকেও যুক্ত করা হবে।

ডিএসসিসির এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, খাল উদ্ধার, পরিষ্কার ও ড্রেন পরিষ্কার করা পুরোপুরি ওয়াসার দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াসার নীতিনির্ধারিত মহলকে এ ধরনের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এখন তারা কতটুকু করছে, তা দেখবে সরকার। আমরা ডিএসসিসির পক্ষ থেকে ওয়াসা ও ঢাকা জেলা প্রশাসনকে পত্র দিয়ে খাল উদ্ধারের জন্য অবহিত করেছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে খাল আছে ৪৩টি। এসব খালের মালিকানা জেলা প্রশাসনের। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসা রক্ষণাবেক্ষণ করছে ২৬টির। কিন্তু সেগুলোও তারা ঠিকভাবে করছেনা। যখন কিছু এলাকা দখলমুক্ত করা হয় তার কিছু দিনের মধ্যেই সেটি আবার দখলে চলে যায়। এছাড়া খালগুলো পরিষ্কারের সেভাবে ওয়াসাকে আন্তরিক দেখা যায়না।
বৃষ্টি হলেই রাজধানীর শান্তিনগর ও আশপাশ পানিতে পুরোপুরি তলিয়ে যেত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-ডিএসসিসি প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন ও নর্দমা নির্মাণে প্রকল্প নেয়। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু গতকাল সামান্য বৃষ্টিতে সেখানেও পানিবদ্ধতা দেখা দেয়। সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, মতিঝিল, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, রাজারবাগের পানি নিষ্কাশন হয় বাসাবো খালের মাধ্যমে। খিলগাঁ জোড়পুকুর মাঠের পাশ থেকে নন্দীপাড়া পর্যন্ত খালটি। খালের ওপরে উঠেছে ঘরবাড়ি, ভরে গেছে পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনায়।

জানা গেছে, নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী খালও আবার দখল হয়ে গেছে। এটি ধলপুর খাল থেকে হয়ে মা-া, রাজারবাগ, নন্দীপাড়া মৌজার ভেতর দিয়ে নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী সড়কের পাশ দিয়ে উত্তরে প্রবাহিত হয়েছে। এটি নাসিরাবাদ-নন্দীপাড়া খালের সঙ্গে ত্রিমোহনীতে মিলেছে। খালের ওপর দখল নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন দোকান, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়। রামচন্দ্রপুর খাল রায়েরবাজার ও মোহাম্মদপুরে। খালের অংশে অবৈধভাবে দেখা গেছে বিভিন্ন হাউজিং প্রতিষ্ঠান। ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, খালের ৩.২৪ একর জায়গা দখল করে একটি কবরস্থান করা হয়েছে। কাঁটাসুর খালের বেশির ভাগও দখল হয়ে গেছে। কামরাঙ্গীরচর খালও টিনের ছাপরা তৈরি করে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে বিভিন্নজন।

মিরপুর-১৪ নম্বরে ইব্রাহীমপুর খালও দখলে-দূষণে মুমুর্ষু। দুই পারেই অবৈধ স্থাপনা আছে। ধোলাইখাল বর্তমানে ধোলাইখাল রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বাসাবো খালে জলাশয় ভরাট করে প্রথমে টিঅ্যান্ডটির এক্সচেঞ্জ অফিস স্থাপন করে। পূর্ব দোলাইরপাড়ে কুতুবখালী খালের একাংশ ভরাট করে দনিয়া রোড চওড়া করছে ডিএসসিসি। কুতুবখালী খালে দোলাইরপাড়ের দনিয়া রোডে ওয়াসার পানির পাম্প পর্যন্ত কুতুবখালী খালের ১২ থেকে ১৫ ফুট বাঁশ ও টিন দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও খাল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া খালে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান। কিছু জায়গায় খাল ভরাট করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। বাসাবো, নন্দীপাড়া, খিলগাঁও, রামচন্দ্রপুর, কাঁটাসুর, সেগুনবাগিচা, ধোলাইখাল, বেগুনবাড়ী, রূপনগর, বাউনিয়াসহ মোট ১০টি খাল সরকারি প্রতিষ্ঠানের দখলে অস্তিত্ব হারাচ্ছে।

রাজধানীতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় পানিবদ্ধতা এবং সেই সঙ্গে সড়ক সংস্কার-উন্নয়নের জন্য সাতটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৬১২ কোটি টাকা। আড়াই বছরের মধ্যে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ডিএনসিসিতে এক হাজার ৫০৬ কোটি টাকার তিনটি ও ডিএসসিসিতে এক হাজার ১০৬ কোটি টাকার চার প্রকল্প রয়েছে। ২০১৫ সালের ৫ মে গুলশান-বনানী ও বারিধারার অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব এলাকার পানিবদ্ধতা ও বনানী লেকের দূষণ কমানো এবং যানজট হ্রাস করা ছিল প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছিল ১৯৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ প্রকল্পের নামে এক হাজার ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়। তবে পানিবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি। শান্তিনগরের জলাবদ্ধতার জন্য ডিএসসিসি ৪৫ কোটি টাকা ব্যয় করলেও সেখানে শতভাগ সফলতা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ঢাকা শহরের খালগুলো পুনরুদ্ধার এবং রক্ষণাবেক্ষণ, পয়োনিষ্কাশন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এক হাজার ১০০ কোটি টাকার সমন্বিত প্রকল্প হাতে নিয়েছিল ওয়াসা। বিশ্বব্যাংকের এই টাকার বেশির ভাগই ব্যয় করা হয়েছে খালের পেছনে। এ বিপুল অর্থ ব্যয়ে খালের কী ধরনের কাজ হয়েছে তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ।

ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা বলেন, আমরা নির্বাচনের পর পর এলাকার মানুষকে কথা দিয়েছিলাম খাল দূষণ ও দখলমুক্ত করে জলাবদ্ধতা দূর করব। আইনগত কারণে সিটি কর্পোরেশন কোনো প্রকল্প নিতে পারেনি। ওয়াসা বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের আওতায় ওয়াক ওয়ে নির্মাণ করেছিল। তিনি বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত ও ময়লাঅবর্জনা মুক্ত করা না গেলে পানিবদ্ধতা নিরসন হবেনা।

http://www.dailysangram.com/post/327110