১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৯:১২

কোটা সংস্কার আন্দোলন হার-জিতের ইস্যু ছিল না

চলতে ফিরতে দেখা

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন কোনো হার-জিতের ইস্যু ছিল না, এটা ছিল নিতান্তই ন্যায়বিচারের ইস্যু। এর সাথে জড়িত জাতির ভবিষ্যৎ, শক্তিশালী ও দক্ষ এবং তুলনামূলকভাবে অধিক নৈতিক মানসম্পন্ন আমলাতন্ত্র। দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেমন আমলাতন্ত্র প্রয়োজন। এখন সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশই বিভিন্ন কোটায় খেয়ে ফেলে। মেধাবীদের জন্য থাকে মাত্র ৪৪ শতাংশ চাকরি। এই ৪৪ শতাংশের সবটাই যে আবার মেধাবীরাই পাচ্ছেন, এমনও নয়। এর মধ্যে আবার দলীয়করণ আছে। ফলে মেধার কোটা কেবলই পিছিয়ে যাচ্ছে। এর যে কী মারাত্মক কুফল, তা আমরা ইতোমধ্যেই টের পেয়েছি। অন্যান্য বিষয়ে অদক্ষতা তো প্রকটই আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ অদক্ষতা হলো ইংরেজি জ্ঞানের অভাব। এখন সাধারণ একটি চিঠির মর্মার্থ উদ্ধার করার জন্য কিংবা কোনো ইংরেজি চিঠির জবাব দেয়ার জন্য ইংরেজি জানা লোক হায়ার করে আনা হচ্ছে। এর আগে আমরা লক্ষ করেছি, ফরেন সার্ভিসে যারা চাকরি পেতেন তারা ছিলেন সব দিক থেকে সবচেয়ে দক্ষ; কিন্তু এখন সে পরিস্থিতি বদলে গেছে। কোটাধারী ৫২ শতাংশ লোক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি করছেন। এটি খুবই বিপজ্জনক। বিভিন্ন দেশে কূটনীতিকেরা অনেক চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকে এমন কৌশলী শব্দ প্রয়োগ করেন, যার মাধ্যমে তারা আমাদের বিট দিয়ে নিজেদের দেশের স্বার্থ হাসিল করে নেন। সেই সব কূটকৌশল ধরার জন্য চাই দক্ষতা, উপযুক্ত শিক্ষা ও জ্ঞান; কিন্তু কোটাধারী তুলনামূলকভাবে কম দক্ষ লোকেরা যখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরিতে নিয়োজিত হন, তখন দেশের স্বার্থ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাই প্রবল থাকে।

সরকার এ অবস্থা বুঝতে চায়নি। শুধু দলীয় লোকদের বড় বড় পদে বসানোর জন্য মেধাকে রেখেছে দূরে। ফলে মেধাহীনদের এখন রমরমা অবস্থা। এসব কারণেই জীবনানন্দ দাশ আক্ষেপ করে লিখেছিলেন : ‘যারা অন্ধ, সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা/পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।’ বাংলাদেশের পরিস্থিতিও এমন হয়ে গেছে। যারা অন্ধ তাদের দিয়ে সবচেয়ে বেশি দেখানো হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর যেকোনো ইস্যুকে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত ব্যর্থতার নজির স্থাপন করেছে। যেমন রোহিঙ্গা ইস্যু। একেবারে শুরুতেই এই ইস্যুতে কী অবস্থান নেয়া উচিত ছিল, সেটি অনুধাবন করতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের কেউই। প্রধানমন্ত্রী গর্ব করে বলেছেন বটে যে, রোহিঙ্গারা আসুক তাদের সাথে আমরা ভাত ভাগাভাগি করে খাবো। ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান যদি দিতে পারি, তাহলে ১০ লাখ মানুষের খাদ্যেরও জোগান দিতে পারব। খুব হাই সাউন্ডিং কথা! কিন্তু এখন তিনি সত্য উপলব্ধি করতে পারছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তিনি সারা দুনিয়ায় তৎপরতা দেখাচ্ছেন। এমনকি ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়তা চেয়েছেন। অর্থাৎ খড়কুটো যা যেখানে পাচ্ছেন সেটিই আঁকড়ে ধরছেন; কিন্তু ফলাফল শূন্য। মিয়ানমারের মতো দেশেও ভাষার কূটকৌশলে আমাদের পরাস্ত করছে। আর তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের কারোর সাথে কথা বলেই হুট-হাট বলে দিচ্ছেন যে, শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। এই যে তারা তালিকা চেয়েছে। ৮০ হাজার লোকের তালিকা থেকে ৬০০-৭০০ নির্বাচন করেছে। শিগগির তাদের ফিরিয়ে নেবে বলেছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার সবই বিশ্বাস করেছে। কথা ছিল যে, প্রথমে তারা ফিরিয়ে নেবে নোম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত সাড়ে ছয় হাজার রোহিঙ্গাকে; কিন্তু ফিরিয়ে নেয়ার সময় যখন এলো তখন তারা সে এলাকায় ব্যাপক সামরিক তৎপরতা শুরু করে দিলো। তার পরও আমরা বললাম, মিয়ানমার শিগ্গিরই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করবে। সে ফিরিয়ে নেয়ার সময় বহু আগে পার হয়ে গেছে। মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়নি। আজ এ তালবাহানা করে, কাল সে তালবাহানা করে। এই নিয়ে বাংলাদেশকে একেবারে ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে।

কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি দক্ষ হতো তাহলে মিয়ানমারের অতীত ইতিহাস ঘেঁটে সহজে তারা বুঝতে পারত যে মিয়ানমার সময়ক্ষেপণ করছে এবং প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা এখনো পর্যন্ত তা না বুঝে ওই প্রতারক শাসক চক্রের খপ্পরে আছি। এটি তো একটি উদাহরণ। এমনি ভূরি ভূরি উদাহরণ গত ১০ বছরে সরকার তৈরি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে জনসংখ্যা রফতানি হ্রাস হওয়ায় দ্রুত রেমিট্যান্স কমছে। কেন তা এতটা হ্রাস পেল এবং কোনো কোনো দেশ কেন বাংলাদেশী শ্রমিকদের একেবারে নিষিদ্ধ করে দিলো সেটি বোঝার ক্ষমতা বা দক্ষতা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেই। কোথায় কোন পদক্ষেপ নিলে এই অবস্থা থেকে আমরা নিষ্কৃতি পেতে পারতাম, সরকার সেটা চিন্তা করেনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দূরদর্শিতাও দেখাতে পারেনি। ফলে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। এতে বিদেশে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি ক্রমে আরো সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে।

এ দিকে আবার বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে বলে এক ডামাডোল পিটিয়ে যাচ্ছে সরকার। মধ্যম আয়ের দেশ এখনো হয়নি, সরকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি যতটা বাড়ছে বলে দাবি করছে বিশ্ব ব্যাংক তা মেনে নেয়নি। যদি তাই হয় তাহলে আগামী ছয় বছর পর বাংলাদেশের যে নি¤œ মধ্য আয়ের দেশ হয়ে ওঠার কথা সেটি হতে ১২ কেন ২০ বছর লাগতে পারে। তখন এই ডামাডোলের কোনো মানেই হবে না। আর এর কুফল সম্পর্কে সরকার ইতোমধ্যেই বুঝতে শুরু করেছে। বিশ্ব ব্যাংক থেকে সম্প্রতি সরকার ৫০ কোটি ডলার ঋণের চুক্তি করেছে; কিন্তু যেই না মধ্য আয়ের দেশ বলে ঢেড়া পিটিয়েছে অমনি সে সব ঋণের সুদ দশমিক ৭৫ থেকে ২.২৫ শতাংশে বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাইকা ও এডিপি। যেহেতু তুমি বেশি আয় করছ সেহেতু তোমাকে বেশি সুদ দিতে হবে। ঋণের শর্ত ক্রমেই শক্ত হয়ে আসছে। অথচ আমরা যদি এতটা ঢাকঢোল না পেটাতাম, নীরবে এগিয়ে যেতাম, তাহলে পরিস্থিতি এত তাড়াতাড়ি আমাদের প্রতিকূলে নাও যেতে পারত। এটা বোঝার জন্য গণকোটা নয়, মেধার দরকার। পর্যাপ্ত লেখাপড়া দরকার। বর্তমান সরকারের আমলে লেখাপড়া জানা লোকের বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে প্রশাসনে। দলীয়করণের ফলেই এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সে ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করে মেধাবীদের জন্য পথ করার দাবি তুলেছিলেন ছাত্রসমাজ। তাদের বক্তব্য ছিল মেধার মূল্যায়ন করতেই হবে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততির কোটায় ৩০ শতাংশ লোকের চাকরি হয়। তাদের যোগ্যতা কতটুকু সেটা দেখার দরকার পড়ে না। ফলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্ররা যখন প্রতিবাদ শুরু করলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী রাগান্বিত হয়ে বললেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরাও চাকরি পাবে, তাদের নাতি-পুতিরাও কোটার সুবিধা পাবে। এ এক ভয়াবহ কল্পনা। সে কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জাতীয় সংসদে ৩০ শতাংশ আসনও কোটার ভেতরে রাখা হোক। মন্ত্রিপরিষদের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটায় নিয়োগ দেয়া হোক। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও যদি কোটা সুবিধা পায় তাহলে সংসদে তারা কেন একই সুবিধা পাবে না? বিষয়টি বিবেচনার দাবি রাখে। তা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন স্বাধীনতার পর কোটা সুবিধা কিংবা মুক্তিযোদ্ধা ভাতার সুবিধা পাওয়ার জন্য নয়। তারা চেয়েছিলেন একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। চেয়েছিলেন নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করতে। সর্বোপরি পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ প্রতিহত করে মা-বোনের ইজ্জত রক্ষা করে দেশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে। তারা কেউই কোটার আশায় লালায়িত ছিলেন না। শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা তাদের জন্য অপমানজনক। কেননা, এটি তারা চাননি। যে গণতান্ত্রিক সমাজ তারা চেয়েছিলেন সেটি তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। আরো অনেকেই একই কথা বলেছেন, কোটাব্যবস্থা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সম্মানজনক নয়।
এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। তারা কোটার বিলোপ চাননি, কোটার সংস্কার চেয়েছেন। দেশের প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীরা একযোগে বলেছেন, কোটাব্যবস্থা সংস্কার জরুরি। অন্তত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরেরা কোটা সংস্কারে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই আন্দোলন শুরু হলেও অতি দ্রুতই তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষর্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শরিক হন। শেষমেশ পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এতে যোগ দেয়। আর তার ফলে সারা দেশে এক অবরোধমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অচল হয়ে পড়ে গোটা দেশ। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর ওপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি যেন আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, আন্দোলন ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তারপর বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে; কিন্তু রাতে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এক বেফাঁস কথা বলে বসলেন। তিনি বললেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের বাচ্চারা চাকরি পাবে? অর্থাৎ গোটা ছাত্রসমাজকে তিনি রাজাকারের বাচ্চা বলে অভিহিত করলেন। একই রাতে অর্থমন্ত্রী বলে বসলেন, আগামী জুনের বাজেটের পর কোটা বিষয়ে আলোচনা পর্যালোচনা হবে। তার আগে নয়। একই দিন জনপ্রশাসন সচিব বললেন, কোটাব্যবস্থা সংস্কারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। ব্যাস, আগুনে ঘি ঢেলে দেয়া হলো। ছাত্রদের মধ্যে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রাখা না রাখা নিয়ে যে বিভাজন তৈরি হয়েছিল, মুহূর্তে তা দূর হয়ে গেল এবং তারা আবারো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন। দেশব্যাপী যে যেখানে আছেন অবরোধ সৃষ্টি করলেন। এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবার বললেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভ্যাট দিতে হবে। এতে পরিস্থিতি আরো নড়বড়ে হয়ে গেল। দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী বললেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভ্যাট দিতে হবে না। তারপর অর্থমন্ত্রী ফের বললেন, আচ্ছা ভ্যাট দিতে হবে না, কিন্তু ট্যাক্স দিতে হবে। আর যায় কোথায়? সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় বেরিয়ে এসে অবরোধে অংশ নিলেন এবং এক দিনে গোটা দেশের চাকা অচল হয়ে গেল। এখানেও সরকারের মেধাহীনতা প্রকটভাবে মুখ ব্যাদান করে বেরিয়ে এলো। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ঘোষণা দিলেন কোটাব্যবস্থাই বিলুপ্ত করা হলো। সংস্কার করলে আবার নতুন সংস্কারের দাবি উঠবে। সুতরাং সংস্কারের প্রয়োজন নেই। আর প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চাকরি বিশেষ ব্যবস্থায় দেয়া হবে। তিনি এখানেই শেষ করেননি। তিনি বললেন, কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আলোচনা পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে। অর্থাৎ শেষ হইয়াও হইল না শেষ। শিক্ষার্থীরা শেষ ঘোষণা দিয়েছেন যে, প্রজ্ঞাপন জারি পর্যন্ত তাদের আন্দোলন স্থগিত থাকল। অর্থাৎ ছাইচাপা আগুন জ্বলতেই থাকবে। ভবিষ্যতে যেকোনো সময় আবারো দাউ দাউ করে জ্বলে উঠতে পারে।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/310519