৭ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৯:৫৪

এমসিকিউ নয়, সমাপনী পরীক্ষা বাতিল দাবি

অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া

পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় এমসিকিউ বাতিল করায় হতাশ আর ক্ষুব্ধ হয়েছে ছোট ছোট পরীক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকেরা। রাজধানীর বনশ্রীতে নামকরা একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী গুলশান এমসিকিউ বাতিলের খবর শুনে হতাশার সাথে বলল, ধুর! এটা বাতিল করল কেন। এটা তো ভালোই ছিল আমাদের জন্য। এখন যে কঠিন পড়া আর পরীক্ষা তাতে এমসিকিউ অংশটা অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল।

সমাপনীতে এমসিকিউ বাতিল করার পর পঞ্চম শ্রেণির অনেক পরীক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে একই প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাদের মতে শুধু এমসিকিউ নয়; বরং সমাপনী পরীক্ষাই বাতিল করা হোক। শুধু অভিভাবকেরা নন, অনেক দিন ধরেই সমাপনী আর জেএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবি করে আসছেন অনেক শিক্ষক আর শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
অনেক অভিভাবক বলেন, শিশুদের নয়, বড়দের এমসিকিউ বাতিল করলে বেশি ভালো হতো। সমাপনীর এমসিকিউ ঠিক বড়দের মতো ছিল না। বড়দের এমসিকিউতে গোল্লা পূরণ (বৃত্ত ভরাট) করতে হয়। কিন্তু সমাপনীতে গোল্লা পূরণ করতে হয় না। কেবল সঠিক উত্তর খাতায় লিখতে হয়। তাদের জন্য এটা খারাপ ছিল না। অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু করে বড়দের এমসিকিউ উঠিয়ে দেয়া হোক।

১৯৯২ সালে এসএসসিতে এমসিকিউ চালুর পর থেকে এ নিয়ে বিতর্ক আর আলোচনা চলে দীর্ঘকাল ধরে। অনেকের মতে বাংলাদেশে শিক্ষার মানের ধসের পেছনে বিশেষভাবে দায়ী এ পদ্ধতি। এরপর প্রায় এক দশক ধরে প্রশ্নফাঁস, শিক্ষার মানে ধসসহ শিক্ষা খাতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পর আবার নতুন করে আলোচনায় আসে এমসিকিউ পদ্ধতি। অবশেষে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের নতুন রেকর্ডের পর এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল হচ্ছে। এমসিকিউ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক আর এর বিরুদ্ধে অনেক আলোচনা সত্ত্বেও গত ৩ এপ্রিল সমাপনীতে এটি বাতিল ঘোষণা করায় এ বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল অভিভাবকদের কাছ থেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর এমেরিটাস সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো অনেক শিক্ষাবিদ এমসিকিউর বিরুদ্ধে হলেও অনেকে আবার এর পক্ষেও রয়েছেন।
যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শাহ্ শামীম আহমেদ বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতিটি ভালো ছিল কিন্তু একে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়নি। ফলে এর সুফল আসেনি। এমসিকিউ পদ্ধতিকে ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য যে দক্ষ জনবল দরকার ছিল তা তৈরি করা যায়নি। তিনি বলেন, ভালো পদ্ধতিকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে না পারার কারণে উল্টো পদ্ধতিকেই এখন দোষারোপ করা হচ্ছে।

শাহ্ শামীম আহমেদ বলেন, কম সময়ে একজন শিক্ষার্থীর অধিক বিষয়ে মেধা যাচাই এবং অধিক তথ্য আদায়ের খুবই ভালো পদ্ধতি এমসিকিউ। এমসিকিউ পদ্ধতিকে ভালোভাবে ব্যবহার এবং এ থেকে সুফল পেতে দরকার ছিল সঠিক পদ্ধতিতে প্রশ্ন তৈরি করা। এমসিকিউ প্রশ্ন এমনভাবে করা দরকার ছিল যাতে শিক্ষার্থীর বৃত্ত ভরাট বা টিক চিহ্ন দেয়ার চেয়ে চিন্তা করতে অধিক সময় ব্যয় করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এমনভাবে প্রশ্ন করা হয় যেখানে একজন শিক্ষার্থী প্রশ্নের প্রথম শব্দ দেখেই বুঝে ফেলে এর উত্তর কী হবে। ফলে এমসিকিউ পরীক্ষায় যে সময় বরাদ্দ থাকে তার অনেক আগেই পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় অনেকের। এ থেকে বোঝা যায় মুখস্থপ্রবণতা এখনো প্রাধান্য পাচ্ছে। দুর্বল প্রশ্ন প্রণয়নের কারণে এটি হচ্ছে। শিক্ষক এমনভাবে প্রশ্ন করেন যাতে শিক্ষার্থী উত্তর মুখস্থ করে পরীক্ষার হলে আসে এবং ঝটপট বৃত্ত ভরাট করে ফেলে। কোনো চিন্তাভাবনার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু উচিত ছিল প্রশ্নটির উত্তর বুঝতে যেন চিন্তা এবং বুদ্ধি প্রয়োগের সুযোগ থাকা।
এমসিকিউর কারণে পরীক্ষার হলে অসদুপায় অবলম্বন বিষয়ে তিনি বলেন, এখানেও পদ্ধতি দায়ী নয়। দায়ী হলো পরীক্ষার হলে যাদের যে দায়িত্ব পালন করার কথা তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছেন না। শিক্ষকেরাই অনেক ক্ষেত্রে সহায়তা করছেন শিক্ষার্থীদের নানা সিম্বল ব্যবহার করে। এটা তো কাম্য ছিল না।

এমসিকিউ পদ্ধতির বিরোধিতা করে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একজন শিক্ষার্থী কোনো কিছু পড়ে তা বুঝল কিনা তা মূল্যায়নের একটি ভালো উপায় হলো তাকে কিছু লিখতে বলা।
সমাপনীতে এমসিকিউ বাতিল নিয়ে কথা হচ্ছিল রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে অভিভাবকদের সাথে। অনেক অভিভাবক বলেছেন, প্রশ্নফাঁস রোধের ব্যর্থতার শাস্তি কেন এসব শিশু আর তাদের অভিভাবকদের ওপর চাপানো হবে। প্রশ্নফাঁস রোধ করতে না পারার দায় কেন আমাদের বইতে হবে। তারা জানতে চান আমাদের কেন এভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে বারবার।

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এমসিকিউ প্রশ্ন পরীক্ষার হলে নাকি সবাই সবাইকে বলে দেয়। সে দোষ কি এসব শিশুদের? পরীক্ষার হলের পরিবেশ কেন ঠিক করা হচ্ছে না। আসল কথা হলো এখন পর্যন্ত পরীক্ষা, প্রশ্নফাঁস নিয়ে যত সমস্যা হয়েছে তার সব কিছুর জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে আমাদের আর আমাদের সন্তানদের। সরকার এমসিকিউ বাতিল না করে সমাপনী পরীক্ষাটাই বাতিল করুক। তাহলে আমরা একটু নিঃশ্বাস নিতে পারব। এ সমাপনী পরীক্ষার কারণে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শিশুদের এ তীব্র প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দিয়ে আমরা তাদের জীবন নষ্ট করছি। জোর করে অনেক পড়া গেলাতে হচ্ছে তাদের। সরকার বলছে, সরকার নাকি মুখস্থব্যবস্থা বন্ধ করবে। কই এসব পরীক্ষার কারণে তো দিন-রাত আমাদের সন্তানদের পড়া মুখস্থ করাতে হচ্ছে। তাদের মারধর করতে হচ্ছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে প্রাইভেট কোচিংয়ের পেছনে। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। শিশুরাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এটা ভালো হতে পারে না। এত চাপ আমরা আর সইতে পারছি না। সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করতে বলেন সরকারকে।

তবে শিক্ষকদের সাথে কথা বলার সময় অনেকে বলেছেন, এমসিকিউ বাতিল করায় ভালোই হয়েছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুগদা দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক দেওয়ান বাকিউল্লাহ নয়া দিগন্তকে বলেন, এমসিকিউর কারণে বর্তমানে পরীক্ষার হলে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। পরীক্ষার হলে অসদুপায় রোধ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনেক স্কুলের শিক্ষকেরা পরীক্ষার আগে প্রশ্ন দেখে উত্তর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের বলে দেয় পরীক্ষার হলে। এ পদ্ধতিতে খুব সহজে ভালো রেজাল্ট করা যায়। রেজাল্ট ভালো হচ্ছে কিন্তু শিক্ষার মান কমে গেছে।

এমসিকিউ তুলে দেয়াকে ভালো হিসেবে আখ্যায়িত করে দেওয়ান বাকিউল্লাহ বলেন, রচনামূলক ব্যবস্থাই ভালো।
এমসিকিউ বাতিল বিষয়ে পঞ্চম শ্রেণির হতাশ অভিভাবকদের এখন একটাই দাবি প্রশ্ন যেন সহজ রাখা হয়। ছোট ছোট শিশুদের ওপর কঠিন কিছু যেন চাপানো না হয়। আর তা খুব দ্রুত আমাদের জানানো উচিত।
অভিভাবকেরা বলেন, বছরের তিন মাস পার হয়ে গেছে। নভেম্বরে পরীক্ষা। কিন্তু এখনো আমাদের মানবণ্টন বিষয়ে কিছু জানানো হলো না।

এ দিকে সমাপনী আর জেএসসি পরীক্ষা তুলে দেয়ার দাবি শুধু যে অভিভাবকেরা করে আসছেন তা নয়, শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন অনেক শিক্ষাবিদ। এমনকি শিক্ষানীতির সাথে জড়িত শিক্ষাবিদেরাও এর বিরোধিতা করেছেন এবং নয়া দিগন্তে এ বিষয়ক প্রতিবেদনে তাদের মতপ্রকাশ করা হয়েছে শুরু থেকেই।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ পঞ্চম শ্রেণি শেষে কোনো পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের কথা বলা হয়নি। পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষার কথা থাকলেও তা উপজেলা ও থানাপর্যায়ে অনুষ্ঠানের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার একে জাতীয়ভাবে পাবলিক পরীক্ষায় পরিণত করেছে। অথচ সরকার নিজেই মানছে না তাদের প্রণীত শিক্ষানীতি।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর কো-চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। পঞ্চম শ্রেণি শেষে পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, আমি এটা সমর্থন করি না। আগেও করতাম না, এখনো করি না। সমর্থন করি না, কারণ এতে করে শিশুদের ওপর অনেক চাপ পড়ে। তা ছাড়া একে কেন্দ্র করে নানা ধরনের ব্যবসাবাণিজ্য শুরু হয়েছে।

প্রশ্নফাঁস ছাড়াও গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষার হলে নৈরাজ্যও ছিল সারা দেশে অনেক আলোচিত একটি বিষয়। পরীক্ষায় নকল উঠে গেলেও ভিন্ন ধারায় ফিরে আসে পরীক্ষায় অসদুপায় আর জালিয়াতি। এমসিকিউর কারণে পরীক্ষার হলে নৈরাজ্য নতুন মাত্রা লাভ করে। বিশেষ করে গত কয়েক বছর ধরে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। জিপিএ ৫ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা আর স্কুলগুলোর মধ্যে ভালো ফলাফলের প্রতিযোগিতার কারণে শিক্ষকেরাও যুক্ত হয় এ অনৈতিকার সাথে। এমসিকিউ চালুর পর প্রথম দিকে এ ধরনের নৈরাজ্য পরীক্ষার হলে ছিল না। কিন্তু কয়েক বছর ধরে প্রশ্নফাঁসের নৈরাজ্যের সাথে সাথে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আরো অনেক ধরনের নৈরাজ্য। এর মধ্যে পরীক্ষার খাতায় ঢেলে নম্বর দেয়ার সাথে আরেকটি নৈরাজ্য ছিল পরীক্ষার হলের পরিবেশ। এ বিষয়ক ভিডিও পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। তাতে দেখা যায়, শিক্ষকেরা অবাধে শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দেয়ার যেমন সুযোগ দিচ্ছে তেমনি নিজেরাও উত্তর বলে দিচ্ছে পরীক্ষার হলে।

২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সাল ছিল পাবলিক পরীক্ষাীয় প্রশ্নফাঁসের হিড়িকের বছর। ২০১৪ সালে বছরজুড়ে একের পর এক পাবলিক পরীক্ষায় ঘটতে থাকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। সমাপনী, এএসএসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় প্রতিটি বিষয়ে মুড়ি-মুড়কির মতো মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন। এ ছাড়া জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষায়ও তখন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষায়ও একের পর এক প্রশ্নফাঁস ঘটতে থাকে। ২০১৪ সালে সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে ধুমধামের সাথে। প্রশ্নফাঁস যেন উৎসবে পরিণত হয় সে বছর। সারা দেশে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
২০১৩ সালে সমাপনী পরীক্ষায় ইংরেজি এবং বাংলা বিষয়ে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হয়। ইংরেজি ৮০ এবং বাংলা ৫৩ ভাগ প্রশ্ন মিলে যায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে। ২০১২ সালেও সমাপনী পরীক্ষায় বাংলা ও গণিতে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে।

গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিন থেকেই টানা প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। প্রশ্নফাঁসের নতুন রেকর্ড স্থাপিত হয়। তামাশায় পরিণত হয় পাবলিক পরীক্ষা। প্রশ্নফাঁসের কারণে সারা দেশে কোটি শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করে তীব্র হতাশা আর ক্ষোভ। বিশেষ করে মেধাবী শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকেরা কোনো অবস্থাতেই এটা মেনে নিতে পারছিলেন না। অবেশেষে গত ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষায় বিরতিহীন প্রশ্নফাঁসের কারণে এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিলের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয় এমসিকিউ বাতিল বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। কারণ বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতিতে প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়। এমসিকিউর কারণে প্রশ্নফাঁস সহজ হয়েছে। এমসিকিউ প্রশ্নই বারবার ফাঁস হচ্ছে।

এরপর থেকে নিশ্চিত হয়ে যায়, এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিলের কথা বলার পর থেকেই সমাপনী পরীক্ষার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা আতঙ্কে ভুগতে থাকেন নতুন আবার কোনো নিয়ম চালু হয় সে বিষয়ে। ওদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এক আদেশ জারি করে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর থেকে শতভাগ যোগ্যতাভিত্তিক বা সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হবে শিক্ষার্থীদের। জারি করা আদেশে মানবণ্টনে এমসিকিউ পদ্ধতি বহাল রাখা হয়। কিন্তু গত ৩ এপ্রিল সমাপনীতে এমসিকিউ বাদিলের ঘোষণায় অকার্যকর হয়ে যায় নেপের এ আদেশ। কিন্তু নতুন করে মানবণ্টন বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেস কনফারেন্সে প্রশ্নফাঁস বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, টিক মারাটা বন্ধ করে দেবো। ওখানেই সুবিধা বেশি। ওটা বন্ধ করে দেবো।
এরপর গত ৩ এপ্রিল সমাপনীতে এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা করা হয়।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/308220