৫ এপ্রিল ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৫০

লুটেরা রক্ষা প্রকল্প

অন্য দৃষ্টি


জসিম উদ্দিন
ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ নানা সময়ে নানাভাবে লোপাট হওয়ার পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বড় বড় অর্থ কেলেঙ্কারি যারা করেছেন তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যথেষ্ট মান-ইজ্জতের সাথে সমাজে ‘নিট অ্যান্ড কিন’ মানুষ হিসেবে তারা সিনা ফুলিয়ে চলছেন। এই যখন অবস্থা, বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকেরা তখন সরকারের কাছে প্রটেকশন চাচ্ছেন। এরপরও প্রশ্ন হচ্ছেÑব্যাংক পরিচালকেরা আসলে কী ধরনের নিরাপত্তা চাচ্ছেন; সেই প্রশ্ন মনে জাগা স্বাভাবিক। বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকের অর্থ লুট হওয়ার পর দেখা গেছে, লুটেরা কোনো-না-কোনোভাবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত। জনগণের অর্থ লুট করার অপরাধে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি হওয়ার কথা থাকলেও তাদের কিছুই হচ্ছে না। এখন নিরাপত্তার জন্য তারা যখন নতুন বায়না ধরছেন, সেটি কেমন নিরাপত্তা, তা ভেবে অনেকে নিশ্চয়ই বিস্ময় প্রকাশ করছেন।

এর মধ্যে খবর হচ্ছে, বেসরকারি ব্যাংকের অর্থ সঙ্কট দূর করতে সরকার নিজে মাঠে নেমেছে। শেষ পর্যন্ত সরকারি সংস্থা-দফতরগুলোর তহবিলের অর্ধেক আমানত পাবে বেসরকারি ব্যাংক। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ আমানত সরকারি ব্যাংক পেলে বাকি ৫০ শতাংশ তারা বেসরকারি ব্যাংকে রাখতে বাধ্য হবে। এত দিন পর্যন্ত এ অর্থের ৭৫ শতাংশ তারা সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা রেখে আসছিল। একই সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ অর্থ জমা রাখার হার ১ শতাংশ কমিয়েছে। হিসাব করে দেখা গেছে, শুভঙ্করের এই খেলায় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে যাবে নগদ ১০ হাজার কোটি টাকা। আর সরকারি সংস্থাগুলোর জমা অর্থের পরিমাণ দুই লাখ কোটি টাকার ওপরে। এর অর্ধেক পেলে সেটা হবে এক লাখ কোটি টাকার মতো। এই টাকা পেতে বেসরকারি ব্যাংকগুলো এর মধ্যে লাফঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্বাচনী বছরে সরকার কেন এতটা উজাড় করে দিতে চাইছে, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। যেখানে এই ব্যাংক পরিচালকেরা দেশের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিদান দিতে পারেননি, বরং তাদের অধীনে থেকে এ দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়তে বসেছে।
অনেকে হয়তো হিসাব করতে বসবেন, এত দিন ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া টাকার অঙ্কটি এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা কি না। লোপাট হওয়া টাকার অঙ্ক যদি একই পরিমাণ হয়, তাহলে জনগণ দ্বিতীয়বার গচ্চা দিয়ে লুটেরাদের টাকা পরিশোধ করে দিলো। বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে যারা এ ধরনের লোপাটের সাথে জড়িত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক সরব হচ্ছেÑ এমন খবর নেই। এসব বাড়তি সুযোগ সুবিধা যখন রাষ্ট্র নিজে উদ্যোগী হয়ে তাদের জন্য আনজাম দিচ্ছে, বিরোধী দলের কার্যকর একদল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন জোরদার অনুসন্ধান শুরু করেছে। অন্যায়ের প্রতিবিধান করবেন যারা, তারা অপরাধীর খোঁজ করছেন না; তারা খোঁজ করছেন সরকারবিরোধীদের। অপরাধ দমনের সাংবিধানিক পবিত্র দায়িত্ব নিয়ে সরকারের সাথে তারাও বিরোধী দল দমনে মাঠে নেমেছেন। এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের বিচার সংস্কৃতির হালহকিকত।
সরকার যখন বেসরকারি ব্যাংক পরিচালকদের অনুকূলে; ভল্ট ফতুর হয়ে যাওয়ার পর তাদের অর্থ সংগ্রহ করে দিচ্ছে। দুদকসহ সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অর্থ লুটেরাদের ব্যাপারে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের আর কী বাড়তি প্রটেকশন দরকার? যার জন্য তারা অর্থমন্ত্রীকে জোর সুপারিশ করেছেন। বেসরকারি ব্যাংক পরিচালকদের সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতারা দাবি করেছেন, সংবাদমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধ করতে নতুন নিয়মনীতি করতে হবে। ব্যাংক খাতের ওপর জনগণের আস্থা টলে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে তারা সরকারের কাছে এই আবদার করছেন বলে মিডিয়ায় রিপোর্ট হয়েছে। বিগত আট বছরে ব্যাংক থেকে যে সব টাকা লোপাট হয়ে যায়নি, সেজন্য একটি ক্রেডিট মিডিয়া পেতে পারে। বাংলাদেশে দুর্বৃত্তপনার জয়জয়কার এক দিনে হয়নি। এটা ঠিক, এ জন্য সময়মতো মিডিয়া দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। তবে ব্যাংকের সব টাকা যে লোপাট হয়ে যায়নি, সেজন্য সংবাদমাধ্যমের খবর একটি বাধা হিসেবে কাজ করেছে। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পরিষদ, সরকার ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক যখন বশীভূত; মিডিয়া তখন সত্য কথাটি না বললে বাকি সব অর্থ এত দিনে বের হয়ে যেত।

প্রকৃত ব্যাপার হলো, সংবাদ প্রতিবেদন কখনো ব্যাংককে দুর্বল করে না। এর দুর্বলতার জন্য দায়ী অদক্ষ পরিচালনা। এর ফলে সৃষ্ট অব্যবস্থাপনা ব্যাংককে দুর্বল ও নিঃস্ব করে দেয়। সংবাদ কেবল তখনই প্রকাশ হয় যখন অনিয়ম ঘটে। এ অনিয়ম প্রকাশ না করলে মিডিয়ার দায়িত্ব পালন হয় না। নৈতিক অবস্থান থেকে সাংবাদিকেরা জনগণের অর্থের এই নয়-ছয়কে মুখবুজে নিতে পারে না। পরিচালকদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যথাযথ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রচিত সংবাদ প্রচার করা যাবে না। এ নিয়ম যদি কার্যকর থাকত, তাহলে ব্যাংক খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের একটি ঘটনাও প্রদীপের আলোয় আসত না। এ ধরনের একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পরিচালকেরা কি ভবিষ্যতে যেসব দুর্নীতি হতে চলেছে, সেগুলোর অগ্রিম খবর প্রকাশ বন্ধ করতে চাচ্ছেন? ব্যাপারটা যদি এমন হয়, তাতে বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবস্থা যে অচিরেই মারা পড়বে, সেটি বলার অপেক্ষা রাখবে না। চিকিৎসার জন্য এখন যেমন মানুষেরা ভারতসহ অন্যান্য দেশে ভিড় জমাচ্ছেন, একইভাবে এ দেশের মানুষেরা নিজেদের অর্থ নিরাপদ করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর কোষাগার বেছে নেবেন। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক তো আগে থেকেই রয়েছে।

পরিচালকদের মালিকানা ব্যাংকের মাত্র ১০ শতাংশ শেয়ার, বাকি ৯০ শতাংশ শেয়ার আসে সাধারণ জনগণের মধ্য থেকে। পরিচালকেরা যখন ব্যাংকের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন, লুট হওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ছাড়াও খেলাপি ঋণের পরিমাণ তখন এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। লুটেরারা যেমন ব্যাংক পরিচালনা পক্ষের লোক, একইভাবে মন্দ ঋণের সুবিধাভোগীরাও একই শ্রেণী থেকে এসেছে। সরকারি সংস্থার এক লাখ কোটি টাকা নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি এসব ব্যাংকে আমানত রাখা হলে মন্দ ঋণ হিসেবে এর মধ্যে চিহ্নিত এক লাখ টাকা আর ফেরত পাওয়ার দরকার হবে না; বরং নতুন আসা এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের নতুন ছক আঁটবে লুটেরা। এর আগে ফারমার্স ব্যাংক সরকারের জলবায়ু তহবিলের ৫০০ কোটি টাকারও বেশি হাওয়া করে দিয়েছে। এখন সরকারি সংস্থার এই টাকা বেসরকারি ব্যাংকে ঢোকার পর সেটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সবার শঙ্কিত হওয়ার কথা। এগুলো যদি সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশনসহ অবসর সময়ের জন্য সঞ্চিত অর্থ হয়, সেটি বড় টেনশনের ব্যাপার হবে। দেখা যাবে অবসরভোগীরা তাদের পেনশন তুলতে পারবেন না ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার কারণে।

দেশে যে একটি নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় ব্যাংক রয়েছে, তেমনটি মনে হচ্ছে না। অবশ্য বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই আক্রান্ত হয়ে বসে আছে। দেশের মানুষের অর্থসম্পদের রক্ষক ব্যাংকটি নিজেই নিজের অর্থের সুরক্ষা করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে চুরি হয়ে গেছে আট কোটি ১০ লাখ ডলার। এই চোরদের ধরা অকল্পনীয় ব্যাপার। কারণ, সরকার ও ব্যাংক উভয়ে এ ব্যাপারে ততটা উৎসাহী নয় যতটা দরকার। অর্থ উদ্ধারেও কোনো অগ্রগতি নেই। এসব ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে এক আইটি বিশেষজ্ঞ কিছু দিনের জন্য গুম হয়ে গেলেন। পরে তাকে ফেরত পাওয়া গেছে। গুম থেকে ফিরে আসা অন্য ব্যক্তিদের মতো তিনিও নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। এখন খবর বের হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ বের হয়ে যাওয়ার পেছনে ভেতরের লোকেরা জড়িত ছিল। দুর্নীতি থেকে দেশটির উদ্ধার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এখানে ঘুরেফিরে অনিয়মকারী টাউট-বদমাশদের আশকারা দেয়া হচ্ছে।

একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সারা বিশ্বে যে কাজটি করে সেটি হচ্ছে মুদ্রার মানের ভারসাম্য রাখা, ব্যাংক ব্যবস্থার তদারকি ও নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া। এবার যেভাবে সঞ্চিত অর্থ রাখার নিয়ম তছনছ করে দেয়া হলো তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে কিছু করেনি। সিআরআর ও এসএলআর নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে অর্থসম্পদ জমা রাখে, সেটি মূলত গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করে। পরিচালকদের স্বার্থে যেভাবে জমা অর্থের পরিমাণ কমানো হলো; তা গ্রাহকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলো। ১০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান করে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থবাজারকে ভারসাম্যহীন করল। এটি বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতির কারণ ঘটাবে। এমনিতে মুদ্রাস্ফীতিজনিত কারণে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি। এতে করে গরিব ও বঞ্চিত শ্রেণী আরো শোষণের শিকার হচ্ছে। বাড়তি হিসেবে সরকারি সংস্থার এক লাখ কোটি টাকা আরো বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে অর্থনীতির ওপর। এসব অর্থ নিরাপদ ব্যবহার হওয়ার নিশ্চয়তা আরো কমে গেল।
ব্যাংক ব্যবস্থার ত্রুটিবিচ্যুতি দূর করে অনিয়মমুক্ত রাখার যে প্রচেষ্টা, সেটি যে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিগত এক দশকে করতে ব্যর্থ হয়েছে, তা উল্লেখের প্রয়োজন পড়ে না। বিসমিল্লাহ ও ডেসটিনির পাশাপাশি ডজন ডজন ঘটনা একটির পর একটি ঘটেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার এখতিয়ার খাটাতে পারলে প্রথম ঘটনাটি ঘটার পর বাকিগুলো ঘটার কথা নয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনোভাবে তাদের ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। এর মধ্যে বাংলাদেশে এমন ব্যাংকের উদ্ভব হয়েছে, যারা গ্রাহকের চেকের বিপরীতে এখন অর্থ দিতে পারছে না। সুদ তো গেছেই, তারা মূলধনও হারাতে বসেছেন। বিদ্যমান ব্যাংক যখন যথেষ্ট ব্যবসায় করতে পারছে না, তখন একসাথে অনেকগুলো ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হলো। এগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলো এখন রুগ্ণ। এর মধ্যে দেউলিয়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমন ব্যাংকও রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আসলে কী দায়িত্ব পালন করেছে; বিশেষজ্ঞরা সেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কি তার পেশাদারিত্ব হারিয়ে দুদকের মতো ক্ষমতাসীন দলের অনুগত একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো?

হিসাব মতে দেখা যাচ্ছে, সবাই চলে গেছে লুটেরাদের পক্ষে। যারা সাধারণ মানুষের ধনসম্পদের নিরাপত্তা দেবেন, তাদের ঘাড়ে দায় যাচ্ছে সেই সম্পদ লুণ্ঠনের। অর্থাৎ রক্ষকেরা হয়ে গেছেন ভক্ষক। চোর, ডাকাত বাটপার, মুৎসুদ্দিÑ এরা বাইরে থেকে আসেনি। এরা এসেছে একেবারে ঘরের ভেতর থেকে। এই এক আজগুবি দেশ আমাদের। সিআরআর ও এসএলআর নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদের হার কমাতে হবে, এর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে পরিচালকদের পক্ষ নেয় সরকার। এর বাইরে সরকার তাদের জন্য নিজেদের তহবিলে থাকা টাকা জমা দিয়ে দিচ্ছে এই বিড়ালদের হাতে; যে বিড়ালেরা আগে সাবাড় করে দিয়েছে প্রায় সব শুঁটকি। এভাবে সরকার যখন গ্রাহকদের বিপক্ষে গেল, তখন এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার কথা ছিল নিরপেক্ষ সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের। কারণ, এ ব্যাংকটি স্রেফ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করার কথা। অন্ততপক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে ইতিহাস বিশ্বে রয়েছে তা এমনই। দেখা গেল তারাও সরকারের চাপের কাছে নতি স্বীকার করছে কিংবা ভেতর থেকে তাদের নৈতিক মানও ধসে গেছে। অন্য দিকে দুদকের মতো আরো যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা বহু আগে সরকারের পকেটে অবস্থান নিয়েছে। রাষ্ট্রের উপায়-উপকরণ সব লুটেরার পক্ষে একজোটে ব্যবহৃত হচ্ছে। জনগণের অর্থ লোপাটকারী যখন শাস্তি পাওয়ার কথা; দিন শেষে তারা হচ্ছে পুরস্কৃত। হ
jjshim146@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/307553