৪ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার, ১০:০১

নজিরবিহীন সংকটে ব্যাংকিং খাত

ব্যাংকের মালিকদের কাছে এখন পণবন্দী হয়ে পড়েছে দেশের আর্থিক খাত বা ব্যাংকের আমানতকারীরা। ব্যাংক আইন না মেনে নিজেদের ইচ্ছা মতো ব্যাংক পরিচালনা করতে চাইছে তারা। এ কাজে তারা অনেকেই কিছুটা সফলও হয়েছেন। তাদের চাপে সাধারণের আমানত সুরক্ষা করতে বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার (সিআরআর) কমা নজিরবিহীন। একই সাথে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংক রাখার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা ব্যাংকিং খাতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার অপরাধিদের বিচার না করে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর ফলে দুর্নীতি উৎসাহিত হতে পারে এবং নজিরবিহীন সংকটে পড়তে পারে দেশের ব্যাংকিং খাত।

ব্যবসায়ীদের চাপে সাধারণের আমানত সুরক্ষা করতে বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার (সিআরআর) কমা নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, এতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মর্যাদা যেমন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, তেমিন অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার অযোগ্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি খেলাপি ঋণ যেমন বাড়বে, তেমনি আমানতকারীদের আমানতও ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে।
জানা গেছে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো মারাত্মক তারল্য সংকটে ভুগছে। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ চেয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। এই সাথে সিআরআর ১ শতাংশ অর্থাৎ ১৩ হাজার কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করে ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি। তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী সিআরআর ১ শতাংশ কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন।
এর আগে ব্যবসায়ীরা সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার দাবি জানালেও তার কোন প্রতিফলন নেই অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে। উল্লেখ্য সুদের হার কমাতে প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তাই সেই নির্দেশের কোন কার্যকারিতা নেই। কিন্তু অর্থমন্ত্রী সোমবার আদেশ দিলে গতকাল মঙ্গলবারই তা কার্যকর করে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জানা গেছে, জনগণের আমানত সুরক্ষা করতে আমানতের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বাধ্যতামূলক জমা রাখতে হয়। এর মধ্যে একটি অংশ নগদে রাখতে হয়, যাকে সিআরআর বলে। যেমন, ব্যাংক ১০০ টাকা আমানত সংগ্রহ করলে সাড়ে ৬ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হয়। আরেকটি অংশ সম্পদ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয় যাকে এসএলআর বলা হয়। গত রোববার ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতৃবৃন্দের চাপে সিআরআর হার ১ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যা ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যা ঘোষণা করার কথা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের। এর ফলে বাজারে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়তে হবে। এর পর থেকেই নানা সমালোচনা করতে থাকেন অর্থনীতিবিদেরা। গতকাল এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরও দফায় দফায় প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, সিআরআর হার কমানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক হয়েছে। কারণ, কয়েক মাস ধরে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ বাড়ছে। যদি গত দুই মাসের পরিসংখ্যানও ধরা হয়, তাতেও দেখা যায় বেসরকারি খাতের ঋণ বিতরণ হয়েছে মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হারে। যেমন গত জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ, ফেব্রুয়ারি মাসের হিসাবে ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। সুতরাং ব্যাংকিং খাতে টাকার সঙ্কট হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হারে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করে কিভাবে? অপর দিকে, ব্যাংকাররাই বলেন, ভালো উদ্যোক্তা পাওয়া যায় না। যারা ঋণ নিচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। এখন সিআরআর বাড়ানোর কারণে ব্যাংকে টাকার প্রবাহ বেড়ে যাবে। এতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অযোগ্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ আরো বেড়ে যাবে। এ কারণে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেড়ে যাবে। এটা একেবারেই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
ব্যাংকের কিছু ব্যবসায়ী পরিচালকদের চাপে সিআরআর হার কমানোর সিদ্ধান্তকে দেশের ব্যাংকিং খাতে নতুন নজির স্থাপন বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে কয়েকটি ব্যাংকিং খাতকে কয়েকটি পরিবারের হাড়ে তুলে দেয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করা হলো। একই পরিবারের দুইজনের পরিবর্তে চারজন পরিচালক রাখার জন্য আইন সংশোধন করা হলো। এর ওপর তাদেরই চাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআরআর হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি আসলেই নজিরবিহীন। এভাবে চাপ দিলে কোন সিদ্ধান্ত আদায়ে নজির অতীতে আর নেই।

দেশের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা বর্তমানে ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, তারল্যঘাটতি দূর করতে ব্যাংককে অর্থ দিলে দুর্নীতিকেই উৎসাহ দেয়া হবে।
বেসরকারি ব্যাংকের তারল্যসংকট মোকাবিলায় সরকারের সাম্প্রতিক উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, একটি ব্যাংক থেকে দুর্নীতি করে ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে গেল। সেই ব্যাংককে আবার ৬০০ কোটি টাকা দেয়ার অর্থ হচ্ছে আরও ১০টি ব্যাংক দুর্নীতি করতে উৎসাহিত হবে। এটি কোনো অবস্থাতেই উচিত নয়। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা কী? আমি যদি আজকে চুরি করি, তাহলে আবার ১০০ কোটি টাকা দেবেন সেই চুরিকে জায়েজ করার জন্য! সেসব ব্যাংককে অর্থ না দিয়ে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে মার্জ করে দেয়া উচিত। সেই সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালকদের বাদ দিয়ে দেন।
ব্যাংকিং খাতে অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে এক ব্যাংকের পর আরেক ব্যাংক অনিয়ম করবে বলে মন্তব্য করেন বিজিএমইএর সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এখনই ব্যাংক খাতকে আরও (কঠোর) আইনের আওতায় নেয়ার অনুরোধ করছি।
মালিকদের চাপে সরকার এই যে নানা সুবিধা দিল, তাতে ব্যাংক খাতে অন্তত ১৩ হাজার কোটি টাকার সরবরাহ বাড়বে। তবে সুদহার আপাতত কমছে না। নির্বাচনী বছরে উদ্যোক্তারা নানা অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগেও খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ফলে ব্যাংক খাতে বাড়তি অর্থ মূল্যস্ফীতি ঘটাবে বলে অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা। পাশাপাশি অর্থ পাচারেরও সুযোগ বাড়বে। নির্বাচনের বছরে এমনিতেই অর্থ পাচার বাড়ে। এত সব উদ্যোগের পেছনে সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংক পরিদর্শন যে খুবই বেহাল, তার প্রমাণ একের পর এক ব্যাংক কেলেঙ্কারি। ২০০৯ সাল থেকে এর শুরু। হল-মার্ক কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারি, ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর এক কেলেঙ্কারি ঘটছেই। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তো আছেই, বাদ নেই বেসরকারি ব্যাংকও। যে অল্প কিছু বেসরকারি ব্যাংক ভালো করছে, তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃতিত্ব কতখানি, সে প্রশ্ন তোলাই যায়। যেসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভালো, ব্যাংকটিকে যারা ভালো রাখতে চায়, তারাই ভালো করেছে। এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন-ব্যবস্থা না থাকলেও তো চলে।
ব্যাংক পরিদর্শন বা তদারকির কাজটা তখন কে করবে? অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকেই এ দায়িত্ব দেয়া যায়। বর্তমান সরকার বন্ধ করে দেয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নতুন করে তৈরি করেছে ব্যাংক খাত নিয়ন্ত্রণের জন্য। অনেকে হয়তো বলবেন, তাদের তো যোগ্য লোক নেই। পাল্টা প্রশ্ন করে বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ্য লোক থেকেই-বা লাভটা কী? কাজটা তো তারা করছে না বা করতে পারছে না।

একটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বড় কাজ মূল্যস্ফীতিকে মাথায় রেখে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে কয়েকটি অস্ত্র দেয়া থাকে। এর অন্যতম হলো নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) আর বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণ (এসএলআর)। অর্থাৎ ব্যাংকগুলোকে নিয়ম মেনে আমানতের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। বর্তমানে সিআরআর হার হচ্ছে সাড়ে ৬ শতাংশ এবং এসএলআর ১৩ শতাংশ। মুদ্রা সরবরাহ বাড়াতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই দুই হার কমায়, নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে বাড়ায়। এ সিদ্ধান্ত কারা কীভাবে নেয়? বিশ্বে এর একটি মান্য নীতি আছে। তা হলো সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এটিই ঘোষিত নীতি। আর এ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়।
ব্যাংকের মোট মূলধনের ৯০ শতাংশই আসে আমানতকারীদের কাছ থেকে। ১০ শতাংশের মালিকানা বিএবির সদস্যদের। কিন্তু তাঁদের হাতে আছে আলাদিনের সেই আশ্চর্য প্রদীপ, যার নাম রাজনৈতিক প্রভাব। চাওয়ামাত্রই সব মেলে। আমানতকারীদের স্বার্থ দেখার কেউ এখানে নেই। অর্থনীতির তত্ত্ব বলে, ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সিআরআর-এসএলআর রাখার অর্থ হলো আমানতকারীদের এ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গচ্ছিত আছে। আমানতকারীদের স্বার্থেই তা করা হয়। অথচ নির্বাচনের বছরে এসে সরকার গুরুত্ব দিল ১০ শতাংশ মালিকদের স্বার্থ। ভোটার হিসেবেও আমানতকারীদের যেন কোনো মূল্য নেই।

দেশে খেলাপি ঋণ বহু আগেই এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সরকারি ব্যাংকগুলোতে মূলধন সংকট প্রকট। বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয় হয় অবস্থা। এর জন্য দায়ী মূলত সরকারের কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বলতা, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের দুর্নীতি, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের অব্যাহত সুবিধা দেয়া এবং ব্যাংক কেলেঙ্কারির নায়কদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া। ফলে সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংক খাত বড় সংকটে পড়ে আছে। দুই দফায় এই সরকারের ১০ বছর মেয়াদ ব্যাংক কেলেঙ্কারির দশক হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
অবশ্য ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি আবদার করেছে, ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না’র মতো কেলেঙ্কারির ইতিহাসও লেখা যাবে না। অর্থমন্ত্রীকে তারা এ নিয়ে লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছে। ব্যাংক খাত নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখি বন্ধ করার জন্য আলাদা একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলেছে। তার তদারকি করবে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকের মালিকরা লুটের প্রধান বাধা হিসেবে দেখছেন গণ মাধ্যমকে। আর এ কারণেই তারা চাইছেন লুটের খবর যাতে প্রকাশ না পায়। ব্যাংক মালিকদের এমন প্রস্তাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি। কিন্তু কে শুনে তাদের এই উদ্বেগের কথা। ব্যাংক মালিকদের কথাই যে ব্যাংক আইন। তারা যা বলেই তাই আইন হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কলারও জারি করে দেন রাতারাতি। তাদের জনগণের আমানতের আর কোন সুরক্ষা রইলনা। কে তাদের প্রতিনিধি। সরকার যেখানে তাদের পক্ষ নিয়েছে সেখানে তাদের বিপক্ষে অবস্থা নেয়ার ক্ষমতা কার আছে। আর এ সব তথ্য লেখার ক্ষমতাই বা কার আছে। সরকার যদি দুনীতিবাজদের বিচার না করে তাহলে ব্যাংকিং খাতে অস্তিরতা আরও বাড়বে। এ নিয়ে এখনই ভাবতে হবে।

http://www.dailysangram.com/post/325272