৪ এপ্রিল ২০১৮, বুধবার, ৯:৫৫

দক্ষিণ এশিয়ায় সুষ্ঠু নির্বাচনের শর্ত

আলমগীর মহিউদ্দিন
দক্ষিণ এশিয়াকে বলা যায়, ভূরাজনৈতিক অবস্থান ও তথ্যের সমাহার। এখানে ভৌগোলিক পার্থক্য, বিশাল জনসংখ্যা সমস্যা, এলাকার সীমারেখাসহ সব বিষয় আছে। তবে যে সমস্যা এখন প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে তা হলো, নিঃশ্বাস ফেলার সমস্যা। এটি প্রকট হয়ে ওঠে প্রতিটি নির্বাচনের প্রাক্কালে। এবার এর সাথে যোগ দিয়েছে প্রকৃতি।

এটা সত্য, দিন যত গড়াচ্ছে, নতুন সমস্যা ও সম্ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অবশ্যই নতুন ও অনাকাক্সিক্ষত নয়। তবে যা এখন সবাইকে বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এবং বোদ্ধাজনকে শঙ্কিত ও চিন্তিত করছে তা হলো-এর সমাধানের চেষ্টার চেয়ে এ অবস্থার সুযোগ নেয়ার চেষ্টাই বেশি। প্রকৃতির আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে স্পষ্ট। এটা ক্রমান্বয়ে দূষিত হয়ে পড়ছে। এর সাথে যদি আণবিক অস্ত্রের বিষয়টি আসে, তখন অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়া একটি ভয়ঙ্কর অবস্থানের মধ্যে বিরাজ করছে বলে মনে হবে। এসব সমস্যার সমাধান কে করবে? অবশ্যই রাজনীতি।
অন্য কথায়, রাজনীতি নির্ধারণ করবেÑ মানুষ নিশ্চিন্তে বাস করতে পারবে কি না। তারা স্বপ্ন দেখবে কি না অথবা আনন্দময় আবহাওয়া সৃষ্টিতে ব্যস্ত হবে কি না।
রাজনীতিবিদেরা কি সত্যিকার অর্থেই জনগণের কথা ভাবেন? এ প্রশ্ন বারবার এসেছে। আর জবাব স্বাভাবিকভাবেই বহুমাত্রিক। তবে একটি অবস্থানে সবাই একমত, রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতায় যেতে চান ও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চান এবং তা নিজ স্বার্থে। দক্ষিণ এশিয়ার চিত্র পৃথক হতেই পারে না; বিশেষ করে যদি সাম্রাজ্যবাদের বিষয়টি আসে।

প্রায় পাঁচ শতাব্দী ধরে এ এলাকায় সাম্রাজ্যবাদ বিরাজ করছে এবং জীবনব্যবস্থার আকার ও প্রকৃতিও তারাই নির্ধারণ করেছে। এখানকার রাজনীতি, সমাজব্যবস্থায় ধারক ও বাহক হয়েছে। এ সাম্রাজ্যবাদই সৃষ্টি করেছে ‘তৃতীয়’ বিশ্বের ধারণা। এখানে সাম্রাজ্যবাদ বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করা যায়। পশ্চিম ইউরোপ এর উদগাতা। প্রায় ৮০০ বছর আগে স্বাধীন আয়ারল্যান্ড ব্রিটিশদের অধীনে আসে। তারা নির্মাণ করেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, যেখানে কখনো ‘সূর্য অস্তমিত হতো না।’ তারা নির্ধারণ করলেন, বিশ্ব কিভাবে চলবে। সাম্রাজ্যবাদের শোষণ ও শাসনের আধুনিক চিত্র তারাই নির্মাণ করেন। এর পরে আসে শার্লামেনের আক্রমণ। তিনি স্লাভদের তার খনিতে কাজ করতে বাধ্য করেন। এই স্লাভ শব্দ থেকেই ইংরেজির স্লেভ বা ক্রীতদাস শব্দটির সৃষ্টি হয়। কেননা, এসব দাসকে কেনাবেচা করা যেত। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও জাপানি সাম্রাজ্যবাদ তাদের শোষণের কর্মকাণ্ড চালায় আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দেশগুলোতে এবং তাদের দরিদ্র বানিয়ে নাম দেয় ‘তৃতীয় বিশ্ব।’ অপর দিকে, একসময় এই মেসিডোনিয়া, পারস্য, রোম ও মোঙ্গল সাম্রাজ্য হারিয়ে যায়। তবে তাদের হাতিয়ার ‘পুঁজিবাদ’ নতুন সাম্রাজ্যের সৃষ্টি করতে থাকে। এরই পথ ধরে এসেছে ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ, যার নিয়ন্ত্রণে আছেন রথচাইল্ড ও রকফেলাররা। এখানে সাম্রাজ্যবাদ ও ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদের (ইম্পেরিয়ালিজম ও ক্যাপিটালিস্ট ইম্পেরিয়ালিজম) পার্থক্যটি একটু বলা প্রয়োজন।
সাম্রাজ্যবাদ নির্ভর করে লুটের ওপর, কিন্তু ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদের শোষণ ব্যাপকÑ তা শ্রম ও কৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ জীবনের একটি অংশ হয়ে পড়ে এবং সম্ভবত চিরস্থায়ী হয়ে যাবে।

এই ধনতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদ নানা পরীক্ষার পর আধুনিক প্রযুক্তি এবং নির্বাচনপদ্ধতির ওপর ভর করেছে তাদের ক্ষমতা ও শোষণের হাতিয়ার হিসেবে। ফলে জনগণের মতপ্রকাশের ও ক্ষমতা ব্যবহারের সব বাহনই তারা নানাভাবে ব্যবহার করে জনগণকে নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। অর্থাৎ জনগণ যে তাদের জন্মগত অধিকার ব্যবহার করতে পারছে না, সে বিষয়টিও তারা নিজেরা জানে না।
তবে এর বিরোধিতা হচ্ছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রকাশ ঘটেছে তার। কখনো কখনো দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ এই ক্ষমতালোভী ও কল্যাণকামীদের সঙ্ঘাতে বিরক্ত হয়ে গুটিয়ে গেছে। ক্ষমতালোভীরা ঠিক এটাই চান এবং তাই কোনো নির্বাচনের প্রাক্কালে অনাকাক্সিক্ষত সঙ্ঘাত বা সংঘর্ষ ঘটতে থাকলে অনায়াসে এই উপসংহার টানা যায়, ক্ষমতাসীনেরা তাদের গদিতে অটল থাকতে এ অবস্থার সৃষ্টি করছেন। এই দীর্ঘ বক্তব্যের মূলে হলো, বিশ্বব্যাপী সব নির্বাচনকে কিভাবে ক্ষমতালোভী ও ক্ষমতাশালীরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন এবং প্রভাব বিস্তার করেন।
এবার আসা যাক দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচনী রাজনীতিতে। এটা সত্য, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বীকৃত প্রধান মাধ্যম হলো নির্বাচন। সামরিক বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা দখল পুরনো পদ্ধতি হলেও এটা কখনো জনসমর্থন লাভ করেনি। কারণ, গণতন্ত্র সেখানে উহ্য। সে জন্যই গণতন্ত্র জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে, সামরিকতন্ত্র নয়।

ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ চার্চিল গণতন্ত্র সম্পর্কে একটি প্রণিধানযোগ্য মন্তব্য করেছিলেনÑ ‘বিভিন্ন ধরনের সরকার যারা বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক সরকার সবচেয়ে কম খারাপ।’ অর্থাৎ কোনো ধরনের সরকারই জনগণের নিকটাবর্তী নয়, গণতান্ত্রিক সরকার একটু কাছের।
চার্চিল ঠিকই বলেছেন। নির্বাচন কতগুলো আইনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ আইনের প্রণেতা হলেন ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাবানেরা। তারা এই আইন তৈরি করেন এমনভাবে, যেন জনগণ তাদের মতামত শুধু তাদের ছকেই দিতে পারবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, জনগণের কোনো ইচ্ছা বা মত এই নির্বাচনে প্রতিফলিত হয় না। এক দিকে, এই আইনগুলো ব্যবহার করে ক্ষমতাবানেরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন, অন্য দিকে তারা এই অনাকাক্সিক্ষত কাজের জন্য জবাবদিহিতার সম্মুখীন হচ্ছেন না। সবচেয়ে লক্ষণীয় হলো, নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা এবং অপশক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার।
নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিবিদদের আচরণ। এগুলো প্রায়ই গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা ও আদর্শের পরিপন্থী হয়। হয় তারা এগুলো জানতে চান না অথবা এ আইনগুলোকে তারা প্রকাশ্যে অশ্রদ্ধা করেন। এর প্রকাশ ঘটে শক্তির অপব্যবহারে। নির্বাচনের প্রাক্কালে সংঘর্ষ হয়নি বা ধরপাকড় চলেনি, এমন নজির নেই।

অথচ গণতন্ত্রের মূলে হলো শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী রাজনীতি, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য : সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে অথবা সব নাগরিক যেন অবাধে তার ইচ্ছা প্রতিফলিত করতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচনী রাজনীতির ধারণা, আকার ও প্রয়োগ প্রায় এক রকম। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষমতায় আরোহণের ধারা অদ্ভুতভাবে এক। এটা হয় কয়েকটি কারণেÑ বিশাল জনসংখ্যা, দুর্বল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংস্থার সামরিকীকরণ, দলবাজি, সাম্প্রদায়িকতা, ভয়াবহ আত্মীয় পোষণ, দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় অর্থের অবৈধ ব্যবহার, অনৈতিক আচরণ, জবাবদিহিতার অভাব, মানবিক অধিকারের অবাধ লঙ্ঘন এবং আইনের শাসনের প্রতি অশ্রদ্ধা। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, ক্ষমতাসীনেরা কখনো স্বীকার করেন না যে, এ অবস্থাগুলোর কারণে নির্বাচন বিঘিœত হয়, নিয়ন্ত্রিত হয় এবং জনগণের মতামত সত্যিকারভাবে প্রতিফলিত হয় না। এর সহজ কারণ, এই ভয়াবহ অবস্থার স্রষ্টা তারা নিজেরাই। ফলে ক্ষমতাবান গোষ্ঠী অবাধে জনগণকে অবজ্ঞা করছে অথবা তাদের প্রান্তিকে ঠেলে দিয়ে রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ সুবিধা দখল করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করছে। এর ফলে নির্বাচনপদ্ধতি ক্ষমতাবানদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। এখানে সরকারি যন্ত্রও অসহায়।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদেরা ক্ষমতাকেন্দ্রিক। তারা ক্ষমতার সাথে থাকার জন্য অতি সহজেই দল পরিবর্তন করেন, বিশেষত নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য।
আরো দেখা গেছে, জনগণ সাধারণত নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতাবঞ্চিত। অনেক ক্ষেত্রে তারা মৌলিক সামাজিক অধিকার, সম্মান ও সুবিচার থেকে বঞ্চিত। অনুসন্ধানে উল্লেখ করা হয়, এলিট ও ক্ষমতাবানেরা নির্বাচনী প্রচারণায় গোষ্ঠী, ধর্ম এবং সামাজিক বৈষম্যকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গিয়ে এসব সমস্যা সমাধানের নামে এগুলোকে আরো প্রকট করে তোলেন; বিশেষ করে যখন সুবিচারের দাবি ওঠে এবং সেসব দাবি যদি তাদের স্বার্থের পরিপন্থী হয়। এ জন্যই দেখা যায়, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনকে তারা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং দখলের চেষ্টা করেন। কোনো প্রতিবাদ বা সমালোচনা একেবারেই সহ্য করা হয় না। যেহেতু সংবাদমাধ্যম এবং প্রচারযন্ত্র তারা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করেন; তাই সঠিক তথ্যও জনগণের গোচরে আসে না।

নির্বাচনকে সার্বজনীন ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য কী করা উচিত। এর অনুসন্ধানে অন্তত ১৩টি চমৎকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেমনÑ ১. জনগণকে সব কিছু জানাতে হবে এবং তারা ওয়াকিবহাল থাকবে, ২. নির্বাচনপদ্ধতি ব্যয়বহুল হবে না, ৩. সৎনেতৃত্বে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন তৎপর থাকবে, ৪. শক্তিশালী কার্যকর পদ্ধতি থাকবে নির্বাচনে অবৈধ অর্থব্যয় নিয়ন্ত্রণের জন্য, ৫. সামাজিক নিবন্ধন সবার জন্য থাকতে হবে, ৬. গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলো কার্যকরভাবে চালু থাকবে, ৭. সংবাদমাধ্যম হবে সৎ ও নিরপেক্ষ, ৮. আমলাতন্ত্র হবে অবশ্যই নিরপেক্ষ ও সৎ, ৯. নির্বাচনের প্রতিটি পদক্ষেপ হবে স্বচ্ছ, ১০. প্রতিপক্ষকে অযথা অভিযুক্ত বা অপরাধী ঠাওরানোর প্রবণতা বাদ দিতে হবে, ১১. সব মত ও মতপার্থক্যকে সম্মান করতে হবে এবং কাউকে বাধা দেয়া চলবে না, ১২. সব দল ও প্রার্থীর দারিদ্র্য মোচন, দুর্নীতি দমন ও রাজনৈতিক সঙ্ঘাতের বিরুদ্ধে কর্মকাণ্ড থাকবে এবং তাদের সব অনাচার প্রতিহত করার কর্মসূচি থাকতে হবে এবং ১৩. জনগণকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

অনুসন্ধানে দাবি করা হয়েছে, এ ন্যূনতম বিষয়গুলো যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হবে সহজেই। অনুসন্ধানকারীরা একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বারবার; তা হলো, জনগণকে নির্বাচনে বাধাবন্ধনহীনভাবে ভোট দানের সুযোগ দিতে হবে। এগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো কৌশলের অবতারণা করা চলবে না। এটাও সত্য, যখনই সামান্যতম এমন অপকৌশলের ব্যবহার হয়, তা পরে প্রকাশ পেয়ে যায়। কারণ, সত্য কখনো ঢাকা থাকে না। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির সমস্যা ও সঙ্ঘাতের মূলেই রয়েছে, নির্বাচনপদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণ এবং নিজ স্বার্থে ব্যবহার। অনেকেই বলেন, উন্নত দেশগুলোতে কেন মিলিটারি ক্যু বা ক্ষমতা দখল হয় না? এর জবাব অবশ্য অনেক। তবে একটি জবাব সবার জানা, তা হলো ‘সিস্টেম’ বা পদ্ধতি। জনগণ এই সিস্টেমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর ব্যত্যয় ঘটলে জনগণের সমর্থন হারায় সহজেই এবং কখনো সিস্টেমকে নিজ স্বার্থে ব্যবহারের জন্য কোনো প্রকার কৌশল গ্রহণ করতে পারে না।

ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছায় কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়, যদি এই ইচ্ছায় থাকে জনকল্যাণের অভিরুচি। এমন ইচ্ছা না থাকলে ক্ষমতারোহণের পরে সব কর্মকাণ্ড অতি সহজেই জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন যে কেউ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য আহ্বান জানালে জনগণ এগিয়ে আসে। অবশ্য এ অবস্থা ক্ষমতাসীনেরা পছন্দ করেন না। তাই তারা দেশকে ‘পুলিশি রাষ্ট্রে’ পরিণত করেন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিণতি হয় করুণ। কারণ, ভাগীদাররা ক্ষমতা শেয়ার করতে চান না।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/307290