জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্র বাতিলের সুপারিশ করলেও সরকার তা মানছে না। উল্টো ইউনেসকো রামপাল প্রকল্প থেকে তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে। কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। অবিলম্বে কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন এ বক্তব্য দেয় ও দাবি জানায়। ৫৭টি পরিবেশবাদী সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনগুলো রামপাল প্রকল্প ও সুন্দরবনের পাশে অনুমোদন দেওয়া শিল্প কারখানাগুলোর অনুমোদন বাতিল ও উচ্ছেদসহ চার দফা বাস্তবায়নের দাবি করেছে। দাবি পূরণ না করলে আগামীতে আরো বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা দেয়।
সমাবেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে যেসব সর্বনাশী প্রকল্প ও কার্যক্রম চলছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, সরকারি ভুল কয়লা-নীতির কারণে বাংলাদেশ ক্রমশ নোংরা জ্বালানি হিসেবে পরিচিত কয়লার ডাস্টবিনে পরিণত হতে যাচ্ছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, বাপা’র যুগ্মসম্পাদক শরীফ জামিল ও আলমগীর কবির, গ্রীন ভয়েস’র সহ-সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, ঢাকা ইয়ুথ ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মহাজন, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ।