৩১ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৮:১৫

বর্ষায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

আসন্ন বর্ষা মওসুমে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।
নিউ ইয়র্কে গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বন্যার ঝুঁকি রয়েছে এমন এলাকায় বাস করছে। বর্ষা এসব মানুষের ওপর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সাথে গঠনমূলক আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, মাঠপর্যায়ে জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করছে।
ইউএনএইচসিআরের মতে, জুলাই ও আগস্টে বর্ষা মওসুমে দুই ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা রোহিঙ্গাদের বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ফেলবে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রস্তাব অনুযায়ী মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নিয়োগের অগ্রগতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যান্তোনিও গুতেরেজ বলেন, সবাই এটি মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। তবে আমি আশা করি শিগগিরই এর সমাধান হবে।
এ দিকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য উপযুক্ত সময়ের মধ্যে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আসন্ন বর্ষায় রোহিঙ্গাদের জীবন ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত তহবিল নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশের একার পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক পুনম খেত্রাপাল বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় মানবিক সঙ্কটগুলোর অন্যতম এটি। কোনো একক সংস্থা বা বাংলাদেশ সরকারের একার পক্ষে এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া সম্ভব না। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এমন এক জায়গায় রয়েছে যেটা ঘূর্ণিঝড়প্রবণ। এ এলাকা বৃষ্টি শুরুর সাথে সাথেই প্লাবিত হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় পানি ও মশাবাহিত প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/306301