২৯ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৫০

একটি খাঁটি নিয়োগপ্রক্রিয়া

অন্য দৃষ্টি

জসিম উদ্দিন
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া বিপুল কৌতূহলের বিষয়। সাধারণত দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ঘুষবাণিজ্যের মাধ্যমে একটি সফল নিয়োগ এখন এ দেশে বাস্তব ব্যাপার। নিয়োগপ্রক্রিয়ার এ নিয়তিকে মেনে নিয়ে কেউ খুব একটা উচ্চবাচ্য করেন না। কোন বিভাগে কারা নিয়োগ পাবেন, আর এ ব্যাপারে কারা ভূমিকা পালন করবেন, সবারই মোটামুটি জানা। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমও থাকে। ঝাড়–দার, চৌকিদার, পিয়ন, চাপরাশি নিয়োগে ঘুষ যদি অস্বাভাবিক হয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ফার্স্ট কাস ফার্স্টকে বাদ দিয়ে সেকেন্ড কাস লাস্টকে বাছাই করা হয়, তাহলে আগ্রহের সাথে মানুষ সেটা জানতে চায়। আবার সৌভাগ্যবশত কোনো একটি নিয়োগ যদি কোনো ধরনের অর্থকড়ি লেনদেন ছাড়া হয়ে যায়, সেটা তুমুল আলোচনার বিষয় হয়। এমন নিয়োগপ্রক্রিয়ার খবর দিয়েছে একটি পত্রিকা। কোনো ধরনের লেনদেন ছাড়া এমন একটি নিয়োগ নাকি সম্প্রতি পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে হয়েছে।

পত্রিকাটি লিখেছে, বিজ্ঞপ্তি দেখে তারা ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট করে পুলিশ লাইনস ময়দানে দাঁড়াল ফিটনেস পরীক্ষা দিতে। তারপর লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার পর সত্যিকারের যোগ্য প্রার্থীদের হাতে ধরা দিলো সোনার হরিণ। ধরাধরি করতে হয়নি, জমিজিরাত বিক্রি করে সর্বস্ব তুলে দিতে হয়নি নিয়োগ ফড়িয়াদের হাতে। পুলিশে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগে এবার স্বচ্ছতার এমন নজিরই স্থাপিত হচ্ছে। খবরটি ওই পত্রিকায় বিশেষ মর্যাদা পেয়েছে। প্রথম পাতায় আলাদাভাবে হাইলাইট করে এটিকে তারা প্রকাশ করেছে।

পুলিশে চাকরির জন্য উপযুক্ত লোকেরা নিয়োগ পাবেন, এমনটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কোনো ধরনের অনিয়ম ছাড়া ভালোয় ভালোয় এ নিয়োগ হলে এ ব্যাপারে সংবাদ হওয়ার কিছু নেই। হয়ে গেল তার উল্টো, এমন স্বাভাবিক ঘটনা যখন বাস্তবায়ন হলো পত্রিকা উচ্ছ্বসিত হয়ে মন্তব্য করলÑ ‘স্বচ্ছতার এমন নজিরই স্থাপিত হচ্ছে’। স্বাভাবিক নিয়ম অনুশীলন হওয়ার পর আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না। খবরটি এভাবে প্রকাশের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে বর্তমান চাকরির বাজারের আসল চিত্রটি উঠে এলো। সম্ভবত মিডিয়া উৎসাহের সাথে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগের বর্ণনা উপস্থাপন করতে গিয়ে থলের বিড়ালটি বের করে দিলো। এ দেশে চাকরির কোনো নিয়োগ অর্থকড়ি ছাড়া সম্ভব নয়। শুধু অর্থ দিলেই হবে না, সাথে থাকতে হবে জোরালো লবিং। এর সাথে লাগবে দলীয় পরিচয়। টাকা দিয়ে তারা নিজেদের ‘আদর্শের’ লোক নিয়োগ দেন। এই পুলিশ নিয়োগেও টাকাকড়ি লেনদেন না হলেও বিরোধী আদর্শের লোকদের বাছাই করে বাদ দেয়া হয়েছে। সেই অর্থে এ নিয়োগেও স্বচ্ছতা ছিল না।

পত্রিকাটি একটি উদাহরণ তুলে ধরেছে। আগেরবার প্রতারিত হওয়া একজন এবার কোনো ধরনের প্রতারণা ছাড়াই পুলিশে নিয়োগ পেয়ে যায়। পত্রিকার ভাষ্যেÑ ‘দিনমজুর তোতা শেখ। বাড়ি বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর। তার একমাত্র ছেলে মাসুদ রানা স্থানীয় একটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছেন। চলতি বছরের পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাত্র ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট দিয়েই চাকরি হয় তার। গত বছরও মাসুদ রানা সন্তোষজনক নিয়োগ পরীক্ষা দিলেও চাকরি হয়নি। পরিবারটির দাবি, এক রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে না পারায় তখন চাকরি হয়নি। সম্প্রতি পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে খুশিতে অঝোরে কেঁদেছেন তোতা মিয়া। জানিয়েছেন বঞ্চনার কথা।’

দিনমজুর তোতা মিয়া আজ কাঁদছেন। কারণ, অনেক বেশি খুশি হয়েছেন তিনি। সেটা ঠিক আছে। কোনো একটা প্রাপ্তি যেটা প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল তার কাছে, সেটি পাওয়ায় তিনি কেঁদেছেন। আজ যেই পুলিশ কর্মকর্তাকে সামনে পেয়ে কাঁদলেন, এ পুলিশ কর্মকর্তা আগেও ছিলেন। তাহলে এমন লেনদেনহীন নিরপেক্ষ নিয়োগ কেন হচ্ছে না। সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। আরো একটি উদাহরণ পত্রিকাটি তুলে ধরেছে। তিনি হচ্ছেন কক্সবাজারের মৎস্যজীবী মোহাম্মদ কালু নিয়োগ পাওয়া রফিকুল ইসলামের বাবা। পত্রিকাটি আরো খোলাসা করল। যোগ্য প্রার্থীরা বিনা ঘুষে শুধু ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট করে নিয়োগ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন। ধরতে হয়নি প্রভাবশালী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা বা পুলিশ কর্মকর্তাকে। জমি বা গোয়ালের গরু বিক্রি করতে হয়নি। নিয়োগে সহি পদ্ধতির হেতু কী, সেটাও পত্রিকাটি তুলে ধরেছে। এবার নাকি বিশেষ টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। আর ভিন্ন আঙ্গিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে তদবিরবাজরা ঘুষবাণিজ্যের ঠিক লাইনটি ধরতে পারেনি।

খাঁটি নিয়োগের খবরটির মাঝামাঝি এসে জানা গেল এখানেও কিছুটা দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতির ফিরিস্তি যদি ঠিকভাবে তুলে ধরা যেত, তাহলে পত্রিকার এ খবরটির চেহারা বদলে যেতে পারত। অর্থাৎ একটি খাঁটি নিয়োগ না হয়ে এটিকে নিয়োগে একটি দুর্নীতি হিসেবেও আনা যেত। সাধারণত সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব ত্রুটিবিচ্যুতি তুলে ধরা; যাতে জনগণের অধিকার রক্ষিত হয়। দেশের মানুষের মধ্যে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পত্রিকাটির খবর অনুযায়ী, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্যের কারণেও ছিটকে পড়তে হয়েছে অনেককে। সেই বিশেষ দল কোনটি তা পত্রিকাটি উল্লেখ করেনি। বাস্তবতা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্যের কারণে কোনো প্রার্থীকে বাদ দেয়া হয়েছেÑ এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলের ভিত্তিতে বাছাইয়ের প্রক্রিয়া নগ্নভাবে দেখা হয়। উত্তীর্ণ হওয়ার পর সরকারের বিভিন্ন অনুসন্ধানী দলের লক্ষ্যই থাকে, তারা আওয়ামী লীগের প্রতিযোগী বিএনপি কিংবা জামায়াতের সদস্য কি না। এ ধরনের দলীয় বিবেচনায় যদি এবারো নিয়োগ হয়ে থাকে, তাহলে সেটা কিভাবে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে? এটাকে কিভাবে স্বচ্ছ নিয়োগ বলা যায়? বরং এ নিয়োগের নাম দেয়া যেতে পারে আগের মতোই ‘দলীয় ভিত্তিতে পুলিশে নিয়োগ’। এমন ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগের জন্য এবারের পুলিশ নিয়োগ আগের মতো দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে থাকল। ঘুষ লেনদেন ছাড়া নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়াতেই পত্রিকাটি বেশ আগ্রহের সাথে ইতিবাচক সংবাদটি করেছে। আওয়ামী লীগের একজন সদস্য যেমন নাগরিক হিসেবে পুলিশে নিয়োগের জন্য অবৈধ হতে পারেন না, তেমনিভাবে তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি ও জামায়াতের কোনো সদস্যের নিয়োগও অবৈধ নয়। যদি এবারো এমনটি করা হয়, বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের বেছে বেছে বাদ দেয়া হয়েছে, তাহলে এই পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এটা সেই নিয়োগ হয়নি যেভাবে সংবিধান নির্দেশনা দিয়েছে। কোন দলের প্রতি আনুগত্যশীলদের বাদ দেয়া হয়েছে, পত্রিকা সেটি উল্লেখ না করলেও এটা নিশ্চিত যে, আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্যশীল কাউকে বাদ দেয়া হয়নি। বাদ দেয়া হয়েছে তাদের প্রতিযোগী বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক বলে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের।

পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কঠোর অবস্থানের কথা পত্রিকাটি প্রশংসার সাথে তুলে ধরেছে। তার শক্ত অবস্থানের কারণে লেনদেন ছাড়া যোগ্য লোকেরা পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন। কিভাবে তিনি খাঁটি একটি নিয়োগের ইতিহাস তৈরি করলেন, তার গল্পগাথা হচ্ছেÑ এ উপলক্ষে তিনি প্রতি জেলায় একটি করে পর্যবেক্ষক টিম গঠন করে দেন। সেই পর্যবেক্ষক টিম সঠিকভাবে কাজ করেছে। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, আরো একটি বিষয় এবার কড়াভাবে অনুসরণ করা হয়েছেÑ মাদকাসক্ত কেউ যেন পুলিশে নিয়োগ না পায়।

মাদক দমন ও পাচার নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সেখানে খোদ পুলিশের মধ্যেই রয়েছে মাদকাসক্ত। একইভাবে পুলিশের কিছু সদস্য সরাসরি মাদক কেনাবেচা ও পাচারের সাথে জড়িত। এই পুলিশবাহিনী দিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবা যায় না। পুলিশ নিয়োগে ডোপ টেস্টের ব্যাপারটি সুন্দর একটি বিষয়। ডোপ টেস্টে চূড়ান্ত তালিকায় ১০০ মাদকাসক্ত শনাক্ত করা হয়েছে এবার। তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। এর আগের সব নিয়োগে এ ধরনের টেস্ট করা না হলে গড়ে অন্তত প্রতি ১০ হাজারে ১০০ করে মাদকাসক্ত নিয়োগ পাওয়ার কথা। সেই হিসেবে পুলিশ বা অন্য বাহিনীতে কতজন মাদকাসক্ত রয়েছে, অঙ্ক কষে বের করা যায়।
একজন জাবেদ পাটোয়ারীর এ ধরনের শক্ত অবস্থান দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় সবাই প্রত্যাশা করে। পুলিশ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অধিকার হরণের জন্য অভিযুক্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে পুলিশের কারণে। যখনই সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে তাদের কৃত অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গাইছেন। সম্প্রতি বিরোধী দলের ওপর চালানো দমন-পীড়নের পক্ষে সদ্য নিয়োগ পাওয়া জাবেদ পাটোয়ারীও সাফাই গেয়েছেন। মানুষ চায়, এবার পুলিশ নিয়োগে যেভাবে তিনি সত্যের পক্ষে দাঁড়ালেন; একইভাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও সত্যের পক্ষে তিনি দাঁড়াবেন। একটা ক্ষেত্রে তিনি সৎ হবেন, অন্য ক্ষেত্রে সৎ হবেন নাÑ এমন সততা কতটা গ্রহণযোগ্য।

আসলে পুলিশে নিয়োগে দুর্নীতি একটি অতি সাধারণ ব্যাপার। পুলিশের কর্মকাণ্ডে যেমন ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ নিয়ে তার চেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে। এবারের ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগেও একই ধরনের দুর্নীতি হতে যাচ্ছিল। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই আর্থিক লেনদেনের বিভিন্ন খবর প্রকাশ হয়। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তালিকাও তৈরি করেছিলেন। এ জন্য আর্থিক লেনদেনপ্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। একটি গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, কিছু দালাল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রী-এমপিরাও ডিও লেটার তৈরি করেছেন। এ অবস্থার মধ্যে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পুলিশ সপ্তাহে এই দুর্নীতির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করলে আগের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেমে যায়। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি সেটি নতুন করে শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হয়। এই হচ্ছে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে সহি নিয়োগপ্রক্রিয়া।
একই দিন সহযোগী আরেকটি পত্রিকার খবর, পদ সৃষ্টি হচ্ছে সোয়া লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর। একজন আদর্শ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করা পুলিশের চেয়ে কম জরুরি নয়। শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়ম-দুর্নীতি একটি সাধারণ ব্যাপার। এবারের পুলিশ নিয়োগ থেকে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে দু’টি শিক্ষা নেয়া যেতে পারে। প্রথমত, মাদকাসক্ত কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। পুলিশের এক নথিতে বলা হয়েছে, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭০ লাখ। উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট অংশ মাদকাসক্ত। পুলিশের কনস্টেবল চূড়ান্ত নিয়োগের আগে ১০ হাজার প্রার্থীর মধ্যে শতাধিক মাদকাসক্ত শনাক্ত হয়েছে। সোয়া লাখ শিক্ষক নিয়োগের সময় একইভাবে মাদকাসক্তকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে বাদ দেয়া যেতে পারে।

শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীর অনেক সুনাম। এত সুনাম থাকার পরও তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে বলে অনেকে মনে করেন। শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ও বিভিন্ন বিভাগে দুর্নীতি-অনিয়মে শিক্ষাকার্যক্রমে বড় ধরনের ধস নামিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখান থেকে গোল্ডেন বের হচ্ছে, কিন্তু তা খাঁটি নয়। এত বিপর্যয়-ব্যর্থতার পর শিক্ষকদের একটি খাঁটি নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিজের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও ঘোচাতে পারেন। পারবেন কি সোয়া লাখ শিক্ষককে একটি খাঁটি প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে? তাহলে পুলিশ ও শিক্ষক দুই সেক্টরেই সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে করে হাঁটতে শুরু করতে পারে বাংলাদেশ সঠিক পথে।
jjshim146@yahoo.com

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/305693