২৮ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৫

দেশ ও জনগণের স্বার্থ সবার আগে

মো. আতিকুর রহমান : গণতন্ত্র বলতে বুঝায় রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। এই অংশগ্রহণ সম্পন্ন হয় জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জন-প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এ ব্যাপারে আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, “Government of the people, by the people and for the people” এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। বর্তমানে নির্বাচন তা যে কোন প্রক্রিয়ায় হোক না কেন, তা হতে হবে ক্ষমতার উৎস জনগণ ও বিশ্বদরবারে গ্রহণযোগ্য। আর এই গ্রহণযোগ্যতা ও জাতির আস্থা অর্জনে সকল প্রকার সংঘাত ও আন্দোলন পরিহার করে একাদশ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আনায়নে সকল দলের ঐকমত্যে পৌঁছানো এই মুহূর্তে অধিক জরুরী বলে মনে করি। আর এই কাজকে স্বার্থক করতে বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের নামে সভা, সমাবেশ, হরতাল, ভাংচুর ও নাশকতা করে দেশে আবারো জনদুর্ভোগ বাড়ানো থেকে যেমন বিরত থাকতে হবে, ঠিক তেমনি সরকারি দলেও উচিত হবে বিরোধী দলের যৌক্তিক মতামতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের দমন, নির্যাতন ও গণগ্রেপ্তার করা থেকে বিরত থাকা। মূলত সকল রাজনৈতিক দলকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এমন এক কৌশল অবলম্বন করতে হবে যা দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি জনগণের চরম দুর্ভোগ লাঘব হয়।

এই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্রের নামে লেবাসী গণতন্ত্র চর্চা ও নৈরাজ্য পরিহার করে সুষ্ঠু ভাবধারার গণতন্ত্র দেশে প্রবর্তন করতে হবে। সর্বদা নিজের ও দলের স্বার্থ ত্যাগ করে দেশ ও জনগণের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। একক ব্যক্তি পুঁজার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দলের ভিতরে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু করতে হবে। কেননা দলের ভিতরে স্বাভাবিক গণতন্ত্র চর্চার অনুপস্থিতিতে হিংসাশ্রয়ী রাজনীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দলের ভিতর দলীয় কন্দোল ও হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের মধ্যেও স্বাভাবিক নিয়মনীতির ব্যত্যয় ঘটছে। সর্বদা সুবিধাবাদী কতিপয় তন্ত্রের উত্থান ঘটছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনের কতিপয় তন্ত্রের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় অকার্যকর হয়ে পরছে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার ফাঁকফোকর দিয়ে অনিয়ম, অনাচার, দুর্বৃত্তায়ন, জিঘাংসা, হত্যা, গুম, প্রতিরোধ স্পৃহা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজ স্বার্থে ব্যবহারের হীন প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। যদিও বলতে দ্বিধা নেই, আজকাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র এই শব্দটি ব্যবহার করছে তাদের সুবিধা ও স্বার্থ আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে যা ভীতিকর। ফলে উদার গণতন্ত্রের মূলমন্ত্রটি এক প্রকার অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে। কিন্তু যদি বৃহত্তর দলের নেতানেত্রীরা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক হতো এবং তাদের দ্বারা সত্যিকারের অর্থে সুষ্ঠু ধারার গণতন্ত্র প্রবর্তন করা যেত, তবে রাষ্ট্রীয় আইনগত ব্যবস্থায় শ্রেণীগত, গোষ্ঠীগত, ধর্ম ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য ও পার্থক্যকে দূর করে মুক্ত পরিবেশে জনগণের মধ্যে মত বিনিময় এবং দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হতো। এতে সকল প্রকার কুসংস্কার, অবিশ্বাস ও অন্ধবিশ্বাস থেকে দেশ তথা দেশের মানুষকে মুক্ত করে তাদের অন্তর্নিহিত সৃজনশীল প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ ঘটানো সম্ভব হতো। যদিও যুগ যুগ ধরে এদেশের জনগণ এই ধরনের গণতন্ত্রের আর্দশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আতœাহুতি দিয়েছে এবং এখন দিচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত উদার গণতন্ত্রের এই সুফল এদেশের জনগণ ভোগ করতে পারেনি। তাই যত দ্রুত সম্ভব দেশ ও জনগণের স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দলকে আধুনিক ও উদার গণতন্ত্রের ধারা অনুযায়ী রাজনৈতিক সাম্য, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ, আইনের অনুশাসন ও ন্যায়বিচার, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা, বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা, ভোটাধিকার, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন ও গণসংযোগের মাধ্যমগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করে যেতে হবে। বিশেষ করে জনগণের আস্থা অর্জনে দলগুলোকে অধিক সচেষ্ট হতে হবে।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে বেশ সময় ধরে হত্যা, ক্যু-রাজনীতি, রাজনীতি লেজুরবৃত্তি প্রবর্তনের ফলে কার্যক্ষেত্রে জনগণ তাদের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারটুকুও হারিয়েছে। ফলে ক্ষমতার উৎস জনগণ পদে পদে নানামুখী হয়রানি ও করুণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। স্বাধীনতার পর গণতান্ত্রিক উপাদান সমৃদ্ধ সংবিধান গৃহীত হলেও বিভিন্ন সময়ে এর ধারাবাহিকতা ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও সংবিধানে বারংবার সংশোধন করে গণতান্ত্রিক চরিত্র বিনাশের মাধ্যমে একদলীয় ও স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছে। লেবাসী গণতন্ত্র, পরিকল্পিতভাবে অরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া, অস্ত্রের মুখে বা নিছক শক্তিবলে ক্ষমতায় টিকে থাকা, প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠানসমূহের গণতন্ত্রায়নের পরিবর্তে দলীয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংশ করা হয়েছে। যদিও ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর এ ভয়াবহ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে স্বৈরশাসন ব্যবস্থার পতন ঘটে। কিন্তু বাস্তবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ব্যাপারে কোন রাজনৈতিক দলের বিশেষ উদ্যোগ আমাদের চোখে পরেনি, যা কষ্টদায়ক। যদিও এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দেশে যে বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে তারা রাখতে পারেন বিরাট অবদান। কিন্তু ক্ষমতাসীন প্রতিটি রাজনৈতিক দল বারংবার তা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যার কুফল ভোগ করছে দেশ ও দেশের শতকোটি জনগণ। তাই যত দ্রুত সম্ভব উক্ত ধারার অবসান হওয়া জরুরী। এই জন্য প্রয়োজনী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অধিক সদিচ্ছা।

যদিও রাজনৈতিক দল বলতে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী সকল দলের কথাই বলা হয়েছে। আমরা মনে করি, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিরোধীদলগুলো কতটুকু ভূমিকা রাখছে সেটাই আসলে দেখার বিষয়। বিরোধী দলগুলো সংসদে সরকারী দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো বা বিরোধিতা করার মাধ্যমে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। সংসদ হতে পারে সকল রাজনৈতিক দলের সকল সমস্যা সমাধানের মূল কেন্দ্রবৃন্দ। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিরোধী দল মানেই বিরোধিতা নয়, সংসদ বর্জন নয়। অর্থাৎ বিরোধী দলকে সবসময় সরকারের সকল সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে হবে এমন কোন কথা নেই। সরকারী ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও সঠিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোই হবে তাঁদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট এবং এ ধারণার বাস্তবায়ন যে অলীক কল্পনা। দেশে ৫ম জাতীয় নির্বাচনের পর অদ্যাবধি যতবার নির্বাচন হয়েছে সেইসব নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো বারবারই ভোট কারচুপি, দলীয় সমর্থিত নির্বাচন কমিশন, সংসদে বসবার স্থান,পদ, ইত্যাদি বিষয়ের অজুহাতে বারবার সংসদ বর্জন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত এইসব জনপ্রতিনিধি জনগণের দাবি আদায়ের কাজ থেকে বিরত থেকেছেন। পক্ষান্তরে তারাই আবার নিজেদের আসন, পদসহ সরকারি সকল প্রকার সুযোগসুবিধা ঠিক রাখতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংসদে যোগদান করেছেন। ফলে তাদের দ্বারা জনগণের অধিকার আদায় না হলেও তারা তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ে সদাসর্বদা সচেষ্ট থেকেছেন যা কাম্য নয়।

আমাদের দেশের বিরোধী দলগুলো যেন সরকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার জন্যই গড়ে উঠেছে, তা যেকোন সিদ্ধান্ত জনসাধারণের জন্য উপকারী হোক বা অপকারী হোক। কিন্তু বিরোধী দলের স্বার্থকতা শুধু বিরোধিতা নয়। সরকারী সঠিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত এবং ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা সুষ্ঠু গণতান্তিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে পারেন। শুধু বিরোধী দলগুলোই নয়, ক্ষমতাসীন দলকে মনে রাখতে হবে যে শুধু তাদের নিয়ে নয়, তাঁদের ও বিরোধী দল উভয়কে নিয়েই রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকার- এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত শিক্ষা। সুতরাং ক্ষমতাসীন দলকে গণতন্ত্র মানতে হবে। হতে হবে অন্যের মতের প্রতি সহিষ্ণ। তাদের জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনকল্যাণের কাজে লাগাতে হবে। শুধু নিজ স্বার্থে বিরোধীদল ও জনদমনে নয়। এ জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের গড়ে উঠতে হবে দেশপ্রেমিক ও জনকল্যাণকামী প্রতিনিধি হিসেবে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বরাবর অবস্থান নেওয়ায় এবং শক্তি প্রদর্শন করায় দেশ যে এক ভয়াবহ সংকটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তা সকলকে অনুধাবন করতে হবে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোকে সংকট নিরশনে ঐকমত্যে পৌঁছতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে রাজনৈতিক নেতাদের ঐকমত্যের এ চ্যালেঞ্জ যে যত দ্রুত গ্রহণ করতে পারবে তার জন্য ততই মঙ্গল।

রাজনৈতিক দলগুলোকে একে অপরের ওপর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করে গঠনমূলক সমালোচনার আশ্রয় নিতে হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ব্যক্তি জীবন নিয়ে গবেষণা না করে তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা করতে হবে। এতে করে প্রতিটি দল তাদের নিজেদের কার্যক্রমের ও দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আরো অধিক সচেতন হবে এবং সূচিন্তিত জনহিতকর পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহী হবে, যা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যম্ভাবী। রাজনৈতিক দলগুলোকে একে অন্যের অবস্থান ও আদর্শের প্রতি সহনশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটি রাজনৈতিক দলের সাথে আরেকটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য মতার্দশে। এখানে ব্যক্তিগত শত্রুতার কোন স্থান নেই। দেশ ও জনগণের স্বার্থে যেকোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।

দেশে নির্বাচন ইস্যু, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দলীয় ট্রেন্ডারবাজি, গুম, খুন, নৈরাজ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘœসহ নানাবিধ রাজনৈতিক অস্থিরতা রোধকল্পে এদেশে রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের পাশাপাশি বৃহত্তর দলগুলোর নমনীয় মনোভাব আনয়ন বর্তমানে অধিক জরুরি হয়ে পরেছে। দেশের বৃহত্তর দলগুলোর রাজনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, ক্ষমতার লোভ ও হঠকারিতা যে চরমে পৌঁছেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হঠকারি সিন্ধান্তে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এদেশের শতভাগ জনগণ, তেমনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি। বৃহত্তর দলগুলো বিপরীতমুখী অবস্থার কারণে হরতাল, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর-এর ফলে দেশো ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ জনগণের, আগুনে পুড়েছে দেশের অর্থনীতি।

আমরা জনগণের ন্যূনতম অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজনীতি করি না, নিজেদের স্বার্থ আদায়ে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে নমিনেশন নিতে ও ভোটে যে পরিমাণ টাকা খরচ করি তার দ্বিগুণ অথবা তারও বেশি অর্থ তা যেকোন পন্থায় উপার্জনের জন্যই মূলত আমরা রাজনীতি করি। আর এর ফলে সরকারি অফিস ও দপ্তরগুলোতে সরকারি অর্থ হরিলুটের দপ্তরে পরিণত হয়েছে যার ফলশ্রুতিতে সরকারি প্রতিটি দপ্তরে কালো বিড়ালের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক নেতাদের এইসব কু-অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। ভাবতে হবে দেশের সাধারণ মানুষের কথা। আপনারা একে অপরের ওপর শক্তি দেখানো পরিহার করে পণবন্দী জনগণকে মুক্তি দিন এবং মিথ্যা কথার ফুলঝুড়িতে এসব জনগণকে শান্তির সিংহাসনে বসানোর স্বপ্ন দেখানো থেকে বিরত থাকুন”। এদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের কাছে জাতির প্রত্যাশা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করুন। তাই বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরশনে ক্ষমতার উৎস জনগণের জনদুর্ভোগ রোধ ও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ আনয়নে দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি জনগণের আস্থা প্রাপ্তিতে সর্বক্ষেত্রে নমনীয় মনোভাব আনয়ন করুণ যা সকলের জন্যই মঙ্গলজনক।
-লেখক কলামিস্ট, atik@bift.info

http://www.dailysangram.com/post/324306