২১ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ১০:১৪

পাঁচ সিটি নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের পথ সুগম করুক

১৫ মার্চ রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে দেশের পাঁচ সিটি কর্পোরেশন- গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, এ পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান নির্বাচিত পরিষদের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে এবং আইনানুযায়ী সিটি নির্বাচন করতে হবে নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ পূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। দেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী চলতি বছরের শেষদিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব সিটি নির্বাচন কতটা অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হয়, তার ওপর নজর রাখবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোসহ সচেতন জনগণ। এসব সিটি নির্বাচন কীভাবে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু একাদশ সংসদ নির্বাচনের পথ সুগম করতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় সিটি কর্পোরেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। সিটি এলাকায় উন্নত জনসেবা প্রদানে সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে সুযোগ ও ক্ষমতা। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯-এ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব ও কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে- জন্ম-মৃত্যু ও বিবাহ রেজিস্ট্রিকরণ, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে হাসপাতাল ও ডিসপেনসারি প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদন স্থাপন, পরিচালনা-রক্ষণাবেক্ষণ, পুরুষ-মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা পায়খানা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, আবর্জনা অপসারণ, সংগ্রহ ও এর ব্যবস্থাপনা, সাধারণ এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাকরণ, পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন, নর্দমা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, জনসাধারণের গোসল করা, কাপড় ধোয়া ও শুকানোর জন্য উপযুক্ত স্থান নির্দিষ্টকরণ, লাইসেন্স ছাড়া খাদ্য বা পানীয়দ্রব্য তৈরি বা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ, খাদ্যদ্রব্য, পানীয় ও পশু বিক্রির জন্য বাজার প্রতিষ্ঠা-রক্ষণাবেক্ষণ, বিপজ্জনক-ক্ষতিকর বস্তুর ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এক বা একাধিক স্থানে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে পশু জবাই বা কসাইখানা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ইমারত নিয়ন্ত্রণ, সড়ক ব্যবস্থাপনা, মোটরযান ছাড়া অন্য ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা ও রাস্তা ধোয়া এবং পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ, গোরস্থান ও শ্মশানঘাট ব্যবস্থাপনা, গাছ-পার্ক-উদ্যান ও বন নিয়ন্ত্রণ, পুকুর-জলাধার নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির বিকাশে সহায়তা প্রদান, সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ, সরকারের অনুমোদনক্রমে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন। এসব কার্যাবলী থেকে যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে তা হল, নগর জীবনে নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও তাদের নিরাপদ জীবনযাপনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব মূলত সিটি কর্পোরেশনের ওপর ন্যস্ত। তাই সিটি কর্পোরেশনগুলোতে উপযুক্ত মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯, স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এ সংশোধনী আনার আগ পর্যন্ত এসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা নির্দলীয়ভাবে নির্বাচিত হতেন। ২০১৫ সালে এসব আইনে সংশোধনী এনে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী- মেয়র পদে এবং উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান নির্বাহী- চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের বিধানে পরিবর্তন আনা হয়। এতে বলা হয়, এসব পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। সে সময় বিএনপিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল এবং দেশের বিশিষ্টজনরা সরকারের এ সংশোধনীর সমালোচনা করেন। তারা বলেছিলেন, দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় নির্বাচন সমাজে বিভাজন তৈরি করবে। তাছাড়া দলীয়ভাবে নির্বাচনে বড় বড় রাজনৈতিক দলে মনোনয়ন বাণিজ্য হবে। সরকার এসব সমালোচনাকে আমলে নেয়নি এবং উপর্যুক্ত আইন পাসের পর থেকে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী পদে দলীয় মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন করে আসছে। তবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথা- জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান নির্বাহী পদে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে এবং আইনে বলা না থাকলেও দলীয় সমর্থনে কাউন্সিলরদের নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলে গ্রামীণ সমাজে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ঐক্যে ইতিমধ্যে ফাটল ধরেছে বলে অভিজ্ঞজনরা মত প্রকাশ করেছেন। তারা এ পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এর বিকাশে অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই- সে নির্বাচন জাতীয় বা স্থানীয় যে পর্যায়েই অনুষ্ঠিত হোক। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এযাবৎ দুটি সিটি কর্পোরেশন- কুমিল্লা ও রংপুরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লায় জাতীয় সংসদের বাইরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি প্রার্থী এবং রংপুরে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল এবং একই সঙ্গে সরকারে থাকা জাতীয় পার্টি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এ দুটি সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে মতপ্রকাশ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আলোচ্য পাঁচ সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হোক- এটাই জনপ্রত্যাশা। তবে এজন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি নিশ্চিত করতে হবে। কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে, সিডিউল ঘোষণার পর যেন বিরোধী দলের, এমনকি স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল বাধাগ্রস্ত কিংবা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার না হন। সিডিউল ঘোষণার পর সরকারি দল মনোনীত, বিরোধী দল মনোনীত এবং স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থীরা এবং সরকারি দলসমর্থিত, বিরোধী দলসমর্থিত এবং স্বতন্ত্র কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা যেন কমিশন প্রণীত আচরণ বিধিমালা পুরোপুরি মেনে চলে, তা কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। প্রার্থীরা সরকারি বা বিরোধী যে দলেরই হোন, আচরণবিধিমালা লঙ্ঘনের দায় থেকে কেউ যেন ছাড় না পান। নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী যারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণে অযোগ্য বিবেচিত হবেন, তারা যেন কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে না পারেন। নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে কমিশনকে সর্বাÍক প্রচেষ্টা নিতে হবে। কমিশনকে স্মরণে রাখতে হবে, যদি তারা আসন্ন পাঁচ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ হন, তবে গত এক বছরে তাদের অর্জিত সুনাম নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এবং নির্বাচনের ফলাফল হবে বিতর্কিত। অব্যবহিত আগের কমিশনসহ আরও দু-একটি কমিশনের মতো তারাও ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে একদিন চলে যাবেন।

পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একাধিকভাবে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করতে পারে। এক. পাঁচ সিটি নির্বাচন একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনেকটা একদলীয় দশম সংসদ নির্বাচনের ফলে দেশে গণতন্ত্র পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং জনগণ নির্বাচনের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আলোচ্য পাঁচ সিটি কর্পোরেশন এবং আইনি জটিলতা কাটিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকাগুলো কাউন্সিলরদের পদে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা পক্ষাঘাতগ্রস্ত গণতন্ত্রকে কিছুটা সুষ্ঠু ও সবল করতে সহায়ক হবে। এরই ধারাবাহিকতায় একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু হলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত গণতন্ত্র পুরোপুরি সুষ্ঠু ও সবল হয়ে উঠবে। দুই. বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কুমিল্লা সিটি এবং রংপুর সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় জনগণ নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আবারও বিশ্বাস স্থাপন করতে শুরু করেছে। আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে তা নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের বিশ্বাস বহুলাংশে ফিরিয়ে আনবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী অন্যতম বড় দল বিএনপির নেতারা বলেছেন, তারা পাঁচ সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তাদের বক্তব্য হল যদি তাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেন, তা হলে তা দলের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবে। আর যদি তারা হেরে যান তাহলে তা নির্দলীয় সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যুক্তিকে জোরদার করবে। আসলে যে কোনো অবস্থায় বিএনপিকে সিটি কর্পোরেশনসহ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় আনুষ্ঠানিকতা মাত্র’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরকার আসলে বিএনপির মনোবল ভেঙে দিয়ে তাদের সিটি নির্বাচনসহ আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে চাচ্ছে। সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে যে ভুল করেছিল, কোনো অবস্থাতেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে যেন সে ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়। তিন. একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে পাঁচ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় পরীক্ষা বলে বিবেচিত হবে। এসব নির্বাচনে কমিশন সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে সক্ষম হলে এবং নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে তা বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করবে। এতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হবে।

সবশেষে বলতে চাই, সরকার ও নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠেয় পাঁচ সিটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের পথ সুগম করুক। এতে অবশ্য বিএনপিসহ সব বিরোধী দলকে নির্বাচনে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় গণতান্ত্রিক বিশ্বে সমালোচনার যে ঝড় উঠেছিল, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু একাদশ নির্বাচন হোক তার উপযুক্ত জবাব। একাদশ মুছে ফেলুক দশমের কলঙ্ক।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/window/29862