১৭ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৮:৩৮

টিআইবির সভায় ক্ষোভ

প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে সরকার ব্যর্থ

বর্তমান ৫৭ ধারা প্রস্তাবিত ৩২ ধারা বাতিলের দাবি

বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রশ্নফাঁস বন্ধে সরকারের ব্যর্থতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় সংস্থাটির বার্ষিক সভায়। তারা প্রশ্নফাঁস, ভর্তিবাণিজ্য ও নিয়োগবাণিজ্য বন্ধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সভার ঘোষণাপত্রে ৯ দফা প্রস্তাব ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা বাতিলের দাবি করা হয়।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় গত বৃহস্পতিবার টিআইবির ধানমন্ডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় সদস্যরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভায় টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম হাফিজউদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন। টিআইবির সাধারণ পর্ষদে টিআইবির সদস্যদের প্রতিনিধি অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় মোট ৪৬ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। দুর্নীতিকে সর্বান্তকরণে ঘৃণা করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সম্মিলিত প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত করা হয় টিআইবির সভা।

সভায় সদস্যরা বলেন, অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও সুশাসনের পূর্বশর্ত এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হাতিয়ার। তথ্য অধিকার আইনসহ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশকারীর সুরক্ষা আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং গণমাধ্যমসহ জনগণের মত ও তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা এবং বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইনের ১৪ ধারা বাতিলের দাবিও জানান টিআইবির সদস্যরা।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/302382