১৭ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৮:৩৮

সবজির দাম এখনো নাগালের বাইরে

১০ টাকার চালের প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে

কার্ডধারী দরিদ্র মানুষকে এক সপ্তাহ ধরে ১০ টাকায় প্রতি কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। একজন কার্ডধারী প্রতি মাসের জন্য ৩০ কেজি চাল পাচ্ছেন। আবার ডিলারদের মাধ্যমে খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু করেছে সরকার। কিন্তু রাজধানী ঢাকার খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। রাজধানীর খুচরা বাজারে গতকাল আগের মতোই নাজিরশাইল চাল ৭২ থেকে ৭৪, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫, জিরাশাইল ৬০ থেকে ৬২, বিআর-২৮ ৫৫ থেকে ৫৬, স্বর্ণা ও পারিজা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারে আসা নতুন সবজির দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকাদরে। কচুর লতির কেজি এখনো ৬০ থেকে ৮০ টাকা। ১০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙ্গা। অবশ্য চিচিঙ্গা, করলা ও ঢেঁড়শের দাম কিছুটা কমে এসেছে। খুচরা বাজারে কেনা যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকাদরে। খুচরা বাজারে গতকাল প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আলু ১৫ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, সবজির চালান এখন কমে গেছে। শীতকালীন সবজি এখনো বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে তা গোডাউনে সংরক্ষিত। আর অল্প কিছু আসছে মাঠ থেকে। তবে নতুন সবজির ফলন হওয়ার আগ পর্যন্ত দাম কমবে না। এ ছাড়া হুট করেই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ট্রাকে আনার সময়েই অনেক সবজি পচে যাচ্ছে। আবার রমজানকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই কিছুটা দাম বাড়া শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন পাইকারি সবজি বিক্রেতারা।

পেঁয়াজের দাম এ সপ্তাহে আরো কমেছে। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকাদরে। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে গতকাল প্রতি কেজি দেশী নতুন রসুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা বড় রসুন ৮৫ থেকে ১০০ টাকা, চিনি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, দেশী মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি করে বিক্রি হয়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা এবং পাকিস্তানি লাল মুরগি ২০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বাজারে গতকাল প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা এবং খাসির গোশত ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

বাজারে গতকাল আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, আকারভেড়ে প্রতিটি ইলিশ ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, বড় আকারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/302397