১৭ মার্চ ২০১৮, শনিবার, ৮:২৫

মানবজাতির অশান্তির নেপথ্য কারণ

হারুন-আর-রশিদ

আমাদের সত্যিকারের ইতিহাস, কৃষ্টি, সভ্যতা এবং জাতিগত বৈশিষ্ট্য আজকের প্রজন্ম জানে না বা জানতে দেয়া হয় না। ১৭ বছরের কিশোর মোহাম্মদ বিন কাসিম সপ্তদশ শতাব্দীর সূচনালগ্নে পরাক্রমশালী এবং দুর্নীতিপরায়ণ শাসক রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু বিজয় করে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম ইসলামের শান্তির বিজয় নিশান উড়িয়ে ছিলেন। মানুষকে দাসপ্রথা থেকে মুক্ত করেছিলেন, রাজা-প্রজার বিভেদ মূলোৎপাটন করে মানুষকে প্রকৃত মানুষ হওয়ার রাস্তা বাতলে দিয়েছিলেন। এরপর খাজা মাঈনউদ্দিন চিশতি (র:) বহু ঈশ্বরবাদী, উৎপীড়ন ও নির্যাতনকারী রাজা পৃথ্বিরাজকে পরাজিত করে ইসলামের সত্য বাণী প্রচার করে হাজার হাজার মানুষকে উচ্ছৃঙ্খলমুক্ত জীবন যাপনের পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন। একজন কনিষ্ঠ এবং অন্যজন মধ্যবয়সী দুই সাধক যা করতে পেরেছিলেনÑ বিগত হাজার বছরেও তা করতে পারেনি কোনো মানুষ। রুহানি জগতের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলে এমন অসম্ভব কাজ সম্ভব করা কখনোই সম্ভব হতো না। এ ধরনের ঈমানি শক্তির ক্ষণজন্মা মানুষ এখন নেই বলেই উপমহাদেশে মানুষে মানুষে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। মানুষ একটি জাতিগোষ্ঠী সেটা এখন হাজারো জাতিতে রূপ নিয়েছে। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও অঞ্চল এ নিয়ে তৈরি হচ্ছে জাতিগোষ্ঠী, মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই এটা রহিত হয়ে গেছে এই চারটি কারণে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, আদিবাসী, অভিবাসী, উপজাতি, অ-উপজাতি, বাঙালি-অবাঙালি ছাড়াও প্রায় পাঁচ শতাধিকের ওপর জাতিগোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভক্ত মানবজাতিকে সহাবস্থান থেকে পৃথকই শুধু করেনি, অশান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বময়।

মানবজাতিকে বিভাজন করা থেকে অশান্তি কিভাবে দীর্ঘায়িত হয় তার একটি চিত্র এখানে তুলে ধরছি, সম্প্রতি বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ভারত ভাগের পর নিজের সব নোট পুড়িয়ে ফেলেছিলেন র্যাডক্লিপ (২ আগস্ট ২০১৭)। ৭০ বছর আগে একজন ব্রিটিশ আইনজ্ঞকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশশাসিত ভারতকে ভাগ করে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা ঠিক করার জন্য। কাগজেকলমে ব্রিটিশশাসিত ভারতকে ভাগ করতে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু যে সীমানা তিনি এঁকেছিলেন ভারত ও পাকিস্তানের তা আজো উপমহাদেশে বড় উত্তেজনার মূল কারণ। এই ব্রিটিশ আইনজীবীর নাম সিরিল র্যাডক্লিফ। ব্রিটিশ ভারতে তখন জনসংখ্যা প্রায় ৪০ কোটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন অনেকটা তড়িঘড়ি করেই ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে একই সাথে তারা মুসলিমদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবি মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। Sir Cyril Redcliffe Never retwrned to inclia or Pakistan, অর্থাৎ আর কখনোই ভারত ও পাকিস্তানে যাননি র্যাডক্লিফ (BBC)।

তার দেশ ভাগের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার কয়েক দিন পর। এতে লাখ লাখ মানুষ স্বাধীনতার আনন্দ উদযাপন শুরু করে, যদিও তারা নিজেরাই জানত না যে, তারা ঠিক কোন দেশের অধিবাসী হতে যাচ্ছেন। অনেকেই আবার বিস্মিত হয়েছিলেন, এক কোটি ২০ লাখ মানুষ র্যাডক্লিফের আঁকা বিভক্তি লাইন, যেটি পরে র্যাডক্লিফ লাইন নামে পরিচিতি পায় সেই লাইন অতিক্রম করতে হয় নিজের বসবাসের জন্য। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদি ধর্মীয় সহিংসতা, তাতে প্রাণ হারায় প্রায় আট থেকে ১০ লাখ মানুষ। এটি ছিল একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি, যা এখনো রক্তাক্ত করে চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে। দেশ ভাগের আলোচনার টেবিলে ছিলেন জওয়াহের লাল নেহরু, লর্ড মাউন্ট ব্যাটন এবং মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ। তবে সিরিল র্যাডক্লিফ দেশ ভাগ শেষ করে ভারত ছাড়ার আগেই পুড়িয়ে ফেলেন তার সব নোট। পুরস্কারস্বরূপ দেশে ফিরে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নাইট উপাধি পান। তবে তার মনে কোনো সন্দেহ ছিল না যে, পাঞ্জাবি আর বাঙালিরা তার সম্পর্কে কী চিন্তা করবে বা তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করবে। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন অন্তত আট কোটি মানুষ আমাকে দেখবে ক্ষোভ নিয়ে। তবে স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ যতদিন জীবিত ছিলেন একটি বারের জন্য আর ভারত ও পাকিস্তানে আসেননি।

বিশ্বাসঘাতকতা কত ভয়ঙ্কর, তার উজ্জ্বল আরেকটি দৃষ্টান্ত উপমহাদেশে দেখতে পাই আমরা ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন লর্ড ক্লাইভের তিন হাজার সৈন্যের কাছে নবাবের ৬৫ হাজার সৈন্য থাকা সত্ত্বেও চরমভাবে হেরে যান ইস্ট ইন্ডিয়া বেনিয়া শক্তির কাছে। এভাবেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে ব্রিটিশ রাজতন্ত্র কায়েম হয় উপমহাদেশে যার সময়কাল ছিল ১৯০ বছর। ব্রিটিশের নীলনকশা অনুযায়ী এখনো উপমহাদেশের আটটি সার্কভুক্ত রাষ্ট্র চলছে যার কারণে নীতি-নৈতিকতা, আদর্শবোধ, মূল্যবোধ, নারীর প্রকৃত মর্যাদা সামাজিক অপরাধপ্রবণতা, দুর্বৃত্তদের আধিপত্যবাদ সাম্প্রদায়িক উসকানির মদদদাতা ফ্যাসিবাদ, রাজতন্ত্র, সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, মুক্তবাজারের নামে একক বাণিজ্য খবরদারি সব কিছুই জ্যামেতিক পদ্ধতিতে বাড়ছে। মানুষের মধ্যে বৈষম্য কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে উল্লিখিত আলোচনা থেকে আমরা সুস্পষ্ট ধারণা পাবো। এ জন্য দোষী বা দায়ী কারা ইতিহাসের পাতায় তা আরো বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। ’৪৭ ও ’৭১ উপমহাদেশে কোনোটিই প্রকৃত শান্তি আনতে পারেনি। ব্রিটিশের রাজতন্ত্র, শাসনতন্ত্র, জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির নীলনকশা সবই এখন আরো জোরালো রূপ ধারণ করেছে। মনুষ্যসৃষ্ট মতবাদ পৃথিবীতে শান্তি আনতে যে পারে না তা জিন এবং ইনসান সৃষ্টির পর থেকেই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বারবার উল্লেখ করেছেন ওহির মাধ্যমে এবং অহরহ তা ঘটছে।

২০১৮ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় ভারতীয় মানবতাবাদী কর্মী বুফার পুরস্কার জয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের একটি বই বেরিয়েছে। বইটি কিনেছি আমি। নাম দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস বাংলা অর্থ ‘পরম সুখ মন্ত্রণালয়’। লেখিকা গ্রন্থের ভূমিকা শুরু করেছেন এভাবেÑ দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস ভারতীয়দের চক্ষুশূল হবে কারণ তারা ভারতীয় এবং তাদের চোখে কাশ্মিরে দেশপ্রেমিক ভারতীয় সেনাবাহিনী মহান দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনী দখলদার উৎপীড়ক বাহিনী। আবার লিখেছেন কারণ তারা হিন্দুত্ববাদী এবং তাদের চোখে মহান হিন্দু রাষ্ট্র ভারতে মুসলিমরা সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু তিনি আরো লিখেছেন হিন্দুত্ববাদীরা গণহত্যাকারী সন্ত্রাসী। আরো লিখেছেন রাজনৈতিক কারণে ভারতে গুম, অপহরণ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। সুতরাং দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস হবে তাদের ঘৃণার বস্তু এবং অরুন্ধতী রায় হবেন তাদের হত্যার লক্ষ্যবস্তু। এবার একটু বাংলাদেশের দিকে নজর দিইÑ অরুন্ধতী রায় ভারত সম্পর্কে যা বলেছেন বাংলাদেশেও সেই একই কায়দায় রাজনৈতিক নিধন চলছে। পুলিশ বাহিনী শাসকগোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ দমনে সদা ব্যস্ত। কথাগুলো বললাম এ কারণে যে, মানুষ নামের শ্রেষ্ঠ জীবটি এখন সর্বস্থানে অনিরাপদ। সত্য কথা বললেই সে সন্ত্রাসবাদী, প্রতিবাদ করলে তাকে মামলায় ফেলে জেলহাজতে ঢুকাবে। শুধু উপমহাদেশ নয় গোটা বিশ্বে শান্তিকামী মানুষ আজ সন্ত্রাসী। মানুষকে সইতে হচ্ছে নৈমিত্তিক নিষ্ঠুরতা, শিকার হতে হচ্ছে নির্মম বর্বরতার। মিডিয়ার পর্দায় চোখ রাখলে দৃশ্যগুলো নৈমিত্তিক দেখা যায়। এক বুক বেদনা নিয়ে জীবনযাপন করা মানুষ নামের এই জীবটির জন্য তা কত কষ্টদায়ক তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, এই রাষ্ট্রে সবাই নিরাপদ। আসলে কি তাই! সুপ্রিয় পাঠকরা তা ভাবুন।

ব্রিটিশদের রাষ্ট্র পরিচালনায় অন্যতম প্রধান কৌশল ছিল বিরোধ ও বিভক্তি। সে বিবেচনায় এই উপমহাদেশের জন্য অনিবার্য ছিল হিন্দু-মুসলিম বিরোধ। ব্রিটিশদের বিভেদ নীতি উপমহাদেশে এখনো সক্রিয় সর্বত্র। ভারতবর্ষে আটটি রাষ্ট্রের জন্ম ব্রিটিশদের বিভেদ নীতির কারণে। মিয়ানমারের শাসক গোষ্ঠী রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশবিক নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ আরো কোনো রাষ্ট্রের জন্ম হয় কি না সময় তা বলে দেবে। ব্রিটিশ যে রাজনৈতিক কৌশল শিখিয়ে দিয়েছে সেটাই অধ্যয়ন করে চলছে এ অঞ্চলের একশ্রেণীর জ্ঞানপাপী এবং রাজনীতিকেরা। তারা নিজেরা কিছু জানে না, শেখানো বুলি আওড়ায় এবং রাষ্ট্রকে সেভাবে চালায় ফলে শান্তি পালিয়ে বেড়ায়।

প্রশ্ন উঠছে, সৃষ্টির সেরা জীব এত অপরাধ করে কেন। মানুষই একমাত্র প্রাণী যে প্রতিদিন সীমাহীন অপরাধ করে। মানুষ ছাড়া আর কোনো প্রাণী এত অপরাধ করে না। এত খুনখারাবি করে না। তারা শান্তশিষ্টভাবে বনেজঙ্গলে বাস করতে চায়। মানুষ তা দেয় না। খুন করা মানুষের যেন অনেক ভালো একটি গুণ। ইদানীং খুনিরা খুন করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে। নিজেই বলে আমি খুন করেছি, কী করবি, কর। একটি মানুষ একটি বাঘকে যত না ভয় পায় তার চেয়ে বেশি ভয় পায় একজন মানুষকে। পক্ষান্তরে একটি বাঘ মানুষকে ভয় পেলেও অন্য বাঘ নিয়ে তার খুব বেশি চিন্তা নেই। কারণ অন্য বাঘটি মানুষের মতো বিশ্বাসঘাতক নয়। সে তার সর্বস্ব লুটে নেবে না। রাত ৮টার পর ঢাকার যেকোনো রাস্তায় একটি মানুষ হেঁটে যেতে ভয় পায়। তার ভয় অন্য কোনো প্রাণীকে নয়। তাদেরই জাতভাই আরেক মানুষই তার ভয়ের কারণ। যেকোনো সময় ভয়ানক একটি মানুষ এসে তার সর্বস্ব কেড়ে নিতে পারে। এমনকি সামান্য একটি ঘড়ি কিংবা মোবাইলের জন্য জানও দিতে হতে পারে। এই সভ্যতার দাবিদার মানুষ ছাড়া আর কোনো প্রাণীর কিন্তু স্বজাতি থেকে কোনো ভয় নেই। এখন কী করে বলি মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব? প্রশ্নটি এসে যায়, মানুষই একমাত্র প্রাণী যে কি না অন্য মানুষকে মারার জন্য নানান আধুনিক অস্ত্র বানায়। অন্য মানুষের ঘরবাড়ি আর দেশ দখল করার জন্য আধুনিক সেনাবাহিনী তৈরি করে। মানুষ মারার বিদ্যাকে আবার সমরবিদ্যা নাম দেয়। মানুষ ছাড়া আর কোনো প্রাণী কি ট্যাংকে, ফাইটার, কামান, বন্দুক, এটোম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা বানিয়েছে তার একমাত্র কাজই হচ্ছে ধ্বংস।

আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখুন অগণিত গ্রহ, নক্ষত্র, সূর্য, চন্দ্র নিয়ম মেনে চলছে, তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াবিবাদ নেই। মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা নিজেদের মধ্যে ধনী, গরিব এসব সৃষ্টি করেছে। কেউ খায়, আবার অপচয় করে, আবার কেউ খেতে পায় না, কেউ বিলাসী জীবনযাপন করে, দামি জামাকাপড় পরিধান করে, গাড়িতে চড়ে, নাইটক্লাবে যায়। অন্যের টাকা মেরে দিয়ে নিজে বড়লোক হয়। ধর্ষণ এখন স্বাভাবিক ঘটনা। অন্য কোনো প্রাণীর মধ্যে এই সব অসৎ আচরণ নেই, তারা সবাই একইভাবে থাকে। ঝগড়া বিবাদ নেই, তারা নিজেরা শান্তিতে থাকতে চায়। ভেতর থেকে প্রশ্ন আসে, তাহলে কী করে বলিÑ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব? মানুষের রয়েছে অনেক অনেক ভালো গুণ, একই সাথে তার আছে অনেক অনেক খারাপ দোষ। দোষগুলোকেই মানুষ বেশি ব্যবহার করে। ভালো গুণ ব্যবহার করতে চায় না। মানুষের মাথায় উন্নত মগজ রয়েছে, যা অন্য কোনো প্রাণীর নেই। তাই তো মানুষের হাত-পা ছাড়া অন্য কোনো প্রাণীকে আক্রমণ করার মতো ধারালো কিছু নেই। কিন্তু বুদ্ধির জোরে সে অনেক ধারালো অস্ত্র বানিয়েছে। অস্ত্র আর লোভের কারণে মানুষ বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছে। অল্পতে সে সন্তুষ্ট নয়। ষড়রিপুর তাড়নায় মানুষ তার ভালো গুণাবলি হারিয়ে অন্য প্রাণীর চেয়েও অধম হয়ে গেছে। ভালো মানুষরা তাই আজ ভাবছে মানুষ কি আসলেই সৃষ্টির সেরা জীব। পৃথিবীতে এখনো খারাপ মানুষের চেয়ে ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি। তারা আল্লাহর বিধান মেনে চলছে বলে পৃথিবী এখনো টিকে আছে। মানুষ যখন সব অমানুষ হয়ে যাবে সেই দিন কিয়ামত হবে বা ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী।হ
E.M.harunrashidar@gmail.com

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/302464