১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:০১

মিয়ানমার সামরিক জান্তা দমন-পীড়নের যুগে ফিরে যাচ্ছে : জাতিসঙ্ঘের বিশেষজ্ঞ

মিয়ানমার সামরিক জান্তা দমন-পীড়নের যুগে ফিরে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার আলামত রয়েছে। এই অপরাধের সাথে জড়িতদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গতকাল জেনেভায় জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কমিশনে দেয়া প্রতিবেদনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইয়াংহি লি মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার। হলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার কিছু মন্তব্যের কারণে মিয়ানমার সরকার তাকে সে দেশে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না।
ইয়াংহি লি বলেন, ২৫ আগস্ট ২০১৭ এবং ৯ অক্টোবর ২০১৬ সালের পর রাখাইন রাজ্যে নৃশংসতার সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথা বলে কয়েকটি লোক দেখানো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে মিয়ানমারকে গণতন্ত্রের পথে আনার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর আদেশ যারা দিয়েছে, যারা বাস্তবায়ন করেছে এবং মিয়ানমার সরকারের যেসব নেতা এই নৃশংসতা বন্ধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তাদের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

কালবিলম্ব না করে একটি পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানান জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার। তিনি রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের জন্য কক্সবাজারে তিন বছরের জন্য জাতিসঙ্ঘের একটি কার্যালয় খোলার সুপারিশ করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের মান রক্ষা করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনাল এ সব তদন্ত বা তথ্য-প্রমাণ থেকে সমর্থন পেতে পারে।

চলতি বছর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ইয়াংহি লি ভারত ও চীন সফরে যাবেন। তার প্রবেশাধিকার বন্ধের সিদ্ধান্তটি মিয়ানমার পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/301283