১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ১০:২৬

আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

মিঠাপুকুরে মসজিদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা আত্মসাৎ

মিঠাপুকুরে মসজিদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। মসজিদের উন্নয়নের জন্য টিআর প্রকল্পের ত্রাণ তহবিল থেকে ওই টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু সবার অজান্তে প্রকল্পের টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন প্রকল্প সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ খান বুলু।
উপজেলার গোপালপুর বাজার মসজিদ কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, ‘মসজিদ কমিটির লোকজন টাকা চাইলে দীর্ঘদিন টালবাহানা করে আসছেন বুলু। পরে আমরা বাজারে ও রাস্তায় চাঁদা আদায় করে মসজিদটির উন্নয়ন করেছি। আরও বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন-অর রশীদ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমানের কাছে অভিযোগ দিয়েছে মসজিদ কমিটি।
সরেজমিন দেখা যায়, মসজিদের পুরনো অবকাঠামো ভেঙে নতুন করা হয়েছে। কিছুটা বাড়ানো হয়েছে মসজিদ ঘরটি। মসজিদ সুন্দর ও পরিপাটি করতে আরও বেশ কিছু টাকার প্রয়োজন বলে জানান মসজিদ কমিটির লোকজন। কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ত্রাণ তহবিলের ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এ মসজিদে। ওই প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রাশেদ খান বুলু। বরাদ্দের টাকা নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন তার কাছে ঘুরেছি। কিন্তু তিনি টাকা দেননি। গোপালপুর মসজিদ কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছদর মণ্ডল বলেন, রাশেদ খান বুলু মাসের পর মাস ঘুরিয়েছেন। কিন্তু টাকা দেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মুসল্লি জানান, রাশেদ খান বুলু ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। মসজিদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সত্যিই ন্যক্কারজনক।

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকার উন্নয়নের জন্য ওই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। রাশেদ খান বুলু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করার ফলে রাজনৈতিক মহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমি উপজেলার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জানিয়েছি। তারাই ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা রাখি।’ প্রকল্প সভাপতি রাশেদ খান বুলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মসজিদের টাইলস করার জন্য আমি টাকাগুলো রেখেছি। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন বিষয়টি তিলকে তাল করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুন-অর রশীদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/news/26146