১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার, ১০:২২

আন্তঃরাষ্ট্র বিরোধে সার্কে স্থবিরতা

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে না। আর এ জন্য ভারতকে দায়ী করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের মতে, ভারত আচরণ না বদলালে সার্কের অগ্রগতি কঠিন।
ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানসহ সার্কভুক্ত কয়েকটি দেশের বিরোধিতার কারণে ২০১৬ সালে শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েও তা আয়োজন করতে পারেনি পাকিস্তান। কাশ্মিরকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালালে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের নেতৃত্বে সার্কভুক্ত বেশির ভাগ দেশ ইসলামাবাদ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকে।
সার্কের নিয়মানুযায়ী কোনো একটি দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান যোগ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই শীর্ষ সম্মেলন বন্ধ হয়ে যায়। সার্কের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন ২০১৪ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপত্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক করেছেন। সার্কের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। নেপাল সার্কের ব্যাপারে অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে ভারত তার আচরণ না বদলানো পর্যন্ত সার্কের অগ্রগতি কঠিন। কেননা ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সার্কের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নেপালে সার্কের সচিবালয় অবস্থিত। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহেদ আব্বাাসির কাঠমান্ডু সফরে দুই দেশ আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির স্বার্থে সার্ক প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। পাকিস্তান ও নেপাল সার্ককে আরও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক ইস্যুর প্রভাব সার্কের কর্মকাণ্ডে পড়া উচিত না।
সার্ক প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করতে শ্রীলঙ্কার সাথেও কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার মেজর জেনারেল (অব:) জয়নাথ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ ইচ্ছার কথা জানান।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/300718