৮ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:২৫

৯২ লাখ টাকা বাজারের ব্যাগ থেকে উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণের আত্মসাৎ করা পাঁচ কোটি টাকার মধ্যে ৯২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার কাতিয়ারচর এলাকায় ট্রেজারির অডিটর মো: সৈয়দুজ্জামানের বাড়িতে দুদক ঢাকা বিভাগের পরিচালক নাসিম আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল ওয়াদুদ, মো: মনিরুল ইসলাম ও মো: ফজলুল বারী অভিযান চালিয়ে এসব টাকা উদ্ধার করেন। এ সময় সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো: সাঈদ, সদর থানার ওসি আবু শামা মো: ইকবাল হায়াত ও পরিদর্শক (অপারেশন) তানভীর আহমেদসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দুজ্জামানের শোবার ঘরে স্টিলের আলমারির ওপরে দু’টি বাজারের ব্যাগে তিনটি প্যাকেটে রাখা এক হাজার ও ৫০০ টাকার ১০৪টি বান্ডেল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার টাকার ৭০টি এবং ৫০০ টাকার ৪৪টি বান্ডেল রয়েছে। টাকা গোনা এবং প্যাকেট করাসহ রাত সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান। নাসিম আনোয়ার জানান, কিশোরগঞ্জের গ্রেফতারকৃত সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর সূত্র ধরে এই অভিযান চালানো হয়। আপাতত সদর থানায় টাকাগুলো জমা রাখা হয়েছে। পরে সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে গত ৫ ডিসেম্বর একই পদে পিরোজপুরে বদলি করা হয়। এর পরদিন ৬ ডিসেম্বর তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে জনগণের অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণের পাঁচ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় গত ১৭ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদি হয়ে সেতাফুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করলে তাকে সেদিনই পিরোজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৯ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ: সালাম খানের আদালত থেকে সেতাফুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে তিনি এই দুর্নীতির সাথে সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক মো: আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মইনুল হক, ট্রেজারির অডিটর সৈয়দুজ্জামান এবং ট্রেজারির পিয়ন দুলাল মিয়ারও জড়িত থাকার কথা বলেন। সে অনুযায়ী গত ৬ ফেব্রুয়ারি অডিটর সৈয়দুজ্জামান ও পিয়ন দুলাল মিয়াকেও দুদক গ্রেফতার করে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/299845