২ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ১০:১০

সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতে বিদেশিদের তৎপরতা

ট্রাম্পের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট লিসা কার্টিস তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন আজ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা তৎপরতা শুরু করেছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করছেন। আলোচনা করছেন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও। বিদেশিরা বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো হতাশ হয়েছিল। এবার আর তেমন নির্বাচন দেখতে চান না তারা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারাও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিদেশিদের ভূমিকা চাইছেন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট লিসা কার্টিস তিন দিনের সফরে আজ বাংলাদেশে আসছেন।
লিসা কার্টিসের সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক সম্পর্কের বিষয় গুরুত্ব লাভ করবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট এবং সন্ত্রাস দমনে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার করার বিষয় প্রাধান্য লাভ করবে। পাশাপাশি তার সফরকালে বিদ্যমান রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লিসা কার্টিসের সাক্ষাতের সম্ভাবনা আছে। আরও জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সঙ্গে লিসার বৈঠকের কর্মসূচি নির্ধারণ করা আছে। তার কর্মসূচির মধ্যে আরও আছে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন। শুক্রবার ঢাকায় পৌঁছেই তিনি কক্সবাজার ছুটে যাবেন। শনিবারও তিনি সেখানে থাকবেন।
লিসা কার্টিসের এ সফরকালে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক আছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকারি কর্মসূচির বাইরে সব কর্মসূচি মার্কিন দূতাবাস সরাসরি ঠিক করে থাকে। ফলে এসব বিষয় আমাদের জানা নেই।’ ওই কর্মকর্তা অবশ্য এটা বলেন, রাজনীতির বিষয় লিসার সফরের মুখ্য বিষয় নয়। তবে বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে এসব বিষয় ওঠা স্বাভাবিক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আগামী নির্বাচনের প্রশ্নে ওয়াশিংটনের বার্তা স্পষ্ট করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। তিনি বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তাদের কথাবার্তা হচ্ছে। তিনি মন্তব্য করেন, নির্বাচন শুধু ভোটের দিনের বিষয় নয়। ভোটের আগের পরিবেশও তার অন্তর্ভুক্ত। বার্নিকাট অবশ্য এটা বলেন যে, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেউই শুরু করেনি। অনানুষ্ঠানিক প্রচার গত তিন বছর ধরে দুই দলই করছে। বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র পাশাপাশি চলতে হবে। একই দিনে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলিসন ব্ল্যাক মন্তব্য করেন, ব্রিটেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বাংলাদেশ সফরকালে গোপনে ও প্রকাশ্যে নির্বাচন নিয়ে এই অভিমতের কথা বাংলাদেশের নেতাদের কাছে বলেছেন। অপর একজন ব্রিটিশ কূটনীতিক যুগান্তরকে বলেছেন, বাংলাদেশের বন্ধু হিসাবে ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির লক্ষ্যে তারা এ দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান।
এদিকে, দুই কূটনীতিকের এসব মন্তব্যের পর বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ভূমিকার প্রত্যাশা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী অবশ্য শর্ত দিয়ে বলেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিদেশিরা যার যার সরকারের বক্তব্য বলছেন। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চান। কিছু দিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও একই কথা বলেছেন। নির্বাচনের বছরে কূটনীতিকদের এ ধরনের বক্তব্য নতুন কিছু নয়, অস্বাভাবিকও নয়। তবে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণে কূটনীতিকদের ভূমিকা রাখতে বলেছেন। এটাই হল নতুনত্ব। তিনি কূটনীতিকদের অতিরিক্ত ভূমিকা পালন করতে বলেছেন।’
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির বর্জনে একতরফা নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব ও নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা না থাকায় ওই নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ এখনও তার অবস্থান অপরিবর্তিত রেখেছে। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ইসিকেই শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চায় তারা। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে দাতারা কমিশন শক্তিশালী করার প্রশ্নে তৎপর ছিল। নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও সহিংসতা ঠেকাতে স্থায়ী সমাধানে এখন নতুন করে তাগিদ দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিফেনস ব্ল–ম বার্নিকাট। বৈঠক শেষে বার্নিকাট বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবাই অংশ নিতে পারবে এবং সবাইকে অংশ নিতে দেয়া হবে- এমনটাই আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের মতোই আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বাকস্বাধীনতা, সংগঠন করার অধিকার ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার গণতন্ত্রের জন্য দরকার। তবে সহিংসতা কাম্য নয়, এটি শুধু নির্বাচনের দিন নয়, এটি সবসময়ের জন্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্র“তিবদ্ধ- তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গত বছরের ২ জুন দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে। আলোচনায় সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর জোর দেন মার্শা বার্নিকাট। একই সঙ্গে সিইসি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত একমত হন বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়। সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ। সেসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সবার অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচনের দিন হলে হবে না। প্রার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে নিবন্ধন করতে পারেন, প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটের দিন সাধারণ মানুষ যেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন যে, তার ভোটটি গণনা হবে। বাংলাদেশের অনেক ভালো ও কম ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। এসময় তিনি জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরকারী ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে খালেদা জিয়ার রায় ও কারাবাস নিয়ে কথা বলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গণভবনের সেই বৈঠকে খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে লন্ডনে তার অনুসারী-সমর্থকদের সিরিজ বিক্ষোভ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া বিট্রিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর জোর দেন।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সংসদীয় প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলটি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জানতে চায়। ইসির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, এটি আদালতের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন বৈঠক শেষে বলেন, প্রতিনিধি দল মূলত দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। নির্বাচনে খরচের টাকা কে বহন করে তা তারা জানতে চেয়েছিল। কমিশন বলেছে, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার খরচ বহন করে থাকে।
বৈঠক শেষে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতা জ্যঁ ল্যামবার্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, ইইউ বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। ইসিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যাতে সর্বোচ্চসংখ্যক ভোটার ভোট দিতে পারেন এবং সব দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ মে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। পরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু দেখতে চাই, তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না ভারত। বাংলাদেশ চাইলে নির্বাচনে কোনো কারিগরি সহায়তা দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে বলতে হবে কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। ভারতের হাইকমিশনার আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক স্বার্থ। বাংলাদেশে যে কোনো রাজনৈতিক বাস্তবতায় টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে বিশ্বাসী ভারত।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে থেকেও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিদেশিদের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের ব্রিফ করে বিএনপি। সেখানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে কূটনীতিকদের কাছে অভিযোগ করে। কূটনীতিকদের কাছে অভিযোগ করা হয়, বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নজিরবিহীন দ্রুততায় তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। এ সময় তাদের হাতে বিএনপির একটি লিখিত বক্তব্য ও মামলা-সংক্রান্ত কিছু তথ্য হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে বিদেশিদের ভূমিকা রাখার কথা জানায় বিএনপি। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সৌদি আরব, জাপান, জার্মানি, তুরস্ক, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৫টি দেশ সংস্থার রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ ও ইউরোপীয় কমিশনের সহায়তা চেয়েছে বিএনপি। গত বুধবার দলটি লিখিতভাবে সংস্থা তিনটির কাছে এ ব্যাপারে চিঠি দেয়।

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/23033/