২ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৪

সমস্যার মূলে টোলপ্লাজা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট : পুলিশের গাফিলতি : মহাসড়ক দখল করে হাটবাজার : চলছে নিষিদ্ধ যানবাহন : অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব

ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের মহাসড়কে আতঙ্কের নাম যানজট। মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোলপ্লাজায় গত কয়েকদিন ধরেই ভয়াবহ যানজট লেগেই আছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, গাড়ি থামিয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি, সড়কে যান চলাচলে অব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরী টোলপ্লাজার কাজের ধরিগতি এ যানজটের প্রধান কারন। গত রবিবার সন্ধ্যায় সৃষ্টি হওয়া যানজট কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার মহাসড়কের গোমতী সেতু থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৪০ কি.মি. অংশজুড়ে যানজট ছিল। মহাসড়কের গজারিয়া, ভবেরচর, সোনারগাঁও, ও মুগদাপাড়ায় যানজটে আটকে ছিল শত শত গাড়ী। তবে দুপুরের পর কুমিল্লার অংশে ধীর গতি গতিতে গাড়ী চলাচল শুরু করে।
ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কখনো কখনো সন্ধ্যায় সৃষ্টি হওয়া হালকা যানজট গভীর রাত গড়িয়ে ভোর পর্যন্ত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। দিনের কোনো কোনো সময় ধীরগতিতে গাড়ি চললেও বেশিরভাগ সময় গাড়ি বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে চালকদের। এতে কয়েক মিনিটের পথ পাড়ি দিতে কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। এই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে মেঘনা-গোমতী, মেঘনা সেতুর সংস্কার কাজ। এ দুটি সেতুর সংস্কার কাজ চলার জন্য একটি করে লেন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরু দুই লেনে এক সারিতে গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। যা যাত্রীদের দুর্ভোগ আর অপেক্ষার প্রহর বাড়িয়েছে অনেক গুণ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা। সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চারটি লেনের মধ্য একটি লেন বন্ধ করে সওজের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হতে মহাসড়কের দুদিকে সৃষ্টি হয়েছে ১০/১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চালকরা বেপরোয়া হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রাণহাণির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। আহত হয়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছে। বিনা চিকিৎসায় অর্থের অভাবে কেউ কেউ আবার মৃত্যুপথযাত্রী। পাশাপাশি মহাসড়কজুড়ে ফিটনেসবিহীন ও নিষিদ্ধ যানবাহনের বেপরোয়া চলাচলে মৃত্যু ঝুঁকিতে হাজার হাজার যাত্রী। এ অনিয়ম যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে জনসাধারণ বা পথচারীদের অসর্তকতা। তারা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে মহাসড়কের ওপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতেও বাড়ছে দুর্ঘটনা। আর এ সকল অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গোমতী সেতু থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ৪০ কি.মি. অংশজুড়ে যানজট ছিল। মহাসড়কের গজারিয়া, ভবেরচর, সোনারগাঁও, ও মুগদাপাড়ায় যানজটে আটকে ছিল শত শত গাড়ী। তবে দুপুরের পর কুমিল্লার অংশে ধীর গতি গতিতে গাড়ী চলাচল শুরু করে।
স্থানীয় সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অংশে দুই লেনে চলমান সংস্কার কাজ, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা ও মেঘনা সেতু টোলপ্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতিই যানজট সৃষ্টির মূল কারণ। এছাড়া ভবেরচর, গজারিয়া সড়কে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। মহাসড়কের এ অংশে কোনো না কোনো ট্রাক বা লরি উল্টে রাস্তার পাশে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারনেও এ যানজট লেগে থাকে। এর প্রভাব পড়ে পুরো মহাসড়কজুড়ে। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে যানজট কমেছে। আশা করি সন্ধ্যার মধ্যে পুরো মহাসড়কের যানজট নিরসন হবে।
অন্যদিকে, মহাসড়কের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এলাকায় চারটি লেনের মধ্যে একটি লেন বন্ধ করে সওজের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার দুপাশে প্রায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মেঘনা সেতুর টোল পরিশোধে ধীর গতি এবং ওজন স্কেলের নামে সব ধরনের পন্যবাহি পরিবহনকে মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা, মহাসড়কের বিভিন্ন বাসষ্টান্ডে বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা, অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তীতে পড়ছে হাজার হাজার যাত্রী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকায় নতুন সেতুর নির্মানের ফলে মহাসড়ক বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা তৈরী করায় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কের কাঁচপুর, মদনপুর, কেওঢালা ও পিরোজপুরসহ বিভিন স্থানে পন্যবাহি কাভার্ড ভ্যান, লরি ও টেইলর যাত্রীবাহি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় কৃত্রিম যাজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ যানজট অধিকাংশ সময় সকাল থেকে শুরু হয় চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলোতে একটানা দুদিনও স্থায়ী হয় এ যানজট। প্রতিদিনই দুপুর ও রাতে যানজট তীব্র আকার ধারন করে। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুরা। সরেজমিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চারটি লেনের মধ্য একটি লেন বন্ধ করে সওজের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হতে মহাসড়কের দুদিকে সৃষ্টি হয়েছে ১০/১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। এ প্রসঙ্গে লরি চালক মোতালেব হোসেন জানান, তাদের ওজন স্কেলে সমস্যা আছে। একটিতে ৪৪টন ওজন হলে অন্যটাতে আবার ৩৮ টন দেখা যায়। এজন্য আমাদের হয়রানিতে পড়তে হয়। বিভিন্ন সারিতে গিয়ে দাঁড়াতে গিয়ে যানজট লেগে যায়। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরকার জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সংস্কার কাজ চলমান থাকায়, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও মহাসড়কে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী উঠানামা এবং মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার টোল আদায়ে ধীরগতির কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ দিয়ে যানজট নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের প্রধান ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশজুড়ে রয়েছে প্রায় একশত কিলোমিটার অংশ। জেলার দাউদকান্দি থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কে ২০১৫ সালের আগস্টে নিষিদ্ধ হয়েছে সিএনজি অটোরিকশা। এছাড়াও নিষিদ্ধের তালিকায় আছে, রিকশা, ইজিবাইক, নসিমন, ভটভটি, ট্রাক্টর। কিন্তু কোনটাই থেমে নেই। প্রতিদিনই চলছে মহাসড়ক দিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে। মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী বহনে নিষিদ্ধের পর একটি সিন্ডিকেট মালামাল পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত পিকআপকে যাত্রী পরিবহণের উপযোগী করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহণ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের নিমসারে অসংখ্য নসিমন, ভটভটি ও পিকাপভ্যান দেখা যায় সবজি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। তার বাইরে রয়েছে ফিটনেসবিহীন লক্কর-ঝক্কর মার্কা মাইক্রোবাস। বিআরটিএ এসব যানবাহনের মহাসড়কে চলাচলের অনুমতি না দিলেও আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার চোখের সামনেই চলছে এসব যানবাহন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এসব মাইক্রোবাস দিয়ে চলাচল করলেও চালকদের নেই কোন লাইসেন্স। এতে মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী যাত্রীরা।
এদিকে, ব্যস্ততম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা, নিমসার, ময়নামতি পদুয়ারবাজার, সুয়াগাজী, মিয়াবাজার, চৌদ্দগ্রাম বাজার অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা। উল্লেখিত স্থানগুলোর বেশ কয়েকটি স্থানে নেই কোন ফুটওভার ব্রিজ। এছাড়াও যেসকল স্থানে ফুটওভার ব্রিজ আছে সে স্থানগুলোতে মনিটরিং না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এগুলো ব্যবহার না করে মহাসড়ক হেঁটে পারাপার হচ্ছে। এতে করে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে প্রতিদিন।
মহাসড়ক ঘেঁষে কুমিল্লায় হাট-বাজার
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় কোথাও কোথাও মহাসড়ক ঘেঁষে হাট-বাজার রয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের উভয়পার্শ্বে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও বাজারের স্থায়ী কাঠামো। এমনকি মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার অংশে প্রায় সব কয়টির যাত্রী-ছাউনী ব্যবসাস্থলে পরিণত হয়েছে। এসব যাত্রী-ছাউনীতে যাত্রী বসার কোন স্থান নেই। এগুলো স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দখল করে টাকার বিনিময়ে দোকান ঘর তৈরী করে ব্যবসা বাণিজ্য করার কারনে যাত্রীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ীতে ওঠা নামা করার কারনে অনেক সময় যানজট, জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনারমত ঘটনা ঘটে।
অচলাবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্থবির
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে প্রায় স্থবির করে দিয়েছে। অচল হয়ে পড়ে থাকছে ঘন্টা পর ঘন্টা যানবাহন। এতে করে প্রতিদিন মহাসড়কে যানজট রুটিন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় যানবাহনের চলাচলকারীদেরর অবর্ননীয় দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে । যানজট নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালেও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বা সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নির্বিকার থাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২৫০ কিলোমিটার দূরত্ব যেখানে পাঁচ ঘণ্টায় অতিক্রম করার কথা সেখানে বর্তমানে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। আটকে পড়া যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। দীর্ঘ এ যানজটে আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা গেছে বেশ ক’জন রোগী। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে কাঁচামাল ও পণ্য সামগ্রী ঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানার উৎপাদন। বেড়ে গেছে ভোগ্য পণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম। আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রাক ভাড়া যা ছিল ৭ হাজার টাকা। যানজটের কারণে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠানো রফতানি পণ্য ঠিকমত চট্টগ্রামে না পৌঁছায় গার্মেন্টসসহ বহু রফতানি চালানের শিপমেন্ট ও অর্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৃষ্ট অচলাবস্থার কারণে গত এক মাসে জাতীয় ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কুমিল্লার চান্দিনা এলাকা থেকে নির্বাচিত সাবেক মন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করে বলেন, ভয়াবহ যানজট লেগে আছে। এতে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী থেকে সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে এ নিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, এভাবে জনগণকে তো কষ্ট দেয়া যায় না। তাই বলছি, জরুরি ভিত্তিতে দ্রæত যানজট নিরসন করুন। কুমিল্লার ব্রিক ফিল্ড মালিক সমতির সাধারন সম্পাদক হাজী ফরহাদ হোসন ভূঁইয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টানা কয়েক মাস ধরে সৃষ্ট অচলাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্বিকার ভ‚মিকা পালনে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে কোন কিছু চলতে পারে না। পুরো মহাসড়ক অচল হয়ে গেছে। আন্তজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, ২ ঘণ্টার পথ ৪ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যায় না। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের অবস্থা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ে পণ্য পৌঁছে দিতে দেরি হওয়ায় অনেক সময় ভাড়ার পুরো অর্থ পাওয়া যায় না। এশিয়া লাইন পরিবহনের চালক মোঃ আলমগীর বলেন, গন্তব্যে দেরিতে পৌঁছা এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের দুরবস্থার কারণে। বেলা এগারটার গাড়ি ছাড়তে হয় দুপুর একটায়। সড়কের বেহাল দশার কারণে পথে পথে গাড়ি আটকে যায়। আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের করুণ অবস্থার জন্য বিপুল অংকের ক্ষতির মাশুল গুনতে হচ্ছে বাস মালিকদের। পথে দেরি হওয়ার কারণে যাত্রীদের হাতে চালক হেলপাররা লাঞ্চিত বা মারধরের শিকার হন প্রায় সময়।

 

https://www.dailyinqilab.com/article/119679/