সদ্যসমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ১৮৪ ব্যক্তি হত্যার শিকার হয়েছেন। এই সময়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৭ জন নারী ও শিশু। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মাসের শেষ দিন গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। কমিশন হত্যাকাণ্ড নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার ১৮৪ জনের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা পাঁচজন, পারিবারিক সহিংসতায় ৩৩ জন, সামাজিক সহিংসতার শিকার ৫৮ জন, রাজনৈতিক কারণে সাতজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ১১ জন, বিএসএফের হাতে দু’জন, চিকিৎসা অবহেলায় চারজন, গুপ্ত হত্যার শিকার ৯ জন, রহস্যজনক মৃত্যু ৪১ জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৯ জন এবং অপহরণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন পাঁচজন।
এ ছাড়া, ফেব্রুয়ারি মাসে পরিবহন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের। আর আত্মহত্যা করেছেন ৩১ জন। পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৭ জন, যৌন নির্যাতনের শিকার ৯ জন এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয়জন।
হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বলেছে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের অবশ্যই অধিক দায়িত্ববান হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং মানবাধিকার সম্মত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অবশ্যই সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে মানবাধিকার সংস্থাটি উল্লেখ করেছে।