২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ১০:০০

শত শত লোকসানি শাখার ঘানি টানছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক

ছয় ব্যাংকের লোকসানি শাখা ৩৫৭টি * লোকসানি শাখা নিয়ে গভর্নরের উদ্বেগ * ‘দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত -সিনিয়র ব্যাংকার শফিকুর রহমান

বিপুল অঙ্কের লোকসানি শাখা নিয়ে বিপদে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। দীর্ঘদিন ধরে লোকসানের ঘানি টেনে যাচ্ছে এসব ব্যাংক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে ব্যাপক ঋণ অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। বিশেষ করে চেয়ারম্যান, পরিচালক, এমডির স্বার্থসংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রয়োজন ছাড়াই বেশ কিছু শাখা খোলা হয়েছে। এর ফলে লাভের তুলনায় অহেতুক পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। অপরদিকে যোগসাজশের মাধ্যমে জালজালিয়াতি করে দেয়া মোটা অঙ্কের ঋণ এখন অনাদায়ী। এছাড়া হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ ঋণ জালিয়াতি এবং বেসিক ব্যাংকে হরিলুটের কারণে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো লোকসানের জাঁতাকলে রীতিমতো পিষ্ট হয়ে গেছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির লোকসানি শাখা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি এটি কমিয়ে আনার তাগিদ দেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকিং সেক্টরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অপরাধে কারও তেমন কোনো শাস্তি হয়নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নির্দেশদাতারা প্রকাশ্যে ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর জেলে যেতে হয়েছে যারা নির্দেশ তামিল করেছেন তাদের। তবে এ রকম দৃষ্টান্তও খুবই কম। তারা বলেন, নিজ এলাকায় অপ্রয়োজনীয় শাখা খুলেছেন প্রভাবশালী পরিচালকরা। যার খেসারত দিতে হচ্ছে সরকার তথা জনগণকে। তাই সুশাসন নিশ্চিত করতে হলে জড়িতদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
জানতে চাইলে সাবেক সিনিয়র ব্যাংকার শফিকুর রহমান শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, যাদের প্রভাবে বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া এবং অপ্রয়োজনীয় এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে। তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। তা না হলে এটি বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংকের লোকসানি শাখার খেসারত দিতে হয় জনগণকে। কেননা জনগণের টাকায় সরকারি ব্যাংক চলে। তাই জনস্বার্থ রক্ষার্থে অবশ্যই ব্যাংক দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে গভর্নর বলেন, ‘লোকসানি শাখা আপনারা কমিয়েছেন। তবুও ৪৩টি রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে।’
প্রাপ্ত এক তথ্যে দেখা যায়, ২০১১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের লোকসানি শাখা ছিল ১৫৯টি। ২০১২ সালে ১৯১টি, ২০১৩ সালে ১৭৩টি, ২০১৪ সালে ১৬৮টি। এরপর ধীরে ধীরে লোকসানি শাখা বাড়তে থাকে। ২০১৫ সালে ছয় ব্যাংকের ২২৫টি শাখা লোকসানে পড়ে। ২০১৬ সালে ছিল সবচেয়ে বেশি লোকসানি শাখা ৪৯৩টি। মূলত গত দুই বছরে লোকসানি শাখার সংখ্যা বেশি ছিল।

বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ৩৫৭টি। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের লোকসানি শাখা ২১টি। এ তালিকায় রাজধানীর গুলশান ও শান্তিনগর শাখায় লুটপাট হয়েছে ব্যাপক। উভয় শাখা থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ বের করে নিয়েছে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। সে কারণে দুটো শাখা এখন লোকসানে পর্যুদস্ত। এছাড়া নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা, আগ্রাবাদ, বেলকুচি, চিতলমারী, কুমিল্লা, এলেঙ্গা, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ, যশোরের ঝিকরগাছা, কোটালীপাড়া, মাতুয়াইল, মহিপুর, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর, সাতক্ষীরা, সোনারপাড়া, টুঙ্গীপাড়া ও জিন্দাবাজার শাখাও লোকসানে।
জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আউয়াল খান যুগান্তরকে বলেন, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত লোকসানি শাখা ২১টি ছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে তা ১১টিতে নেমে এসেছে। এটি আরও কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিডিবিএলের (বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) ২১টি শাখা লোকসানে পড়েছে। এর মধ্যে ৩টি লোকসানি শাখা পরিচালকরা খুলেছেন। বি-বাড়িয়ায় ‘আশুগঞ্জ শাখা’ চালু করেন সাবেক পরিচালক ইসহাক ভূঁইয়া। তিনিই প্রথম উপজেলা পর্যায়ে শাখা খোলার প্রচলন করেন। শাখাটির আগাগোড়ায় অনিয়মে ঠাসা। যে ভবনে শাখা অফিস, সেই ভবনেই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস। ওই পরিচালকের যোগসাজশে শাখা অফিসের ভাড়া অতিমূল্যায়িত করা হয়েছে। মাত্র ৬ থেকে ৮ টাকা প্রতিবর্গ ফুট জায়গার ভাড়া নেয়া হয়েছে ৩০ টাকা দরে। এছাড়া প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিকভাবে অনেক ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শনে দেখা গেছে, বিডিবিএলের আশুগঞ্জ শাখায় গুরুতর অনিয়ম ও জালিয়াতি করা হয়েছে। এই শাখা থেকে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান অস্তিত্বহীন ও একটি বন্ধ রয়েছে। যারা প্রায় ১১ কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন। সূত্র বলছে, জড়িতরা সংশ্লিষ্ট পরিচালকের কাছের লোক। ধারণা করা হচ্ছে, যোগসাজশ করে এটি করা হয়েছে। সে কারণে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ রয়েছে এই শাখায়। শাখাটির ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল্যায়ন হচ্ছে- বিডিবিএলের আশুগঞ্জ শাখা হুমকিতে রয়েছে।
একইভাবে বিডিবিএলের সাবেক পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সালাম দুটি শাখা খোলেন। একটি নিজের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়। অপরটি শ্বশুরবাড়ি মানিকগঞ্জের মহাদেবপুর। দুটো শাখা খেলাপিতে জর্জরিত। এর মধ্যে সাটুরিয়া শাখায় গত বছর খেলাপি ঋণ ছিল ২৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। এবার তা কিছুটা কমে লোকসানমুক্ত হয়েছে। তবে এখনও লোকসানে আটকে আছে মহাদেবপুর শাখা। নানা অনিয়মের কারণে শাখাটি লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে আবদুস সালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বি-বাড়িয়ায় নবীনগর শাখা চালু করেন সাবেক পরিচালক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল। গত বছর শাখাটির খেলাপি ঋণ ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। খেলাপি ঋণের কারণে এ শাখা লোকসানমুক্ত হতে পারেনি। বিডিবিএলের বাকি ১৯টি লোকসানি শাখা হল- বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, পাবনা, নোয়াখালী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, মাধবদী, নওগাঁ, যশোর, কেরানীগঞ্জ, হবিগঞ্জ, জইনাবাজার, হেমায়েতপুর, শ্রীনগর, টাঙ্গাইল, বি-বাড়িয়া ও ইসলামপুর শাখা।
এছাড়া বিডিবিএল পরিচালকরা গত কয়েক বছরে আরও কয়েকটি শাখা খুলেছেন। এর মধ্যে বিডিবিএলের বর্তমান পরিচালক সৈয়দ এবতার হোসেন পিয়ার সিলেটে ‘ওসমানী নগর শাখা’, সাবেক পরিচালক রুস্তম আলী নীলফামারীতে ‘কাজিরহাট শাখা’, সাবেক পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান হুমায়ূন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর শাখা, সাবেক এমডি বগুড়ায় ‘মোকামতলা শাখা’ খুলেছেন। এসব শাখা শুরুতে লোকসানে থাকলেও এখন তা কাটিয়ে উঠেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সার্বিক বিষয় জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিডিবিএলের একজন সাবেক চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, ব্যবসা মন্দা ছিল। ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। তাই কিছু শাখা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারছে না। এছাড়া কিছু শাখা নতুন খোলা হয়েছে। সেগুলো সঙ্গত কারণেই লোকসানে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রূপালী ব্যাংকের ৩৩টি শাখা লোকসানে পড়েছে। এগুলো হল- ঢাকার বান্দুরা, সিলেটের কালারাই বাজার, গোবিন্দপুর, চারখাই বাজার, শেরপুর বাজার, গোপালগঞ্জের রাহুথর, মেয়ার হাট, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, রামগড়, নাজির হাট, চাকতাই, স্ট্যান্ড রোড, আমির মার্কেট, পোদ্দার বাজার, চাঁদপুরের কচুয়া বাজার, আদাবর, টুঙ্গীপাড়া, ফতুল্লা, ফরিদপুরের আলতাফ নগর, নোয়াখালীর ডিলিয়াই বাজার, বি-বাড়িয়ায় ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ, গাবতলী হাট, বগুড়ার গোসাইবাড়ী, থানা রোড, কৈরানী বাজার, বাহের পুকুর, টাঙ্গাইলের পথরাইল বাজার, দিনাজপুরের বিরামপুর, পিরোজপুরের হুলাহাট, খুলনার গরাইখালী হাট, রংপুরের জিএল রায় রোড এবং ঢাকার ইন্দিরা রোড শাখা।

সূত্র জানায়, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের পরিচালকরা প্রায় ১৬টি শাখা খুলেছেন। শুধু ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডি ভাগাভাগি করে ১৫টি শাখা খুলেছেন। বাকি ১টি শাখা খুলেছেন ব্যাংকের অপর পরিচালক। এর মধ্যে বেশ কিছু শাখা লোকসানে পড়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির গত কয়েক বছরে নিজের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট এলাকায় ৮টি শাখা খুলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, সিলেটের জকিগঞ্জে নিজ বাড়ির দরজায় কালীগঞ্জ শাখাটি খোলা হয়েছে। একইভাবে মৌলভীবাজার সদরে শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি খোলা হয়েছে গোবিন্দপুর শাখা। এর মধ্যে গোবিন্দপুর শাখাটি লোকসানে পড়েছে। বাবুবাজার শাখা খোলা হয়েছে মৌলভীবাজারের জকিগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি এলাকায়।

রূপালী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, জকিগঞ্জে একটি শাখা রয়েছে। তার ওপর আরও একটি শাখা পাহাড়ের মধ্যে গড়ে তোলার দরকার ছিল না। শাখাটি সাবেক চেয়ারম্যানের স্বার্থে খোলা হয়েছে। একইভাবে রাজাগঞ্জ শাখা ও কানাইঘাট শাখা খোলা হয়েছে সিলেটের কানাইঘাটে। পাশাপাশি দুটি শাখার দরকার ছিল না বলে মনে করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শ্বশুরবাড়ির পাশে আরও একটি শাখা খোলা হয়েছে। এটি হল কুলাউড়া শাখা। এছাড়া মদিনা মার্কেট শাখা খোলা হয়েছে সিলেটের জালালাবাদে। এর বাইরে নোয়াখালীতে ডিলিয়াই বাজার শাখা উদ্বোধন করেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির। শাখাটি এখন লোকসানে।
রূপালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির আহমেদ নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ ভবনের সামনে শাখা খুলেছেন। এমনকি শাখার নামের সঙ্গে নিজের নামও জুড়ে দিয়েছেন। বি-বাড়িয়ায় নিজের বাড়ির দরজায় খোলা শাখাটির চারপাশে খুব বেশি মানুষের বসতি নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। অনেকটা নির্জন এলাকায় গড়ে ওঠা শাখাটির লোকসানের ঘানি টানছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিনের নিজের বাড়ি ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট এলাকায় খোলা হয়েছে আরও ৭টি শাখা। এগুলো হল- কাওরিয়া বাজার শাখা, মুলাদী বন্দর শাখা, মঠবাড়িয়া শাখা, মেহেন্দীগঞ্জ শাখা, ভাণ্ডারিয়া শাখা, পুটিয়াখালী বন্দর শাখা ও ইলিশা জংশন শাখা। এসব শাখা গত বছর লোকসানে ছিল। এবার তা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রূপালী ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, আগের পর্ষদের বেশির ভাগ শাখা লোকসানে পড়েছে। এখন অনেকাংশে তা কমে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ১৮১টি শাখা লোকসানে পড়েছে। এর মধ্যে শেরাটন কর্পোরেট শাখাও রয়েছে। যেখানে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় লুট হয়েছে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। এছাড়া আরও দুটি সরকারি ব্যাংকে ১০০টি শাখা লোকসানে পড়েছে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/20869