হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মশার উৎপাতের কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পর মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফাইট গন্তব্যের উদ্দেশ ছেড়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ আকাশে উড়ার প্রস্তুতি নিয়েও পরে যাত্রীদের অভিযোগে রানওয়েতে ফিরে আসতে হয়। কারণ মশার উৎপাতে বেশির ভাগ যাত্রী উড়োজাহাজের ভেতরে বসতে পারছিলেন না। পরে এয়ারক্রাফটের মশা নিধন করে দুই ঘণ্টা বিলম্বে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ ফাইটটি ঢাকা ত্যাগ করে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফাইটটি আকাশে উড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাওয়েতে চলে যায়। কিন্তু এয়ারক্রাফটের ভেতরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঢুকে পড়ায় ফাইটের ভেতরে থাকা যাত্রীরা চেঁচামেচি শুরু করে দেন। পরে পাইলট ফাইটটি বে-এলাকায় ফিরিয়ে আনেন।
মশার কারণে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফাইট দুই ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে এক যাত্রী সাংবাদিকদের জানান, আলফা-২ বে এরিয়ায় অপেক্ষামাণ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের (এমএইচ ১৯৭) ফাইটে যাত্রীরা যখন উঠছিলেন তখন ভন ভন করে ভেতরে ভেতরে মশাও ঢুকে পড়ে। পরে মশার উৎপাতে যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানানো হয় কেবিন ক্রুদের। পরে পাইলট উড়োজাহাজ উড্ডয়ন না করে পুনরায় বে এরিয়ায় ফিরিয়ে আনেন। এ ঘটনার পর অনেকটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন এয়ারলাইন্সটির কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আজিজ সাংবাদিকদের বলেছেন, মশার কারণে আমাদের ফাইটটি যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। বে এরিয়া থেকে যাত্রী ওঠানোর সময় উড়োজাহাজে মশা ঢুকে পড়ে। এতে যাত্রীরা মশার উৎপাতে বিরক্ত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে মশা নিধন করে তারপরই আমাদের ফাইটটি ছাড়তে হয়।
গতকাল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, বিমানবন্দরে মশার উৎপাত নতুন কিছু নয়। শুধু এয়ারক্রাফটের ভেতরে নয়, বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকা ছাড়া, কাস্টম, ইমিগ্রেশন এবং বাইরের যাত্রী টার্মিনাল এলাকায় মশার উৎপাত চলছেই। আর অপেক্ষমাণ যাত্রীদের স্বজনেরা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন।