১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১২:২৭

বিকশিত হচ্ছে না শ্রমবাজার

আমিরাতের বাজার খুলতে বাংলাদেশের দাবি

শামসুল ইসলাম : বর্হিবিশ্বে বিকশিত হচ্ছে না শ্রমবাজার। সউদী আরবে কর্মী গমনের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি । প্রবাসী মন্ত্রী সউদীতে কর্মী নিয়োগের চাহিদা হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে হজ ও ওমরাহ পালনে গিয়ে কেউ কেউ দেশে ফেরত না আসার ঘটনাকেও দায়ী করেছেন। জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায়ও কর্মী নিয়োগের অ্যাপ্রুভাল আশানুরুপ হ্রাস পেয়েছে। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু হাজার হাজার কর্মী স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে পারছে না। এদের অনেকেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার মেয়াদও দফায় দফায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে যুদ্ধবিধস্ত ইরাকও হতে পারে বাংলাদেশের জন্য বড় শ্রমবাজার । তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের কর্মীদের অপরাধ প্রবণতার কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। গত ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজার আবার খুলে দিতে দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। তা করতে দেরি হলে আমিরাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের আকামা (ভিসা ঠিক রেখে নিয়োগকর্তা বদল) পরিবর্তনের সুযোগ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার বিন মোহাম্মদ গারগাশ আলোচনায় দুই দেশের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের নাগরিকেরা আকামা পরিবর্তনের সুযোগ না পাওয়ায় দেশে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ এ সুযোগটি পেলে তাঁদের সেখানে অবস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হতো। তা ছাড়া গত কয়েক বছরে দেশভিত্তিক বিদেশি কর্মীর আনুপাতিক হারে বাংলাদেশের কর্মীর সংখ্যাও কমেছে। বাংলাদেশের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।
তবে কারো কারো ধারণা, ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড এক্সপোর ভোটাভুটিতে আমিরাতকে ভোট না দেয়ায় বাংলাদেশের ওপর অসন্তুষ্ট হয় মধ্যপ্রাচ্যের এ তেলসমৃদ্ধ দেশটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর দেশটিতে অন্তত কয়েক লাখ বাংলাদেশি কাজের জন্য যেতো। ২০১৩ সাল থেকে এ সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি কর্মীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ বাংলাদেশের। আর আটক বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকের হার ৬০ শতাংশ। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন মাত্র ৪ হাজার ১৩৫ জন কর্মী । তাঁদের মধ্যে নারী ৩ হাজার ২৭২ জন। জানা গেছে, ২০১৭ সালে পর্যটক শ্রেণিতে বাংলাদেশের ৭০ হাজার নাগরিকের জন্য ভিসা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রভাবশালী দৈনিক গালফ নিউজ সেখানকার সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিদেশি কর্মীদের নতুন করে কাজ পেতে হলে ভিসার আবেদনের সময় নিরাপত্তা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে। অর্থাৎ কেউ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজের জন্য ভিসা নিতে চাইলে তাঁকে গত পাঁচ বছরে নিজের দেশ অথবা যেখানে কাজ করেছেন সে দেশের কর্মক্ষেত্র কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারিত্রিক প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

বিএমইটি’র নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত জানুয়ারী মাস থেকে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭ জন নারী-পুরুষ কর্মী বিদেশে চাকুরি লাভ করেছে। ২০১৭ সালে বিভিন্ন দেশে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫ শ’ ২৫ জন কর্মী বিদেশে চাকুরি লাভ করেছে। এর মধ্যে নারী কর্মীই বিদেশে চাকুরি লাভ করেছে ১ লাখ ২১ হাজার ৯ শ’ ২৫ জন। উল্লেখিত সংখ্যার মধ্যে শুধু সউদী আরবেই গেছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩শ’ ৮ জন। এদের মধ্যে গৃহ নারী কর্মী’র সংখ্যাই বেশি। একই বছর দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় চড়া অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী গেছে প্রায় ৯৯ হাজার ৭শ’ ৮৭ জন কমী গেছে। এছাড়া গত বছর ওমানে গেছে ৮৯ হাজার ৭৪ জন কর্মী, কাতারে ৮২ হাজার ১২জন কর্মী, কুয়েতে ৪৯ হাজার ৬শ’ ৪ জন কর্মী, সিংগাপুরে ৪০ হাজার ৪শ’ ১ জন কর্মী, জর্ডানে ২০ হাজার ৪শ’ ৪৯ জন কর্মী, বাহরাইনে ১৯ হাজার ৩শ’ ১৮ জন কর্মী, ব্রুনাইতে ৮ হাজার ৫শ’ ৮৭ জন কর্মী, লেবাননে ৮ হাজার ৩শ’ ২৭ কর্মী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪ হাজার ১শ’ ৩৫ জন কর্মী চাকুরি লাভ করেছে। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত অবস্থায় হ্রদরোগ, দুর্ঘটনা, স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুসহ নানা কারণে মারা যাওয়া বাংলাদেশী কর্মীর লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাার ৩ শ’ ৪৫ জন। এসব লাশ দেশে আনার পর দাফন কাফনের খরচসহ আর্থিক অনুদান দিচ্ছে সরকার। জনশক্তি রফতানির বৃহৎ বাজার সউদী আরবে অভিবাসী কর্মীদের ওপর উচ্চ হারে ট্যাক্স আরোপের দরুণ ভিসা হ্রাস এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আর্থিক মন্দার কারণে জনশক্তি রফতানিতে চলছে ধীরগতি। মালয়েশিয়ায় দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়া অভিবাসন ব্যয়ে জি টু জি প্লাস প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণেও চলছে ধীরগতি। বর্তমানে যুদ্ধবিধস্ত ইরাকে ব্যাপকহারে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারের সহায়তার হাত একটু প্রসারিত করলেই ইরাক হতে পারে সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। এতে রেমিটেন্স আয়েও ঘটতে পারে বিপ্লব। শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন এ অভিমত বক্তব্য করেছেন। শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক কিরণ বলেন, গত বছর সাড়ে ১০ লাখ কর্মী বিদেশে গেলেও চলতি বছর কর্মী প্রেরণে ধীরগতি লক্ষ্যকরা যাচ্ছে। এ প্রধান কারণ হচ্ছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা হঠাৎ কমে যাওয়া, সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আর্থিক মন্দা একই সাথে পুরাতন শ্রমবাজার গুলো ইরাক, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত কর্মী প্রেরণ শুরু হয়নি। তিনি বলেন, লিবিয়ায় তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটের দরুণ দেশটিতে কর্মী প্রেরণ বন্ধ থাকলেও ইরাকে নতুন শ্রমবাজার চালুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইরাকে কোরিয়ান নামকরা কয়েকটি নিমার্ণ কোম্পানীতে প্রায় ৫ হাজার কর্মী চাকুরি নিয়ে গেছে। ইরাকে কর্মরত বাংলাদেশীরা নিরাপদ পরিবেশে প্রত্যেক কর্মী থাকা-খাওয়া ফ্রি’ এবং মাসিক সর্বনিন্ম তিন শ’ মার্কিন ডলার বেতন পাচ্ছে। শ্রম বিশ্লেষক কিরণ বলেন, ইরাকে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ইরাকে কোরিয়ানস্থ বিশ্ববিখ্যাত হানওহা ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানী বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রজেক্ট হাতে পেয়েছে। এসব প্রজেক্টে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ করতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইরাকস্থ বাংলাদেশষ দূতাবাস এবং প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা পেলেই ইরাক হতে পারে বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার।
মালয়েশিয়ায় শুধু দশ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়া ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ এবং দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের অ্যাপ্রুভাল হ্রাস পেয়েছে। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু প্রায় ৭০ হাজার কর্মী সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে চড়া ফি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রহর গুনছে। অ্যাপ্রুভাল কমে যাওয়ায় এসব কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা মেয়াদ শেষ হচ্ছে। চিহ্নিত মেডিকেল সেন্টারগুলো কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে অপেক্ষমান কর্মীরা আর্থিকভাবে মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় দশ সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বন্ধ করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া না হলে জনশক্তি রফতানিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বায়রার সাবেক মহাসচিব মনছুর আহমেদ কালাম এতথ্য জানিয়েছেন। বায়রার সাবেক নেতা মনছুর আহমেদ কালাম গতকাল বলেন, সরকার জি টু জি প্লাসের নামে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে দশ সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়ে আতœঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দশ সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি অভিবাসন ব্যয় হাতিয়ে নিচ্ছে। দশ সিন্ডিকেট বায়রা অফিসে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর নামে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি’র সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিএনপি মালয়েশিয়া শাখার (প্রস্তাবিত) সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সালাহ উদ্দিন বলেছেন, মালয়েশিয়ায় জাতীয় নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। দশ সিন্ডিকেটের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের গলাকাটা হারে সার্ভিস চার্জ আদায়ের জন্য অন্যান্য রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী নিয়োগের অ্যাপ্রুভাল বের করতে অনীহা প্রকাশ করছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ও মাইজির মধ্যে দœন্ধের করণেও কয়েল লাখ অবৈধ বাংলাদেশী এখনো বৈধতা লাভ করতে পারেনি। ফলে তারা তাদের আতœীয়-স্বজনকে মালয়েশিয়ায় নিতে আগ্রহ হচ্ছে না। তিনি অবিলম্বে দশ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জোর দাবী জানান। গতকাল প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’ও তার দপ্তরে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, বায়রায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করে জনগনের লাভ হয়নি। তারা কর্মীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় নিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কিছু কিছু কর্মী যাচ্ছে। দেশটিতে পুরোদমে কর্মী গমনের পথ সুগম করতে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও প্রবাসী মন্ত্রী উল্লেখ করেন। শিগগিরই সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরে যাবেন বলেও তিনি জানান। এছাড়া গতকাল বিকেলে সোনারগাঁও হোটেলে আইএলও’র সহযোগিতায় আওয়াজ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘‘বিদেশে তৈরি পোষাক শিল্পে বাংলাদেশি অভিবাসী নারী কর্মীর নিয়োগ, কর্মী পরিবেশ ও বাসস্থান’অভিবাসী নারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, অভিবাসী কর্মী নারী কর্মীদের সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন, কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কর্মীর অধিকার সুরক্ষা এবং কর্মী ও তার পরিবারের কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার নানা ধরণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নারী কর্মী প্রেরণে নানামূখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নারী কর্মীদের ভাষা শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আমরা বিদেশ গমনেচ্ছু নারী কর্মীদের জন্য ভাষা শিক্ষা ও দক্ষতার উপরে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করছি। জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি নাজমুল ইসলাম বাবুল ও সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার কুয়ালালামপুর থেকে জানান, দশ সিন্ডিকেটের হোতাদের অপতৎপরতার দরুণ বর্তমানের বাংলাদেশীদের অ্যাপ্রুভাল অনেক কমে গেছে। সিন্ডিকেট চক্র সকল বৈধ এজেন্সিগুলোকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়ার নামে প্রত্যেক কর্মী প্রতি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সিন্ডিকেটের অধীনের মেডিকেল সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ২৫ দিন থেকে ২৮ দিনেও রিপোর্ট পাচ্ছে না কর্মীরা। অনেকেই আনফিট হয়ে যাচ্ছে এবং ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে। নেতৃদ্বয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার রক্ষার্থে দশ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য বাজারটি উন্মুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ ৃহাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

https://www.dailyinqilab.com/article/117370