৩১ জানুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ১:০৩

লাগামহীন মুদ্রা বাজার

বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি, আমদানির আড়ালে অর্থ পাচারের অভিযোগ, চলতি হিসাবের ব্যালেন্স ঘাটতি গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ,আমদানি চাহিদা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রপ্তানি বহুমখীকরণে গুরুত্বারোপ বিশেষজ্ঞদের

নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডলারসহ অন্যান্য মুদ্রা বাজার। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দাম। অপরদিকে আমদানি যে হারে বাড়ছে রফতানি সে তুলনায় না হওয়ায় বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যা ৭ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। অর্থবছর শেষে এই ঘাটতি ১৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ৪৬ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। যদিও বাণিজ্য ঘাটতি কখনোই ১০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেনি। আর তাই বাণিজ্য ঘাটতি বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। এ কারণে চলতি অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবেই স্থানীয় মুদ্রার মান ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যদিও বাস্তবে এটা ৫ শতাংশের বেশি। এতে করে চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সাড়ে ছয় মাসে ১২৫ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলার বিক্রি করেও দাম নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অথচ গত অর্থ বছরে কোন ডলারই বিক্রি করতে হয়নি। এমনকি মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণে দুই দফায় ২৬টি ব্যাংককে শোকজও করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে ডলারের বিনিময় হার বাড়ায় বাড়ছে আমদানি ব্যয়। এটি মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ডলারের মূল্য এক শতাংশ বাড়ার অজুহাতে দেশের আমদানিকারকরা পণ্যের মূল্য দুই শতাংশ বাড়িয়ে দেন। এতে সাধারণ ভোক্তার ভোগান্তিও বেড়ে যায়। অপরদিকে আমদানির তথ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচারকেও এর একটি কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তাই কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নয়, আমদানি চাহিদা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির গতি ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি রপ্তানি বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ করেছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য ঘাটতির পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবের ব্যালেন্সেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তথ্য মতে, চলতি হিসাবের ব্যালেন্স ঘাটতি ইতোমধ্যে ৪ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরে ছিল ৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই এ ঘাটতি ৪ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবের ঘাটতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেছেন, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে মূলধনী যন্ত্রপাতি ও শিল্প কাঁচামাল আমদানির পরিমান উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাণিজ্য ঘাটতি চলতি অর্থবছর শেষে ১৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। পাশাপাশি চলতি হিসাবের ঘাটতি দেশের বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলে স্বীকার করেন তাই মুদ্রানীতিতে এই বিষয়গুলোতে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

সূত্রমতে, বৈদশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন থেকে সক্রিয়। কয়েকটি ব্যাংকও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ডলারের প্রকৃত বিক্রয়মূল্যের তথ্য গোপন করছে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে রেট দিচ্ছে এর চেয়ে কমপক্ষে ২ টাকা বেশি দরে ডলার বিক্রি করছে আমদানিকারকদের কাছে। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, এসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। অন্যদিকে আমদানিকারকদের পাশাপাশি সাধারণ বিদেশগামী রোগীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর প্রভাবে বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে ব্যাংকগুলো ডলারের যে মূল্য ঘোষণা দিচ্ছে, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তার চেয়ে দুই টাকা পর্যন্ত বেশি রাখছে। এতে করে একদিকে বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে ডলার সংকটে অস্থির হয়ে ওঠে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় রেমিটেন্স ও রফতানি আয়ে কিছু সুবিধা পাওয়া গেলেও আমদানি খাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এক বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। গত বছর ১৭ জানুয়ারি এক ডলারের দাম ছিল ৭৮ দশমিক ৯০ টাকা আর বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল ডলার বিক্রি করেছে ৮২ দশমিক ৯০ টাকায়। এই দরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনে দেশের অন্য ব্যাংকগুলো বিক্রি করছে। অন্যান্য ব্যাংক গতকাল ৮৪ দশমিক ১০ টাকায় ডলার বিক্রি হয়েছে। কার্ব মার্কেটে দাম আরও চড়া। খোলা বাজারে গতকাল মার্কিন ডলার ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এক বছর আগের চেয়ে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৫শতাংশের বেশি। ডলারের পাশাপাশি বেড়েছে পাউন্ড, ইউরো, জাপানী ডলারসহ অন্যান্য মুদ্রার বিনিময় হার। ২০১৭ সালের ২৩ মে পাউন্ডের দাম বাংলাদেশী টাকায় ১০৪ দশমিক ৭২ টাকা ছিল। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক সেই পাউন্ড বিক্রি করেছে ১১৬ দশমিক ৬৬ টাকায়। অপরদিকে ২০১৭ সালের ২৩ মে ইউরো ৯০ দশমিক ৫৪ টাকায় বিক্রি করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল ইউরো বিক্রি করেছে ১০২ দশমিক ৬৪ টাকায়।
এদিকে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয় কমায় গত ছয় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে এক বিলিয়ন ডলার। ফলে সংকট বাড়ছে আমদানি খাতে। অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি ব্যাংক কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়াচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে চড়া দামে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংককে কম রেট দেখাচ্ছে কয়েকটি ব্যাংক।

জানা গেছে, বিশেষ একটি গোষ্ঠী হুন্ডির মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের অর্থ পাচার বাড়িয়ে দেওয়ায় টাকার বিপরীতে হু হু করে দাম বেড়ে চলেছে ডলারের। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় চলে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থ। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে এসব দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রাসাদ গড়ে তুলছে চিহ্নিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। অনেকে বাণিজ্যিক ভবনও ক্রয় করছেন। আবার কেউ কেউ ভুয়া এলসি অথবা ওভার ইনভয়েস করে অর্থ পাচার করছেন বিভিন্ন দেশে। অব্যাহতভাবে ডলারের দাম বাড়ায় সংকটে পড়েছেন আমদানিকারকরা। তাই বাড়ছে আমদানি ব্যয়। ফলে আমদানি পণ্যের দামও বাড়ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সার্বিক অর্থনীতিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩১৬ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছর ৩০ জুন ছিল ৩৩ দশমিক ২২৫ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) দেনা পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। রিজার্ভ কমার অন্যতম আরেক কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে রেমিট্যান্স আয়ে ধস। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রাপ্তি কমেছে। তবে দেশগুলোর মধ্যে প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি কমেছে বাংলাদেশ ও ভারতে। সে তুলনায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রবাসী আয় কমে যাওয়া এতটা প্রকট হয়নি। বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসী আয় কমেছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ। ওই অর্থবছর প্রবাসীরা পাঠান ১ হাজার ২৭৬ কোটি ডলার। আর এরও আগের অর্থবছর (২০১৫-১৬) প্রবাসী আয় আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার।
যদিও চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ঈদের কারণে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বরেও রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুরের ধারণা, আমদানি বাড়ার পাশাপাশি ‘প্রচুর অর্থ’ বিদেশে পাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, এ কথা ঠিক যে আমদানি বাড়ার কারণে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। আমদানি ব্যয় যেভাবে বাড়ছে; রপ্তানি আয় তার চেয়ে অনেক কম হারে বাড়ছে। রেমিট্যান্স প্রবাহের গতিও খুব বেশি নয়। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দর বাড়ছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয়টি হল, বিরাট একটা অংশ বিদেশে পাচার হচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সংস্থার বরাত দিয়ে ফরাসউদ্দিন গতবছর এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। আহসান মনসুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এটা হয়ে আসছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ কারণে এটা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সজাগ দৃষ্টি দরকার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, গত অর্থবছর রপ্তানি আয়েও কাঙ্খিত গতি আসেনি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এ তিন মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৮৬৬ কোটি ২৭ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আমদানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
ইসলামিক ফাইন্যান্স এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্কেন্টাইল ও মিডল্যান্ড ব্যাংক একেএম শহিদুল হক বলেন, ৭/৮ মাসের আমদানি ব্যয় মিটানোর মতো রিজার্ভ আমাদের রয়েছে। তারপরও ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াবে। এক্ষেত্রে তিনি রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট ছাড়াও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে গুরুত্বারোপ এবং নতুন নতুন বাজার তৈরি কথা বলেন। একেএম শহিদুল হক বলেন, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে পারলে বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা হলেও রোধ করা সম্ভব। একই সঙ্গে আমদানির নামে অর্থপাচার হচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর দেয়ার কথা বলেন।

তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘অব্যাহতভাবে ডলারের দাম বাড়ছে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি আরও বাড়ানো দরকার।’ কোনো ব্যাংক কারসাজি করলে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। বিশিষ্ট এ অর্থনতিবীদ বলেন, চলতি হিসাবের ব্যালেন্স এবং বাণিজ্য ঘাটতি বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলবে। তবে এখনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির তৈরি না হলেও সরকারকে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ঝুঁকির মুখে পড়বে সার্বিক অর্থনীতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরঞ্জামের আমদানি বেড়েছে। আমদানি খরচ মেটাতে ডলারের চাহিদাও বেড়েছে, ফলে ‘স্বাভাবিক কারণেই’ বাড়ছে ডলারের বিনিময় হার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলারের মূল্য নিয়ে কেউ কারসাজি করেছে বা করছে এটা যদি চিহ্নিত হয়ে থাকে, তাহলে সবার আগে সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারক ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। ব্যাংকগুলো যে রেটে ডলার বিক্রি করে আর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে রেট সরবরাহ করে, তা আরও কঠোরভাবে তদারক করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। ডলারের মূল্য বাড়লে সবার আগে এর প্রভাব পড়বে আমদানি খাতে, যা সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানান তিনি।###

https://www.dailyinqilab.com/article/115225