১২ নভেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৬:০৩

জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ১২ যাত্রী আহত

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইয়াবাসহ এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতারের জের ধরে মুখোশধারী যুবকেরা জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে এবং সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে দুটি স্থানে আট থেকে ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় গাড়িতে থাকা নারী-পুরুষসহ ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কেরানীহাট ট্রাফিক মোড় এলাকায় হঠাৎ একদল মুখোশধারী যুবক জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, কেরানীহাটের মাটি সোহেল ভাইয়ের ঘাঁটি, সেøাগান দিয়ে মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর এসব যুবক তাদের হাতে থাকা লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে কেরানীহাট ট্রাফিক মোড়ে দুটি এসি বাস, কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি ট্রাক ভাঙচুর করে। কিছুক্ষণ পর তারা মিছিলসহ কেরানীহাটের উত্তর মাথা গরুর বাজার এলাকায় আরো দুটি যাত্রীবাহী বাস, একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে।

এ সময় হামলাকারীদের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে হাবিবুর রহমান, লিয়াকত আলী, মো: সাইফুল, নুরুল কবির, আবদুল কাদের, সুমি আক্তার ও ছকিনা বেগমসহ ১২ যাত্রী আহত হন। হামলাকারীদের হঠাৎ তাণ্ডবে পুরো ব্যস্ততম কেরানীহাট এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীহাট মা ও শিশু হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ৭০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শফিউল আলম সোহেল ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নবাব মিয়াকে গ্রেফতার করে সাতকানিয়া থানা পুলিশের একটি দল।

এ দিকে মুখোশধারীদের হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে কেরানীহাট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সিএনজি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার ওসি রফিকুল হোসেন জানান, গত শুক্রবার রাতে কিছু মুখোশধারী যুবক কেরানীহাট এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/267621