কুমিল্লায় স্কুলছাত্র অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন
১০ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ১১:০৪

অপহরণের ৫ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার

কুমিল্লার হোমনায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর স্থানীয় দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র জাহিদ হাসানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপহরণ ও হত্যায় জড়িত একই স্কুলের দশম শ্রেণীর দুই ছাত্রসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

হোমনা থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী নিহতের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, হোমনার সাপলেজি গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে জাহিদকে পাঁচ দিন আগে সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক ছেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে জাহিদ বাড়ি না ফিরলে পর দিন তার বাবা হোমনা থানায় জিডি করেন। গত মঙ্গলবার সকালে অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে খুদে বার্তার মাধ্যমে জাহিদকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে তার চাচা মাসুদ রানা কলির কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ওই ফোন নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ পাশের দুলালপুর গ্রামের এমদাদ, জিহাদ ও খাইরুলকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জাহিদকে অপহরণের দিনই দুলালপুর বাজারের একটি ঘরের কক্ষে গলাটিপে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে লাশ ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বুধবার রাতে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় জড়িত গ্রেফতারকৃতরা হলোÑ হোমনা উপজেলার ভিটি কালমিনা গ্রামের মো: মজিবুর রহমানের ছেলে স্থানীয় মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী মো: জিহাদ হোসেন (১৯), একই গ্রামের মো: হাফেজ মিয়ার ছেলে ও দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মো: এমদাদ হোসেন (১৭) ও হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাঘাবাড়ির ভাড়াটিয়া মো: শাহজালাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র খাইরুল ইসলাম (১৭)।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী জানান, ঘাতকরা সবাই ছাত্র।
মোবাইলে তাদের মুক্তিপণ চাওয়ার কল ও ম্যাসেজ লিস্ট ট্র্যাক করে গত বুধবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় মামলা হয়েছে।

 

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/267063