৮ অক্টোবর ২০১৭, রবিবার, ১০:৪৪

৫ মাসে ৫ জনের প্রাণ নিলো বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ভারত সীমান্তে পাঁচ মাসে পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নিলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিএসএফ। সীমান্ত ঘেরা উপজেলার লোকজন নিজেদের স্বাবলম্বী করতে জীবনবাজি রেখে ভারতের ভেতর প্রতিনিয়ত গরু আনতে গিয়ে ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে। এতে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন গরু ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি উপজেলার চরধরমপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে অবৈধ গরুর বিট খাটাল। বিট খাটালকে কেন্দ্র করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু ব্যবসায়ীরা। ভারতে গরু আনতে গিয়ে শুধু লাশ হয়েই তারা ফিরছেন না। অনেকেই আহত হয়ে বাকি জীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করছেন। ভারতে গত মঙ্গলবার রাতে গরু আনতে গিয়ে উপজেলার হাঁসপুকুর গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে সেলিম রেজা (৩৫) নিখোঁজ থাকার তিন দিন পর শুক্রবার তার লাশ গোমস্তাপুর উপজেলার মকরমপুর মহানন্দা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় তার স্বজনেরা উদ্ধার করেন। অপর দিকে একই স্থানে ভারতে গরু আনতে গিয়ে ৮ সেপ্টম্বর লাশ হয়ে ভেসে ওঠে উপজেলার সুরানপুর গ্রামের হুমায়নের জামাতা তৌহিদুর (৩০)। একই ঘটনার শিকার হাউসপুর গ্রামের সাবুরুদ্দীনের ছেলে বুলুকে ভারত থেকে গরু আনাকে কেন্দ্র করে তার সহযোগী গরু ব্যবসায়ীরা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ২৫ জুলাই। এ ছাড়া চাঁনশিকারি গ্রামের এরফান আলীর ছেলে সাইদুল (৩০) ও উপরপাঁচটিকরি গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে সামাদ (২৮) ভারতে গরু আনতে গিয়ে ২৩ এপ্রিল বিএসএফের গুলি খেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে মারা যান। এ ছাড়া আইনি জটিলতা এড়াতে বিএসএফের এই নির্যাতনের শিকার আহত অনেক গরু ব্যবসায়ী আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এসব ঘটনায় ৫৯ ব্যাটালিয়নের পোল্লাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তাদের অভিভাবক হিসেবে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বলবেন। তবে সীমান্ত বিষয়ে ভারতের সাথে পতাকা বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/257713