৫ অক্টোবর ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:১১

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ

পদে পদে অনিয়ম দুর্নীতি

বছরের পর বছর ঝুলে থাকে নিয়োগ, নিয়মিতকরণসহ বিভিন্ন কাজ * ক্যাডার নন-ক্যাডার ইস্যুতে মুখোমুখি শিক্ষকরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ কার্যক্রমে চলছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি। এতে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। বছরের পর বছর ঝুলে থাকে তাদের এডহক নিয়োগ ও চাকরি নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কাজ। পাশাপাশি অধিকাংশ শিক্ষককেই দেয়া হয় না বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ।

আর এসব সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্যাডার শিক্ষকদের তীব্র বিরোধিতা। সরকারি কলেজের বেশির ভাগ শিক্ষক আত্তীকৃতদের ক্যাডারভুক্তির বিপক্ষে। অন্য দিকে নন-ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিতে আপত্তি আত্তীকৃতদের। এ নিয়ে উভয়পক্ষই একরকম ‘মুখোমুখি’ অবস্থানে রয়েছেন। আলাদা কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে দু’পক্ষের বাকযুদ্ধ। এমন অবস্থার মধ্যেই সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের ‘নন-ক্যাডার’ হিসেবে সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির প্রাথমিক খসড়া বিধিমালা। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে।

জাতীয়করণ সংক্রান্ত কাজে সৃষ্ট বিভিন্ন জটিলতা ও বিলম্বকে ক্যাডার শিক্ষকদের ‘ইচ্ছাকৃত’ তৈরি বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা (আত্তীকৃত অথবা আত্তীকরণের প্রক্রিয়ায় যারা আছেন)। তাদের মতে, ক্যাডার শিক্ষকদের প্রভাবের কারণেই নিয়মবহির্ভূতভাবে নন-ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্তিসংক্রান্ত বিধিমালা তৈরি করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। বর্তমান বিধান অনুযায়ী, জাতীয়করণের পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যাডারভুক্ত হওয়ার কথা।

যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে উঠে এসেছে উল্লিখিত সব তথ্য। শুধু তাই নয়, জাতীয়করণ কার্যক্রমে প্রতারণার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে খোদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারিকরণ কাজে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু প্রতারক বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে ফোন করছে। তারা তালিকায় নাম বাদ দেয়া বা অন্তর্ভুক্তির কথা বলে অর্থ দাবি করে বিকাশ নম্বরে (টাকা) পাঠাতে বলছে বলে জানা গেছে। এ ধরনের কোনো ফোন পেলে তা নিকটস্থ থানায় অবহিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে অনুরোধ করা হয়।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, মফস্বলের শিক্ষার্থীদের স্বল্প অর্থে মানসম্মত শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার ‘ভালো’ কলেজকে সরকারি করা হয়ে থাকে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সরকারি হওয়ার পর অনেক শিক্ষকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করে অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর শিক্ষক সংকট থাকে। এতে মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ৩ এপ্রিল জাতীয়করণ হওয়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি বন্ধ রাখতে অনুশাসন দিয়েছেন। কিন্তু মফস্বলের সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোতে শিক্ষক সংকট এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন যুগান্তরকে বলেন, কলেজ জাতীয়করণের কাজটি অনেক জটিল। ভুল যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ভালোভাবে দেখতে হয়। তবে এজন্য যৌক্তিক একটা সময়ের বেশি লাগলে সেটা অবশ্যই আপত্তিকর। হয়রানি বা দিনের পর দিন ঘুরেছেন কেউ- সুনির্দিষ্টভাবে তার তথ্যপ্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হবেন, সেটা বিবেচনার দায়িত্ব সরকারের। বিধিবিধান লঙ্ঘন করে কেউ কেউ ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে কথাবার্তা বলছেন। সেটা আমাদের নজরে আছে। সচিব বলেন, জাতীয়করণে অতীত অভিজ্ঞতা, বিদ্যমান আইন এবং মানুষের জন্য যেটা সর্বোত্তম হবে, সেটা বিবেচনায় নিয়েই তালিকাভুক্ত স্কুল, কলেজের শিক্ষকদের চাকরি আত্তীকরণ হবে। তবে এ লক্ষ্যে ফাইল তৈরি হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারও দাবি বা চাপের মুখে নয়।

সরকারি স্কুল, কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে ২৮৫ কলেজ ও ৩৭১টি স্কুল সরকারিকরণের প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তি নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পরও গত ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ১৭টি বাদ দিয়ে নতুন করে সেখানে অন্য ১৭টি কলেজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও জাতীয়করণ করা হয়নি- এমন দাবি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেছে আটটি কলেজ। এর মধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান বলেছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় শর্ত পূরণ না করা কলেজ জাতীয়করণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাদ দেয়ার ইস্যুতে গত ২৭ নভেম্বর ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় সংঘর্ষে দু’জন নিহত হন। জাতীয়করণবঞ্চিত হবিগঞ্জের লাখাই কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোত্তালিব যুগান্তরকে জানান, স্কুল সরকারি হওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব জমি, তিন-চার বছরের ভালো ফল এবং উপজেলা সদরের দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থানসহ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে হয়।

এর কোনোটি পূরণ না করা সত্ত্বেও উপজেলার ‘ব’ আদ্যাক্ষরের একটি স্কুল জাতীয়করণ করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের জমি রেজিস্ট্রেশনে জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ আছে। বিপরীত দিকে সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাদের প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয়নি। বরগুনার বামনায় একটি স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের তালিকায় এসেছে। প্রকৃত নাম পরিবর্তন করে এবং কলেজ অংশ বাদ দিয়ে শুধু স্কুলকে জাতীয়করণের তালিকায় রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার মাঠপ্রশাসন ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারা দেশে বর্তমানে ৩৩৫টি সরকারি কলেজ ৩৪৭টি স্কুল আছে। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে সরকারি হওয়া স্কুল ও কলেজের কার্যক্রমে পদে পদে নানা হয়রানির মুখে পড়েছেন শিক্ষকরা। বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের ক্ষেত্রে সরকারি ঘোষণার পর পরিদর্শন, সম্পত্তি হস্তান্তরসহ অন্য প্রক্রিয়া প্রথমে অনুসৃত হয়। এরপর গেজেট হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি, এডহক নিয়োগসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বেশির ভাগ স্কুল, কলেজের পদ সৃষ্টি ও এডহক নিয়োগপর্বই শেষ হয়নি। আবার বড় ধরনের তদবিরে অবিশ্বাস্য গতিতে দু’একটির কাজ শেষ হওয়ার রেকর্ডও আছে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে জাতীয়করণ হয় চরফ্যাশন কলেজ। দীর্ঘ দুই বছর ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) ওই কলেজের শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিত করার ফাইল আটকে আছে। অথচ একই তারিখে জাতীয়করণ হওয়া ফরিদপুরের নগরকান্দা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণ হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের দাবি, মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাড়ি ফরিদপুরে। এ কারণেই এই কলেজের কাজ আটকে থাকেনি।

আবার ২০১৩ সালের ১৪ মে জাতীয়করণ হওয়া নেত্রকোনার হাজী আবদুল আজিজ খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের চাকরিও আজ পর্যন্ত নিয়মিত হয়নি। ওই কলেজের একজন শিক্ষক জানান, গত বছরের ১৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত ফাইল মাউশিতে জমা দেয়া হয়েছিল। দেড় বছর পর গত ২২ জুন ফাইলের ওপর বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়। টাঙ্গাইলের ইব্রাহিম খাঁ কলেজ ২০১৩ সালের ১১ অক্টোবর জাতীয়করণ হয়। ওই কলেজের এডহক নিয়োগই এখন পর্যন্ত হয়নি। কলেজটির একজন শিক্ষক জানান, জাতীয়করণের পর মাউশির যে পরিদর্শক দল শিক্ষকদের পদ সৃষ্টির ফাইল তৈরি করে, সেখানে জালিয়াতি হয়। মরিয়ম খাতুন বীথি নামে এক শিক্ষকের চাকরি সরকারি করার প্রস্তাব না করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় তার (বীথি) দুই বছর পরে নিয়োগ পাওয়া অন্য একজনের নাম। বঞ্চিত বীথি বিষয়টি টের পেয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। নথিপত্র দেখার পর শিক্ষামন্ত্রী লিখিতভাবে সুবিচারের নির্দেশ দেন। কিন্তু পৌনে দুই বছর ধরে ঘুরিয়ে বীথিকে বাদ দিয়েই মন্ত্রণালয় ওই কলেজের শিক্ষকদের এডহক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয়করণকৃত শিক্ষকরা প্রায়ই বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে উপেক্ষিত থাকেন। ১৪৯তম প্রশিক্ষণে একজনও নেয়া হয়নি। পরের ব্যাচে অবশ্য পিএসসি উত্তীর্ণ কর্মকর্তা না পাওয়ায় মাউশি মহাপরিচালকের সরাসরি হস্তক্ষেপে চার-পাঁচজনকে নেয়া হয়। অথচ এই প্রশিক্ষণ পদোন্নতির জন্য বাধ্যতামূলক।

ক্যাডার শিক্ষকদের বিরোধিতা : বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ হলে পদোন্নতি-পদায়নে জটিলতার আশঙ্কা থেকে পিএসসির মাধ্যমে নিযুক্ত শিক্ষকরা আগেভাগেই বিরোধিতা শুরু করেছেন। এ দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। কিছু ক্যাডার সদস্য জাতীয়করণ কলেজের শিক্ষকদের ‘নন-ক্যাডার’ করার দাবি তুলেছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্যন্ত তারা ‘নো বিসিএস, নো ক্যাডার’ প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত ২৪ আগস্ট মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) শিক্ষা ক্যাডারের এক অনুষ্ঠানে গেলে কয়েকজন তার সামনে উল্লিখিত স্লোগান তুলে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। বর্তমানে ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।

জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকরা বলছেন, ক্যাডার শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তাও গা ভাসিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে জাতীয়করণকৃত কলেজের শিক্ষকদের চাকরি ‘নন-ক্যাডার’ করতে খসড়া বিধিমালাও তৈরি করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, কলেজ জাতীয়করণ ও এর শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসনে নিযুক্ত ক্যাডার কর্মকর্তাদের হাতে। যেহেতু তারাই জাতীয়করণ শিক্ষকদের চাকরি ক্যাডারভুক্ত করার বিপক্ষে, তাই কলেজ জাতীয়করণ থেকে শুরু করে শিক্ষকদের চাকরিসংক্রান্ত কাজে পদে পদে জটিলতা, সময়ক্ষেপণ ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে।

অন্য দিকে জাতীয়করণ কলেজের শিক্ষকরাও বসে নেই। একাধিক সংগঠনে বিভক্ত হয়ে নানা দাবি তুলছেন তারা। সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষক সমিতির (সকশিস) আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, সরকারি হওয়ার প্রাথমিক তালিকায় থাকা ২৯৯টি কলেজের মধ্যে ২৮৩টি কলেজ দানপত্র দলিল সম্পন্ন করেছে তিন মাস আগে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের আদেশ জারি হচ্ছে না। এ নিয়ে চলছে রশি টানাটানি ও ষড়যন্ত্র। যারা আমাদের চাকরি ক্যাডার হিসেবে পদায়ন চান না, তারাই দীর্ঘসূত্রতার জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থী এবং আমাদের মতো গরিব শিক্ষকদের জন্য এসব কলেজ প্রধানমন্ত্রীর ‘উপহার’। কিন্তু কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে তা ‘উপহাসে’ পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

https://www.jugantor.com/first-page/2017/10/05/160741