বরিশালে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যুতের একটি টাওয়ার
১ অক্টোবর ২০১৭, রবিবার, ১২:২৩

ছয় দিনেও কর্মকর্তারা জানেন না বিদ্যুতের টাওয়ার নদীতে!

পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ৩৩ হাজার ভোল্টের বিশাল বিদ্যুতের টাওয়ার নদীতে বিলীন হওয়ার ছয় দিন পরও বিষয়টি জানেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনাটি সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠি এলাকার।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর আগে থেকে ভাঙনকবলিত এলাকার কয়েক লাখ টাকা মূল্যের ওই টাওয়ারটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বানারীপাড়া সাব-জোনাল অফিসে একাধিবার জানানো সত্ত্বেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, বহুবার টাওয়ারটি রক্ষায় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অনুরোধ ও আবেদন করা হলেও সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অবশেষে ছয় দিন আগে গত সোমবার পুরো টাওয়ারটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
শফিকুল ইসলাম আরো জানান, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ঘরামি জানান, বানারীপাড়া ও বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে একাধিকবার ফোন করার পাশাপাশি লিখিত আবেদন করা হলেও টাওয়ারটি রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, টাওয়ারের মালামাল রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বানারীপাড়া সাব-জোনাল অফিসের এজিএম নারায়ণ চন্দ্র নন্দীকে নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি শুধু কর্মচারীদের দিয়ে তার খুলে নিয়েছেন। মূল্যবান টাওয়ারের অন্যসব মালামাল খোলার ব্যাপারে তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় গত সোমবার দুপুরে পুরো টাওয়ারটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম নারায়ণ চন্দ্র নন্দীর সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গাজী সোহরাব হোসেনের ওপর পুরো দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বলেন, আমি অবসরে আসার পর পুরো দায়িত্ব তার (ইঞ্জিনিয়ার) ওপর রয়েছে।

টাওয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা ঠিকাদার ভেঙে দেবেন। তার ওয়ার্ক অর্ডারে টাইম আছে। বর্তমানে দায়িত্ব থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গাজী সোহরাব হোসেনের কাছে গত ছয় দিন আগে নদীতে পুরো টাওয়ারটি বিলীনের কথা বললে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/256319