১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শনিবার, ৯:১২

রাজধানীতে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৮-১০ টাকা

অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে প্রায় ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা। সকল প্রকার মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সরু চালের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজি, মাছ এবং মুরগীর দাম আগের বাড়তি দামেই স্থীতিশীল থাকলেও নতুন করে অস্বাভাবিক হারে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করবো- এটাই স্বাভাবিক। দাম বাড়ার জন্য বরাবরই মিল মালিক ও আড়ৎদারদের দায়ী করছেন তারা। তবে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা ও পারিজা চাল প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট কেজি প্রতি ৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে (ভালো মানের) ৬৪ টাকা দরে, মিনিকেট (সাধারণ) ৬০ টাকা, বিআর-২৮ ৫৮ টাকা, উন্নত মানের নাজিরশাইল ৭০ টাকা, পাইজাম চাল ৫৫ টাকা, বাসমতি ৭২ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬ টাকা এবং পোলাও চাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আরিফ বলেন, বাড়তি দামে কিনছি; সে অনুযায়ীই বিক্রি করছি। আড়ৎদাররাই বাড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের কিছুই করার নেই।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেন, চালের দাম বাড়ছে; আরও বাড়বে। বন্যার সমস্যা এখনো কাটিয়ে উঠেতে পারেনি মিল মালিকেরা। ফলে দাম বাড়ছে।
ব্যবসায়ীদের সাবধান করে মন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মন্ত্রী তো মন্ত্রীর জায়গায় থেকে এসব কথা বলেছে; তিনি তো আর মাঠে গিয়ে দেখেন না। শুধু মুখে বললেই হবে না; এক্ষেত্রে মন্ত্রীরও অনেক দায়িত্ব আছে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী।
এদিকে ক্রেতারা মনিটরিং এবং সঠিক তত্ত্বাবধায়নের অভাবকে দায়ী করছেন। একজন ক্রেতা বলেন, চালের দাম যেভাবে বাড়ছে; তাতে করে আগামী কয়েকদিনে ৮০-৯০ টাকা হয়ে যাবে মানে হচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার আগের বাড়তি দামেই স্থীতিশীল রয়েছে। বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। এছাড়া শিম ১০০ টাকা; হাইব্রিড টমেটো ১২০ টাকা; দেশি টমেটো ৯০ টাকা; শশা ৬০ টাকা; চাল কুমড়া ৫০-৫৫ টাকা; কচুর লতি ৬০-৬৫ টাকা; পটল ৬০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৫৫-৬০ টাকা; করলা ৬০ টাকা; কাকরোল ৫৫ টাকা; পেঁপে ৪০-৫০ টাকা; কচুরমুখী ৬০ টাকা; আমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি ফুলকপি ৩৫ টাকা; বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা; পালং শাক আঁটি প্রতি ২০ টাকা; লালশাক ২০ টাকা; পুঁইশাক ৩০ টাকা এবং লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে কেজি প্রতি ছোলা ৮৫ টাকা; দেশি মুগ ডাল ১৩০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১২০ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা; দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ব্র্যান্ড ভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০-৫৪০ টাকা; প্রতি লিটারে ১-২ টাকা বেড়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই মাছ ২৮০-৪০০ টাকা, সরপুঁটি ৩৮০-৪৫০ টাকা, কাতলা ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০-৩০০ টাকা, চাষের কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০-৮০০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০০-৮০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১০০০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি পিস ৪৫০; পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

http://www.dailysangram.com/post/299920