গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রোডম্যাপ বিষয়ে বিভিন্ন প্রত্রিকার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার একেএম নূরুল হুদা -সংগ্রাম
১৭ আগস্ট ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৮

সেনা মোতায়েনসহ সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরামর্শ

সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছেন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা। আর এ জন্য সেনা মোতায়েনসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন তারা। তবে দু‘একজন সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার মাধ্যমে ইসির প্রতি আস্থা অর্জন ও রাজনৈতিক ঐক্য তৈরির চেষ্টা চালানোর জন্যও তারা পরামর্শ দিয়েছেন। দল নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও অনেকে মত দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে তারা এই আহ্বান জানান। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতো গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিরাও নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ও ‘না’ ভোট চালুর সুপারিশ করেছেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেশিরভাগ ব্যক্তিই সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। ইসিকে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে হবে, যেন সবাই নির্বাচনে আসে। সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে অনেকেই মনে করছেন সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। অনেকেই বলেছেন, অনেক দেশে সেনাবাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। তাহলে আমাদের দেশে সমস্যা কিসের? তবে আমি বলেছি, এটি সিভিল প্রশাসনের বিষয়, সেনা মোতায়েন দরকার নেই। তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকতে পারে। আলোচনায় ‘না’ ভোটের বিষয় এসেছে। অনেকে ‘না’ ভোট চালুর বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। কেউ কেউ বিরোধীতাও করেছেন। একটি বিষয়ে আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, নির্বাচনে গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী, ‘না’ ভোট, সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছি। বলেছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়। আমরা কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা নই যে, আমাদের এখানে সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে, সেগুলো হলো কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায়। সব দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। একইসঙ্গে নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা তা নিয়েও কথা হয়েছে। ইসি যদি মনে করে সেনাবাহিনীর দরকার তাহলে মোতায়েন করবে, না চাইলে নয়। তবে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাকে বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি।
এছাড়া জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করে কালো টাকার পথ নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেন নঈম নিজাম। নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কিছু আসন পুনর্বিন্যাস করা দরকার।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে বিপক্ষে মত দিয়েছেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নয়, সেনা মোতায়েন হতে পারে একমাত্র জাতীয় বিপর্যয়কালে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে জঙ্গি দমনে ভূমিকা রাখছে, তেমনি সুষ্ঠু নির্বাচনেও তারা যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশনই এসব বিষয়ে ভূমিকা রাখবে। আমি কমিশনকে অযোগ্য মনে করি না।’
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি উল্লেখ করে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলার চেষ্টা করেছি। সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এ জন্য রাজনৈতিক ঐকমত্য খুবই জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে কমিশনকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। কারণ কমিশন এখন মাত্র টেস্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। আস্থা অর্জনে তাদের আরও অনেক পথ যেতে হবে। নির্বাচনের প্রধান স্টেক হোল্ডার হলো রাজনৈতিক দল। তাদের সঙ্গে সংলাপ করাটা বেশি জরুরি। একজন সাংবাদিক হিসেবে দেখি, একটি নির্বাচন করতে হলে যে ধরনের পরিবেশ দরকার সেটি এখনও তৈরি হয়নি। কমিশন আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমন আচরণ করবে যেন জনগণের আস্থা তৈরি হয়।’ সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসল কথা হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। সে জন্য সেনাবাহিনী কেন, যেকোনও বাহিনী দরকার হলে মোতায়েন করতে হবে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।’
সিনিয়র সম্পাদক মাহফুজউল্লাহ বলেন, ‘সংলাপে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই ধরনের নির্বাচন যেন ভবিষ্যতে না হয়, সে জন্য কমিশনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগের তিন বছরে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেননি এমন কর্মকর্তাদের পদায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সংলাপে অংশগ্রহণকারী দু’একজন ছাড়া সবাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছেন।’
বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের পন্থা বের করতে হবে। দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে কেবল গ্রহণযোগ্য একটি জাতীয় নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচনের আগে অবশ্যই চলতি সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ‘না’ ভোটের বিধান রাখতে হবে। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের ওপর কোনও বিধি-নিষেধ আরোপ করা যাবে না।
প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলেছি। প্রত্যেক দল যেন ৩৩ শতাংশ নারীর নেতৃত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে, সে বিষয়ে কমিশনকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি। ভিন্ন কোনও নামে যেন জামায়াত নিবন্ধিত হতে না পারে, কমিশনকে তার জন্য সতর্ক থাকতে বলেছি।’
সিনিয়র সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর তার প্রস্তাবনায় সেনা মোতায়েন ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন। তিনি বিএনপির নাম উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে ওই দলটির অনেক নেতার নামে মামলা রয়েছে। ওই মামলার সূত্র ধরে নির্বাচনের সময় তাদের যেন হয়রানির শিকার হতে না হয়, তার জন্য নির্বাচনকালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাদের মামলার হয়রানি থেকে রেহাই দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি সেনা মোতায়েনের পক্ষে মত দেন।
বৈঠক শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তার নিজস্ব শক্তি ও জনবলের সঠিক ব্যবহার, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন এবং না ভোট পুনঃপ্রবর্তনের সুপারিশ করেছেন বিভিন্ন পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা।
ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন সব পর্যায়ের অংশীজনদের মতামত জানার জন্য ধারাবাহিকভাবে সংলাপের আয়োজন করেছে। এই সংলাপ থেকে যেসব মতামত কিংবা সুপারিশ আসবে, সেসব বিষয় নিয়ে ইসি কমিশনারেরা আলাদাভাবে বসে তাঁদের করণীয় নির্ধারণ করবেন। সংলাপের মাধ্যমে কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি এবং কীভাবে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে, তা নির্ধারণই এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য।
যেসব বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সুপারিশ করেছেন তা হলো- সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা, তবে কেউ কেউ বিরোধিতা করেছেন, না ভোটের পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য এসেছে, নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণের নামে দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রভাব ঠেকানো, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ইংরেজি থেকে বাংলায় সহজ করে লেখা, সীমানা নির্ধারণের ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা, ভোটে যেন কোনো প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা, লঙ্ঘিত হলে ব্যবস্থা নেয়া, নির্বাচনে অর্থ ও পেশি শক্তির ব্যবহার যাতে না হয়, নির্বাচনে কোনোভাবেই যেন ধর্মের ব্যবহার না হয়, যুদ্ধাপরাধীরা যেন নির্বাচন করতে না পারেন, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা, দলীয় প্রভাবমুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, নারী ভোটাররা যাতে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন, অনলাইনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা, প্রার্থীদের হলফনামা সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা।
এরপর সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পত্রিকার মোট ৩৬ জন সম্পাদককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সংলাপে ২৬ জন সম্পাদক অংশ নিয়েছেন। স্বনামধন্য পত্রিকা ও ব্যক্তিদের এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সেটা রাজনৈতিক দলসহ সবার সঙ্গে সংলাপ শেষে নির্বাচন কমিশনাররা মিলে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় অনেক মাঠকর্মী বাড়ি বাড়ি যাননি এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এর আগে আগারগাঁও নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সংলাপ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের তালিকার ক্রমানুসারে নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবির, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিস সৈকত, কালের কণ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামাল, মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব ওমর ফারুক, বিএফইউজের অপর অংশের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, আমানুল্লাহ কবীর, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, দৈনিক সংবাদের নির্বাহী সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, যায়যায়দিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক কাজী সিরাজ ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপে অংশ নেননি সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খানসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক আমন্ত্রণ পেলেও সংলাপে অংশ নেননি।
আজ বৃহস্পতিবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন।

 

http://www.dailysangram.com/post/296388-