৯ আগস্ট ২০১৭, বুধবার, ১০:২৫

নিষ্ক্রিয় পাউবো

দেশে ১৩ হাজার কি.মি. বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ : দুই মন্ত্রণালয়ের দখলে ৯ হাজার কি.মি.

দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৯ হাজার ২২৮ দশমিক ৪৫৪ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের মধ্যে ৭ হাজার ২শ’ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭০টি জোনের মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৮ হাজার ৪২৯ কিলোমিটার, উপক‚লীয় বাঁধ ৪ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার বাঁধ, ডুবন্ত বাঁধ দুই হাজার ৪৩৬ কিলোমিটার এবং সেচ খালের ডাইক ৩ হাজার ৬১২ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ওপর রাস্তা নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি। এক হাজার ৩২৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ওপর রাস্তা নির্মাণ করে দখল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা বেড়িবাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ করে দখল করেছে ৮৭০ কিলোমিটার। এসব বাঁধ উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে পারেনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই আলোকে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আর বিভিন্ন জেলায় অবৈধ দখলে থাকা বাঁধগুলো উদ্ধারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: মাহফুজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৯ হাজার ২২৮ দশমিক ৪৫৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৭ হাজার ২০০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ এবং চলাচল অযোগ্য। সারাদেশে ৭০টি জোনের মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৮ হাজার ৪২৯ কিলোমিটার, উপক‚লীয় বাঁধ ৪ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার, ডুবন্ত বাঁধ ২ হাজার ৪৩৬ কিলোমিটার এবং সেচ খালের ডাইক ৩ হাজার ৬১২ কিলোমিটার বাঁধের রয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ১৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ওপর রাস্তা নির্মাণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এলজিইডি। এক হাজার ৩২৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ওপর রাস্তা নির্মাণ করে দখল করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা বেড়িবাঁধের ওপরে রাস্তা নির্মাণ করে দখল করেছে ৮৭০ কিলোমিটার। এসব বাঁধ অবৈধ দখল উদ্ধারে বিভিন্ন জেলায় মামলা চলছে। এ কারণে উদ্ধারকাজ হচ্ছে না। এসব বাঁধ উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে পারেনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিব বলেন, সারাদেশে কত কিলোমিটার বাঁধ অবৈধ দখলে আছে তার কোনো তথ্য নেই মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া কত কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ তাও জানেন না অনেক কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ষাটের দশকে নির্মাণ করা এসব বাঁধ এখন নামেই টিকে আছে। অনেক এলাকায় বাঁধের কোনো অস্তিত্বও নেই। আশির দশকে নির্মাণ করা উলিপুরের থেতরাই-গুনাগাছ বুড়ি তিস্তা নদী এখন অবৈধ দখলে। আবার অনিয়ম ও দুর্নীতি গিলে খেয়েছে অনেক এলাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ দখলে থাকা বেড়িবাঁধ উদ্ধারে মামলা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এদিকে কত হাজার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে তা জানে না পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই মন্ত্রণালয়ে। যেসব জেলায় বাঁধ দখল করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- ঢাকায় পওর বিভাগ-১ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১০৯ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার সেচ খালের ডাইক ১২৫ দশমিক ৩০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা সিটি কপোরেশন দখল করেছে ১৫৭ দশমিক ২৭৫ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ৪২ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার। ঢাকায় পওর বিভাগ-২ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৫১ দশমিক ৭৬০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ৩৫ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ পওর বিভাগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১২০ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার সেচ খালের ডাইক ৪১ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ঢাকা সিটি কপোরেশন দখল করেছে ৬৪ দশমিক ৯০০ কিলোমিটার। মানিকগঞ্জ পওর বিভাগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৩৮ দশমিক ৬০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৩০০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ৬ দশমিক ৯৫০ কিলোমিটার। ময়মনসিংহ পওর বিভাগ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১৮১ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৯৬ দশমিক ৫২৫ কিলোমিটার। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৮৭ দশমিক ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৩৬ দশমিক ৬৫০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ১০ কিলোমিটার। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৩৫ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার, ডুবন্ত বাঁধ ১৩১ দশমিক ১০০ কিলোমিটার, এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ২১ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। ট্ঙ্গাাইল জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২৩৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৬৫ দশমিক ৬৯০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ২৪ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৪৮ দশমিক ৯০৫ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১৬ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। কুমিল্লা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১৪১ দশমিক ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৫৭ দশমিক ৮৬০ কিলোমিটার। চাঁদপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১৩ দশমিক ৩০০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ৬৯ দশমিক ১০০ কিলোমিটার। এদিকে ফেনী জেলায় ১২২ দশমিক ৭৮০ কিলোমিটার, নোয়াখালী জেলায় উপক‚লীয় বাঁধ ৪২৪ দশমিক ৩৩৮ কিলোমিটার, লক্ষীপুর জেলায় উপক‚লীয় বাঁধ ১৪৪ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম-১ জোনে ২১৭ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম-২ জোনে ৬ দশমিক ৬৯৮ কিলোমিচার এবং স্থানীয় সরকার দখল করেছে ৩৭ দশমিক ৫৫০ কিলোমিটার। রাঙ্গামাটি জেলায় সেচ খাল ৮৬ দশমিক ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ১২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার দখল করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৬৯ দশমিক বাঁধের মধ্যে ডুবন্ত বাঁধ ১৪৬ দশমিক ২৫০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৬৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং সড়ক বিভাগ দখল করেছে ১৩০০০ কিলোমিটার। সুনামগঞ্জে বেড়িবাঁধ ৩৭০০০ কিলোমিটার। ডুবন্ত বাঁধ হচ্ছে ১৫৬২ দশমিক ৪২৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ২২৪ দশমিক ৩৯০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ৮৩০০০ কিলোমিটার। মৌলভীবাজার জোনে বেড়িবাঁধ ৫৩৯ দশমিক ৯০১ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৮৯ দশমিক ৫৭৫ কিলোমিটার। হবিগঞ্জ জোনে বেড়িবাঁধ ১৪৬০০০ কিলোমিটার এবং ডুবন্ত বাঁধ রয়েছে ৩০.৮০০০ কিলেমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৪০ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। ফরিদপুর জোনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২৭০ দশমিক ১০০ কিলেমিটার। এর মধ্যে ১২৪ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার স্থানীয় সরকার বিভাগের দখলে এবং সড়ক বিভাগ দখল করেছে ৫৩ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। গোপালগঞ্জ জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১৪৫ দশমিক ১৪২ কিলোমিটার। ডুবন্ত বাঁধ রয়েছে ১৭১ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার। স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৮৯ দশমিক ১৮০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ১২০ দশমিক ৯৬ কিলোমিটার। কুষ্টিয়া পওর বিভাগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২৪০০০ কিলোমিটার সেচ খালের ডাইক ৫৩১ দশমিক ৮০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৫৭ দশমিক ৯০০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ১২ দশমিক ৬০০ কিলেমিটার। চুয়াডাঙ্গা পওর বিভাগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ সেচ খালের ডাইক ১৮৫ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৪ দশমিক ১০০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ১৩০০০ কিলোমিটার। যশোর পওর বিভাগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৫৭০০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ২৮০০০ কিলোমিটার।
খুলনা পওর বিভাগ-১ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৩৩৬ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ২২৭০০০ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ১২.০০ কিলোমিটার। খুলনা-২ পওর বিভাগে ডুবন্ত বাঁধ ৫০৯ দশমিক ৩৮০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১৪৭ দশমিক ৪০২ কিলোমিটার এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখল করেছে ২৭ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২৬৯ দশমিক ৯৪০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১২০ দশমিক ৫৭০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ৩৭০০ কিলোমিটার। নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১৪৯০০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৯৯০০০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ৮০০ কিলেমিটার। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৯৪ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৯ দশমিক ৭০৯ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ১৪০০০ কিলোমিটার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৭৮ দশমিক ৫৪০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১১ দশমিক ২০০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ৪২০০০ কিলোমিটার। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৭৭ দশমিক ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৯ দশমিক ৭০৯ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ২২০০০ কিলোমিটার। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১২৮০০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৫ দশমিক ৭০০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ৪০০০ কিলেমিটার। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২৩৮ দশমিক ৫৫০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ৩৬ দশমিক ৮০০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ১০০০ কিলোমিটার। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৪০০০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১১১ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ৩০০০ কিলোমিটার। দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ৪৫ দশমিক ৬২৫ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১৯ দশমিক ৪৪০ কিলোমিটার। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ২৭২ দশমিক ৮৯০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ দখল করেছে ১৪১ দশমিক ৩০০ কিলোমিটার। সড়ক বিভাগ দখল করেছে ১৫০০০ কিলোমিটার। এছাড়া ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, পটুয়াখলী এবং বরগুনা জেলায় একইভাবে বাঁধ দখল করা হয়েছে।

https://www.dailyinqilab.com/article/91059/