৭ আগস্ট ২০১৭, সোমবার, ১১:২৬

সাতক্ষীরায় দরপত্র জমা দিতে পারেনি ঠিকাদাররা

সরকারদলীয় ক্যাডারদের বাধা ও মারধর * ৯৭টির মধ্যে জমা ৬টি

যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাঁতীলীগ ক্যাডারদের তাণ্ডবের মুখে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে দরপত্র জমা দিতে পারেনি বেশির ভাগ ঠিকাদার। ক্যাডাররা তাদের সিডিউল কেড়ে নিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। কয়েকজনকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া ছাড়াও একাধিক ঠিকাদারকে তারা মারধর করেছে। পেশিশক্তির দাপটে সিডিউল জমা দিতে না পেরে কয়েকজন ঠিকাদার সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে টেন্ডার বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।


তবে সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান বলেছেন, ‘এসব কোনো কিছুই তার সামনে ঘটেনি। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে নিরাপদে সিডিউল জমা দিয়েছে।’ পর্দার আড়ালে কোনো সমঝোতা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও তার কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগে ওষুধ, গজ ব্যান্ডেজ, কেমিক্যাল রিএজেন্ট, আসবাবপত্রসহ সাতটি আইটেম সরবরাহের বিপরীতে এক কোটি পনেরো লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বান করেন সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান। এ জন্য ৯৭টি সিডিউল বিক্রি হয়। এর মধ্যে জমা পড়েছে মাত্র ছয়টি টেন্ডার। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার দুপুর ১২টার মধ্যে দরপত্রগুলো জমা দেয়ার নির্দেশনা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী তিনটি স্থানে এ দরপত্র জমা দেয়ার বিধান থাকলেও এক্ষেত্রে রহস্যজনকভাবে কেবল সিভিল সার্জন অফিসের বাক্সে তা জমা দেয়ার কথা বলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দরপত্র জমাদানে বাধাদান, মারধর ও তাণ্ডব সৃষ্টিকারী ক্যাডারদের মধ্যে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হোসেন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবিব অয়ন, তাঁতীলীগ সভাপতি মীর আতাহার শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হাসান, শহর যুবলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, একই দলের নুর আলম মুকুলসহ ১০-১২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি তানভির হোসেন সুজন বলেন, ‘আজ (রোববার) সিভিল সার্জন অফিসে টেন্ডার দাখিলের দিন ছিল জানি। আমি কিছুক্ষণের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি বা আমরা তো কাউকে দরপত্র দাখিলে কোনোরকম বাধা দেইনি। কেউ যদি আমাকে নিয়ে এমন অভিযোগ দিয়ে থাকেন তবে তিনি মিথ্যা বলেছেন।

http://www.jugantor.com/news/2017/08/07/145975/