১৮ জুলাই ২০১৭, মঙ্গলবার, ১১:২৮

চাল কিনতে থাইল্যান্ডের দ্বারস্থ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

জরুরি ভিত্তিতে চাল কিনতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। দু’দেশই দুই লাখ টন করে চালের চাহিদা জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের (ডিএফটি) উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট। ডিএফটি’র উপ-মহাপরিচালক কিরাটি রুশচানো বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মারাত্মক খরা ও বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এতে করে তাদের ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তাদের নিয়মিত সরবরাহকারী না হওয়া সত্ত্বেও থাইল্যান্ডের দারস্থ হতে বাধ্য হয়েছে দেশ দু’টি।

মি. কিরাটির ভাষ্য, ‘দেশ দুটিকে তাদের মজুদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। এ কারণে তারা থাইল্যান্ডমুখী হয়েছে। যদিও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাই চাল তারা কিনেছে দীর্ঘদিন আগে। তারা চালের ডেলিভারি দ্রুত চাচ্ছে, চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে।’
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা উভয় দেশই ২ লাখ টন করে চালের চাহিদা জানিয়েছে। এর বেশিরভাগ অর্ধসিদ্ধ মান এবং সাধারণ মানের সাদা চাল। থাই চাল রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সাধারণ মানের ৫ ভাগ সাদা চালের মূল্য জানানো হয়েছে টনপ্রতি ৪১০ ডলার। আর অর্ধসিদ্ধ মানের ১০০ ভাগ সাদা চালের মূল্য টনপ্রতি ৪৩৯ ডলার।
খবরে আরো বলা হয়, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সাধারণত নিজ দেশের চাহিদা মেটাতে চাল উৎপাদন করে। তাদের মজুদ ঘাটতি কমানোর প্রয়োজন হলে প্রাথমিকভাবে চাল আমদানি করে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও ভারত থেকে।
২০১৬ সালে থাইল্যান্ড থেকে শ্রীলঙ্কা ২৮০ টন এবং বাংলাদেশ ১৫১ টন চাল আমদানি করেছে বলে জানায় চাল রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশন।
কিরাটি বলেন, থাই সরকারের সঙ্গে দু’দেশের সরকারদ্বয়ের মধ্যে পৃথক সমঝোতার ভিত্তিতে এ চাল চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিলামে চাল বিক্রি করে দেয়ার ফলে থাইল্যান্ডের চালের মজুদ কমে আসছে। ১ কোটি ৮০ লাখ টনের রেকর্ড পরিমাণ মজুদ থেকে কমে এখন বাকি আছে মাত্র কয়েক লাখ টন।
চালের মজুদ কমতে থাকায় থাই সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সরকারের চুক্তি হলে চাল রপ্তানি করবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সেরা মূল্য পেতে বাংলাদেশ বেসরকারি চাল রপ্তানিকারকদের কাছেও যাচ্ছে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ব্যাংকক ভিত্তিক এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের চালের দাম জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। তারা বলেছে, সরকারের দেয়া মূল্য আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্য তুলনা করে সুলভ মূল্য বেছে নেবে।’

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=74575&cat=3/