স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের দুইমাস পার হয়ে গেল, কিন্তু দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারের চিত্র পাল্টাল না। বরং দাম যেন লাফিয়ে লফিয়ে বাড়ছে। অবস্থা এমন যে, এখনও স্বৈরাচারী সরকারের বাজার সিন্ডিকেটকারীরা আগের মতোই বহাল। কোনো পণ্যেরই তেমন ঘাটতি না থাকলেও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দফায় দফায় পণ্যমূল্য বাড়িয়েই যাচ্ছে। প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। শুল্ক কমালেও আলু এখনও ৬০-৬৫ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পেঁয়াজের কেজিও ১২০ টাকা। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ডজনে বেড়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম সেঞ্চুরী পার হয়েছে। যদিও গেল সপ্তাহে ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসলেও পণ্যমূল্য না কমায় হতাশা ব্যক্ত করছেন ক্রেতা-ভোক্তা ও বাজার বিশ্লেষকরা।
ভোক্তারা বলছেন, বাজারে যে সিন্ডিকেট এখনও বহাল তা ইলিশের বাজারের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। দেশে এখন ইলিশের ভরা মওসুম। বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ইলিশের দাম কম থাকে। অথচ এবার ভরা মওসুমেও দাম অনেক চড়া। এই অবস্থায় যেদিন সরকার ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির ঘোষণা দেয়, ঠিক তার পরের দিনই ইলিশের দাম কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে যায়। অথচ তখনও পর্যন্ত কেবল ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, একটি ইলিশও তখনও রফতানি করা হয়নি। এই যে এক দিনের ব্যবধানে ইলিশের কেজি ২০০-৩০০ টাকা বেড়ে গেল-এটা কি বাজার সিন্ডিকেট না? এ প্রশ্নই তুলছেন বাজার বিশ্লেষকরা। গতকাল শুক্রবার এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, দায়িত্ব নেয়ার দুই মাস পার হতে চললেও বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ এখনও চোখে পড়ছে না। বরং তারা যেন আরও শক্তিশালী হয়েই ফিরে আসছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাজারের ক্রেতা সুমন দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত, তাদের অধিকাংশই পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর ছিল। তারা এখন খোলস বদল করেছে। সরকার কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমিয়েছে, বাজারে তারও কোনো প্রতিফলন নেই। এর সুফলও ভোক্তা পাচ্ছে না ওই বাজার সিন্ডিকেটের কারণে। সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার বাস্তবায়ন যেসব সরকারি সংস্থা করবে সেগুলোতেও এখনও বসে আছে আগের সরকারের লোকেরা। অনেক ক্ষেত্রেই তারা সরকারকে সহযোগিতা করছে না।
এখনো শীত আসেনি, তবে বাজারে চলে এসেছে শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মূলাসহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজি। নতুন এসব সবজির প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণ থাকলেও আকাশছোঁয়া দামের ফলে ধারে-কাছেও যেতে পারছে না মধ্য-নি¤œবিত্ত শ্রেণির মানুষ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজি শিমের দাম দোকানভেদে চাওয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। ছোট সাইজের ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মোহামদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে কারণে দামটা বেশি। বাজারে শিম, ফুলকপি, পাতাকপি, মূলা, ঢেঁড়সসহ প্রায় সব ধরনের শীতের সবজির দেখা মিলছে। রয়েছে বেগুন, পটল, ঝিঙা, করলা, টমেটো, শসা, গাজরসহ অন্যান্য সবজিও। সব সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেশ চড়া। ফলে সবজির বাজারে এসে স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের।
বিক্রেতাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, অধিকাংশ সবজির দাম শুরু হচ্ছে ৬০, ৭০, ৮০ ও ৯০ টাকায়। নতুন ফুলকপি পিস ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, করলা ৮০-৯০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ১৩০-১৫০ টাকা, সিম ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, শালগম ১০০-১১০ টাকা, মূলা ১০০-১৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫৫ টাকায়। পিছিয়ে নেই শসা-গাজরের দামও। দেশি শসা ৮০-৯০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০-৭০ টাকা এবং মানভেদে গাজর ১০০-১৮০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা, দেশি আদা ৫০০ টাকা, আমদানি করা আদা ২৮০-৩০০ টাকা, দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন (মানভেদে) ২০০ টাকা এবং শুকনো দেশি লাল মরিচ ৩৫০ টাকা, আমদানি করা শুকনো মরিচ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হেলাল উদ্দিন নামে এক ক্রেতা দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, বাজারে সব সবজির দাম ৫০-৬০ টাকার ওপরে। সবজির এত দাম হলে স্বস্তি মেলে কী করে? সবজিতে বাজার ভরপুর। অথচ দামের বেলায় মনে হয় এগুলো বিরল প্রজাতির সবজি। দু’তিন রকম সবজি কিনলেই এক-দেড়শো টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। মাছ-মাংস বাদ দিয়ে সবজি কিনে খাব তারও উপায় নেই। তিনি বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম নতুন সরকার ঠিকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। বাজার এখনও সিন্ডিকেটের দখলেই রয়ে গেছে।
সবজির দাম প্রসঙ্গে কাঁচাবাজারের বিক্রেতা হোসেন আহমেদ বলেন, বাজারে সবজি যেগুলো নতুন এসেছে সেগুলোর দাম একটু বেশি। শিমসহ ২/৪ আইটেমের সবজির বর্তমানে মওসুম না হওয়ায় কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার নতুন করে এসব সবজি উঠতে শুরু করলে এগুলোরও দাম কমে যাবে। অন্য গুলোর দাম আগের মতোই আছে।
সূত্র মতে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা, পাইকারি ও উৎপাদক পর্যায়ে ডিম, মুরগির দাম সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। মূল্য বেঁধে দেওয়ার ১৯ দিন পেরোলেও বাজারে আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার-সোনালি মুরগি। সরকারি দামের চেয়ে প্রায় ৩০ টাকা বেশিতে ব্রয়লার আর ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় আর সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৯০ টাকায়। পাশাপাশি লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩১০ টাকা, কক কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগি আগের মতো ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দিলেও তা বাজারে প্রতি কেজি ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বাড়তি বিষয়ে রামপুরা বাজারের আব্দুল মালেক নামের এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে মুরগির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। যে কারণে পাইকারি বাজার থেকেও আমাদের বাড়তি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে। যেহেতু আমরা বেশি দামে কিনে আনছি, তাই কিছুটা বেশি দামে খুচরা বাজারে আমাদের বিক্রিও করতে হচ্ছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। সেখানকার মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রি করতে হবে। কিন্তু গতকাল একডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। আর হাসের ডিম বিক্রি হয়েছে ডজন ২৪০ টাকায়।
জানা গেছে, বাজারদর নির্ধারণে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ছাড়াও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েটস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ১৯ দিনেও মূল্য নির্ধারণের সামাণ্যতম কার্যকারিতা বাজারে দেখা যায়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নানা খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ কম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় দুই মাসে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। কমেছে মাত্র দুটির। বাজারে এখন সবজির দাম ব্যাপক চড়া। ডিম, মুরগি ও মাছের দামেও অস্বস্তি চরমে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অব্যাহত উচ্চ মূল্য শহর ও গ্রামের সব মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। তখন সরকার কার্যকর উদ্যোগ না নিয়ে বরং উদাসীনতা দেখাত। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো বড় একটি মন্ত্রণালয় সামলানোর পরে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যথেষ্ট নজর দেওয়ার সুযোগ কম। এই মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক নানা চ্যালেঞ্জ এখন আছে, সামনে আরও বাড়বে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করেন এমন একজন সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়মিত বৈঠক করছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখছে। তবে অনেক সিদ্ধান্তই অন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগের আপত্তিতে আটকে যায়। তিনি বলেন, সরকার এখন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প নিচ্ছে না। ফলে এখন রাজস্ব ছাড় দিয়ে হলেও মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। এ জন্য দরকার সমন্বিত উদ্যোগ। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রব্যমূল্য কমাতে হলে চাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও ডিমের শুল্ককর কমানো দরকার। কাস্টমসে শুল্ক নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডলারের দাম পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। ভারত চাল রপ্তানি উন্মুক্ত করেছে। চালের শুল্ক কমালে আমদানির সুযোগ তৈরি হবে। সীমিত সময়ের জন্য হলেও শুল্ক কমিয়ে ডিম আমদানির সুযোগ দেওয়া। ডিজেলের দাম কমানো। সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার করতে হবে। দেশের বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজার গুটিকয়েক কোম্পানি ও আমদানিকারকের দখলে। সেখানে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন ও সরবরাহের পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য করা জরুরি। কারণ, সঠিক হিসাব না থাকলে সঠিক নীতি নেওয়া যায় না। সরকারি সংস্থাগুলো উৎপাদনের যে হিসাব দেয়, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
বাজার বিশ্লেষক ও ক্যাবের সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আগের সরকারের আমলে লুটেরা ব্যবসায়ীরা লুটপাটের মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের পকেট খালি করেছে। এ জন্য দীর্ঘ দিন মানুষ উচ্চ পণ্যমূল্যের কশাঘাতে নিষ্পেষিত হয়েছে। ওই পরিস্থিতি থেকে পরত্রাণ চাইছিল দেশের মানুষ। ৫ আগস্টের পর মানুষ ভেবেছিল এবার হয়তো মুক্তি মিলছে চড়া পণ্যমূল্য থেকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পণ্যমূল্য কমাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখিনি। সরকারের বয়স দুই মাস পার হয়েছে, বাজারের চিত্র কিন্তু পাল্টাল না।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে সবার আগে উৎপাদক বা মিল পর্যায়ে, পাইকারি পর্যায়ে এবং খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা কি দামে পণ্য কিনছে আর কত দামে বিক্রি করছে সে বিষয়টি সরকারকে জানতে হবে। এটা জানার পর ব্যবসায়ীরা সহনীয় হারে লাভ করছে, নাকি অস্বাভাবিক হারে লাভ করছে সেটি দেখতে হবে। যে ব্যবসায়ী অস্বভাবিক লাভ করবে তাকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। খুচরা ও পাইকারি দোকানগুলোতে ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ রাখার যে বিধান রয়েছে সেটি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।