২৯ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার

কমছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কথা ভাবছে সরকার। আগামী রোববার জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ঘোষণা আসতে পারে। বলে জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে একথা জানা গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান গতকাল বুধবার পেট্রোবাংলায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ও অধিদফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে উপদেষ্টা ১ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের মানুষ যাতে কম দামে তেল কিনতে পারে, সেটি মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তেলের দাম নির্ধারণের কথা ভাবা হচ্ছে।’

বিপিসি সূত্র জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম কমবে। তবে সবচেয়ে বেশি দাম কমবে পেট্রোল ও অকটেনের। দেশে গত জুন থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। অন্যদিকে অকটেন ১৩১ টাকা ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিপিসি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার কারণে দেশের বাজারেও দাম কমানো হবে। পাশাপাশি বর্তমান ফর্মুলা অনুযায়ী, জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে বিপিসির জন্য যতটা মুনাফা রয়েছে সেটিও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে স্বাভাবিক নিয়মেই জ্বালানি তেলের দাম তখন কমে আসবে। মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘তেল দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যেখানেই হাত দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই দুর্নীতি। পেট্রোবাংলার অধীনে যেসব কোম্পানি আছে, অচিরেই সেগুলোর সচিব ও চেয়ারম্যান বদলে দেওয়া হবে।’

পেট্রোবাংলা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ সচিব কিংবা উচ্চপদস্থ কেউ কাজে যতই দক্ষ হোন না কেন, প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ছাত্রদের সুযোগ দেওয়া হবে।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘সুলভমূল্যে গ্যাস সরবরাহ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো গ্রাহকসেবা দেখে বিবেচনা করা হবে কতটা সফল বা উন্নতি হচ্ছে এই খাতে। চেনা মুখ দেখে আর আমরা প্রকল্প নেব না। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।’ দেশের মানুষ সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সরকার বানে ভেসে আসা কোনো সরকার না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। সরকারকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই।’ ফাওজুল কবির বলেন, ‘যত দাবি-দাওয়া আছে, সবই পূরণ করা হবে। ১৬ বছরের যে বৈষম্য, বঞ্চনা এটা কি ১৫ দিনে দূর করা সম্ভব? আমাদের অন্তত ১৬ মাস সময় দিন।’

https://www.dailysangram.com/post/565080