একটি বেসরকারি সংস্থার গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন থাকাকালে দেশ থেকে নানা প্রক্রিয়ায় ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নি¤œ পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নেতারা এই অর্থ পাচার কার্যে জড়িত ছিলেন। যে কারণে অর্থ পাচার রোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা কখনোই গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত ‘ ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনা, শিগগির কী করতে হবে’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা এবং করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। সংস্থাটি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, গত ১৫ বছরে (২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল) দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে বড় ধরনের ২৪টি অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্নীতির ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অন্য দিকে একই সময়ে ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং ক্ষেত্র বিশেষে অনিয়মকে প্রশ্রয় দেবার কারণে এসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের পর তা খেলাপি হয়ে পড়া এবং ব্যাংকিং সেক্টর থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে লুটে নেয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের বড় অংশই নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ঋণ প্রদানের পর সময় মতো কিস্তি আদায় করতে না পারার কারণে ব্যাংকিং সেক্টরের বেশির ভাগ ব্যাংকই এখন তীব্র তারল্য সঙ্কটে ভুগছে। কোনোভাবেই ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা ভালো করা যাচ্ছে না। ব্যাংক থেকে যে উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করা হয় সেই উদ্দেশে তা ব্যবহার করা হয়নি। কিছুদিন আগ পর্যন্তও ব্যাংক ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার ৯ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। আমানতের উপর রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ শতাংশ এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ৬ শতাংশ সুদ দিতে পারতো। কিন্তু সেই সময় অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৯ শতাংশের মতো। ফলে আমানতকারীরা তাদেও উদ্বৃত্ত অর্থ ব্যাংকে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট বৃদ্ধি করতে করতে তা সাড়ে ৮ শাতাংশে উন্নীত করে। ব্যাংক কিন্তু ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার ৯ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড, আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকালে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি রেট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার বাজার ভিত্তিক না করার কারণে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ তুলনামূলক সস্তা হয়ে পড়েছে। তার এই বক্তবের বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় আগের মুদ্রানীতিগুলো পর্যালোচনা করলে। আগের এক মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমেছিল ১৪ শতাংশ করে। আর মূলধনী যন্ত্রাংশ আমদানিও ব্যাপকভাবে কমেছিল। তার অর্থ হচ্ছে ব্যাংক থেকে যে ঋণ গ্রহণ করা হয়েছিল ব্যক্তি খাতে শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য তার বেশির ভাগই ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা অথবা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে। কোনোভাবেই অর্থ পাচার রোধ করা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, অর্থ পাচার রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়নি। কারণ এই অর্থ পাচারের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে অনেকের নামই বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বহুল আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের জন্য রাশিয়ার এক্সিম ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ মোট ১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ গ্রহণ করেছে। এই ঋণের মধ্যে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে নিশ্চয়ই আত্মসাৎকৃত অর্থ দেশে রাখা হয়নি। এটা বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে অস্বাভাবিক মাত্রায় দুর্নীতি হয়েছে এবং দুর্নীতিলব্ধ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে। সরকার পতনের পর এখন বিভিন্ন সূত্র থেকে অর্থ পাচারের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তা জাতীয় স্বার্থে কতটা প্রয়োজনীয় তা বিবেচনা না করেই জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে কোনো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলেই সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেবার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশে যে রাস্তা নির্মাণ করা হয় তার ব্যয় পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে। পণ্য আমদানিকাল অভার ইনভয়েসিং এবং পণ্য রপ্তানিকালে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়। এছাড়া আরো নানা প্রক্রিয়ায় হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হয়েছে। অনেকে আবার উপার্জিত অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করতে না পেরে নিজের আবাসিক ভবনেই তা সংরক্ষণ করেছেন। এ ধরনের কয়েকজন ব্যক্তিকে সম্প্রতি আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে বিপুল অঙ্কের দেশীয় এবং বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে কি পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান কেউই দিতে পারবেন না। কারণ যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন এবং পাচার করেন বা মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল শ্রোতধারায় প্রবিষ্ট করান তারা তাদের অর্থ উপার্জনের উৎস এবং পরিমাণ কারো নিকট প্রকাশ করেন না। এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে অবৈধ অর্থের হিসাব সংরক্ষণের মতো কোনো স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান নেই। ফলে যারাই অবৈধ অর্থ, পাচারকৃত অর্থ এবং মানি লন্ডারিংকৃত অর্থের পরিসংখ্যান প্রদান করুক না কেনো তা সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং কোনোভাবেই নিশ্চিত পরিসংখ্যান নয়। কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর কি পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। তবে এটা নিশ্চিত যে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ মোটেও কম নয়।
শুধু বাংলাদেশই বলি কেনো বিশ্বে এখনো এমন কোনো প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়নি যার মাধ্যমে কালো টাকা বা পাচারকৃত টাকা এবং মানি লন্ডারিংকৃত অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করা যেতে পারে। ২০১২ সালে অর্থমন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বাংলাদেশের অপ্রদর্শিত অর্থনীতির হার দৃশ্যমান অর্থনীতির ৪৫ থেকে ৮৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ড উল্লেখ করেছিলেন, প্রতি বছর বিশ্বের যে পরিমাণ অর্থ মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল শ্রোতধারায় প্রবিষ্ট করানো হয় তার পরিমাণ বিশ্ব জিডিপি’র ২ থেকে ৫শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৮৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার থেকে ২ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। এই দু’টি পরিসংখ্যানের অসারতা দৃশ্যমান। কারণ কোনো পরিসংখ্যান সম্পর্কে আমরা যদি নিশ্চিত হই তাহলে সরাসরি একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ করি। যেমন,বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ কত তা যদি নিশ্চিত হওয়া যেতো তাহলে আমরা বলতে পারতাম মোট জিডিপির ৪৫ শতাংশের সমান হচ্ছে অপ্রদর্শিত অর্থনীতি। অথবা অনুমাননির্ভর হয়ে বললেও হয়তো বলা যেতো জিডিপির ৪৫ থেকে ৪৬ শতাংশ বা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ। কিন্তু বলা হচ্ছে জিডিপির ৪৫ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশ। এটা কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাও নিশ্চিত নয় অনুমাননির্ভর মাত্র। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কালো টাকা, পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ বা মানি লন্ডারিংকৃত অর্থের পরিমাণ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন না। যেহেতু কোনোভাবেই এটা প্রমাণযোগ্য নয় তাই যে যার মতো পারছেন পরিসংখ্যান উল্লেখ করছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই অর্থ পাচার শুরু হয়। তবে গত ১৫ বছরে যেভাবে ব্যাপক মাত্রায় অর্থ পাচার হয়েছে অতীতে আর কখনোই তা হয়নি। বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই সব মেগা প্রকল্পের প্রতিটিই দুর্নীতি আক্রান্ত। একটি বিশেষ মহল এসব মেগা প্রকল্প থেকে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। এই টাকা তারা দেশে সংরক্ষণ করেননি। বিদেশে পাচার করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। এটা খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। কোনো রাজনৈতিক সরকারের পক্ষে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। কারণ তারা নিজেরাই অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। তাই তারা নির্মোহভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা থেকেই যাবে। পাচারকৃত অর্থ কিভাবে উদ্ধার করা হবে? বিশে^র এমন অনেক দেশ আছে যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে পাচারকৃত অর্থকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। মালয়েশিয়ার মতো একটি দেশ অনেক দিন ধরেই ‘সেকেন্ড হোম’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কোনো বিদেশি নাগরিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়ে গেলে মালয়েশিয়া তাকে নাগরিকত্ব প্রদান করে। টাকার উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হয় না। তুরস্ক গত বছর থেকে সেকেন্ড হোম প্রকল্প চালু করেছে। ২০০ বাংলাদেশি নাগরিক তুরস্কে সেকেন্ড হোম প্রকল্পে বিনিয়োগের আবেদন করেছেন। উন্নত দেশগুলো কখনোই চায় না তাদের দেশের কোনো নাগরিক বিদেশে অর্থ পাচার করুক। কিন্তু বিদেশি কোনো নাগরিক তাদের দেশে অর্থ পাচার করে নিয়ে গেলে তারা কিছু বলে না। কানাডা সম্প্রতি একটি আইন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।
কোনো বিদেশি নাগরিক যদি ব্যাংক ঋণ গ্রহণ ছাড়া সে দেশে কোনো বাড়ি বা ফ্লাট ক্রয় করেন তাহলে সেই বাড়ি বা ফ্লাট বাজেয়াপ্ত করা হয়। আইনটি শেষ কার্যকর হয়েছে কিনা জানি না। অর্থ পাচার রোধ করার জন্য অর্থ পাচারকারি দেশের চেয়ে গন্তব্য দেশটির দায়িত্ব বেশি। কোনো দেশ যদি এমন নীতি গ্রহণ করে যে, তারা কোনো বিদেশি নাগরিকের পাচারকৃত অর্থ তাদের দেশে স্থান দেবে না। বিদেশি কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দেশে বাড়ি বা ফ্লাটসহ কোনো সম্পত্তি ক্রয় অথবা বিনিয়োগ করতে চাইলে তার অর্থের উৎস সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে কেউই আর সে দেশে অর্থ পাচার করবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সত্যি পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে প্রথমেই পাচারের গন্তব্য যেসব দেশ তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যদি তাদের দেশে বাড়ি বা ফ্লাট ক্রয় অথবা কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে তার আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। যারা ইতিমধ্যেই বাড়ি বা ফ্লাট ক্রয় বা বিনিয়োগ করেছেন তাদের সেই অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশকে ফেরৎ দিতে হবে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব হবে?