২৫ আগস্ট ২০২৪, রবিবার

বিডিআর ম্যাসাকার ও শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক : তার আগে অন্য কোনো দাবি নয়

-আসিফ আরসালান

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ড. ইউনূসের সরকারের আজ ১৭ দিন অতিক্রান্ত হতে চলেছে। এই সরকারকে ঠিক কী নামে ডাকবো সেটি নিয়ে একটি বিভ্রান্তি চলছে। কেউ বলতে চাচ্ছেন এটি একটি বিপ্লবী সরকার। আবার কেউ বলতে চাচ্ছেন এটি ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সরকার। আমি সাংবিধানিক সরকার এবং বিপ্লবী সরকারের ডেফিনেশনগুলো পড়লাম। গণঅভ্যুত্থানের সরকার বলে কোনো সরকার নাই। আছে বিপ্লবী সরকার। আবার একজন রাষ্ট্র বিজ্ঞানীর মতে একটি হলো De Jure সরকার। আরেকটি হলো, De Facto সরকার। De Jure সরকার হলো সেটি যেটির আইনগত বৈধতা আছে এবং যেটি লিখিতভাবে প্রতিষ্ঠিত। আর De Facto সরকার হলো সেটি যেটি সাংবিধানিকভাবে হোক আর না হোক, কিন্তু সেই সরকারের পেছনে দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনতার সমর্থন আছে এবং সরকারের সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের ওপর যাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। আমরা এই মুহূর্তে সরকারের সাংবিধানিকতা নিয়ে কোনোরকম আলোচনায় যাচ্ছি না। বরং এই মুহূর্তে যা দরকার এই সরকার ইতোমধ্যেই তার অনেকগুলো সম্পাদন করেছে। এত কম সময়ে এত কাজ করায় এই সরকার এই কয়েক দিনেই জনগণের অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

এই সরকার যে কয়টি মৌলিক কাজ করেছে সেগুলো উল্লেখ করতেই হয়। কারণ সেগুলো না করলে সরকারের ভিত্তিই টেকে না। প্রথমটি হলো জাতীয় সংসদ বিলোপ। সংসদীয় গণতন্ত্রে সমস্ত ক্ষমতা এবং আইনের উৎস হলো সংসদ বা পার্লামেন্ট। সংসদ বিলোপ না করলে মন্ত্রিসভা বলুন আর উপদেষ্টা পরিষদ বলুন, কোনোটি গঠন করা সম্ভব হতো না। দ্বিতীয় কাজ হলো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার আইনগত বৈধতা অর্জন। সকলেই জানেন যে আমাদের সংবিধানে মার্শাল ল’ যেমন নাই, তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও কোনো বিধান নাই। এছাড়া শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সময় সংসদও ভেঙ্গে যাননি বা তার অনুপস্থিতিতে বা তার বিদেশে থাকাকালে দেশে যে কোনো সরকার থাকবে না, সেই সমস্যা কিভাবে দূর হতে পারে সে সম্পর্কেও কিছু বলে যাননি। এমন একটি পরিস্থিতিতে অভ্যুত্থানকারীদের পরামর্শে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হতে হয় এবং সংবিধানের ১০৬ ধারা মোতাবেক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এমন একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি, যেটার নজির পৃথিবীতে খুব কম পাওয়া যায়, তেমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্ট্যাটাস কী হবে সেটি জানতে চাওয়া হয়। ১০৬ ধারা মোতাবেক সুপ্রিম কোর্ট এই মর্মে ব্যাখ্যা দেয় যে, সেই সময়কার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা বৈধ।

এখানে পাঠকদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য দুই একটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান উভয় অঞ্চলে শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়। অভ্যুত্থান যখন তুঙ্গে তখন পাকিস্তানের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান আইয়ুব খানের নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন এবং সারাদেশে মার্শাল ল’ জারি করেন। মার্শাল ল’ জারির সাথে সাথে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্রও বাতিল করা হয়। অতঃপর মার্শাল ল’ প্রোক্লামেশনস অর্থাৎ একটার পর একটা সামরিক বিধি জারি করে দেশ শাসন করা হয়।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশে জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়। ঐ অভ্যুত্থানটির নেতৃত্বে ছিল বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী। আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন জেনারেল এরশাদ সেনাবাহিনীর সাহায্য চান। তৎকালীন সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল নূরুদ্দিন। জেনারেল নূরুদ্দিন এরশাদের পক্ষ নিয়ে নিরস্ত্র জনগণের ওপর গুলী চালাতে অস্বীকার করেন। তখন পদত্যাগ করা ছাড়া এরশাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না। আগেই বলেছি যে ঐ গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল তিনটি রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলগুলো এরশাদের পদত্যাগ ও ক্ষমতা হস্তান্তরে একটি ফর্মূলা তৈরী করে। সেই মোতাবেক এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। আরো উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আইয়ুব খান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও দেশ ছেড়ে যাননি। তিনি পাকিস্তানেই থেকে যান এবং পাকিস্তানেই তার মৃত্যু হয়। অনুরূপভাবে জেনারেল এরশাদও ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও তিনি দেশ ছেড়ে যাননি। তিনি বাংলাদেশে থেকে যান, গ্রেফতার হন এবং মুক্তি পাওয়ার পর রাজনীতি করেন এবং বাংলাদেশেই তার মৃত্যু হয়।
এখানে আরো একটি কথা বলা দরকার। এরশাদ চালু করেছিলেন প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সংবিধান। ’৯১ সালের নির্বাচনে যে পার্লামেন্ট গঠিত হয় তারা আবার পার্লামেন্টারী পদ্ধতি বা সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেন।

॥ দুই ॥
কিন্তু বাংলাদেশে এই সেদিনের গণঅভ্যুত্থান বা বিপ্লব ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। বাংলাদেশে ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান বা বিপ্লব যখন চূড়ান্ত সফলতার দ্বারপ্রান্তে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে কিছু না বলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান এবং আপাতত ভারতের আশ্রয়ে আছেন। ইয়াহিয়া এবং এরশাদের আমলে আমরা দেখেছি যে, ক্ষমতা হস্তান্তরে আইনগত বা সাংবিধানিক কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। হাসিনা চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভেঙ্গে যায়। কিন্তু পার্লামেন্ট তো বহাল থাকে। শেখ হাসিনা পার্লামেন্ট বাতিল না করেই চলে যান। তাহলে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কিভাবে? যতক্ষণ সংবিধান এবং জাতীয় সংসদ বহাল আছে ততক্ষণ সমস্ত ক্ষমতা এবং আইনের উৎস ঐ জাতীয় সংসদ এবং সংবিধান। এর কোনোটাই তো ভাঙ্গা হয়নি। তাহলে নতুন সরকার গঠিত হবে কিভাবে? ড. ইউনূসকেই বা প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করা যাবে কিভাবে? আর ইউনূসই বা তার উপদেষ্টা পরিষদ নিয়োগ করবেন কিভাবে? প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাবৃন্দ শপথ নেবেন কার কাছ থেকে? বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন তো একজন কট্টর আওয়ামী লীগার এবং তিনি ভেঙ্গে দেওয়া জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত। শপথ নিলে তো তার কাছ থেকেই নিতে হবে। আরো প্রশ্ন আসে যে, জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিলে তো সংবিধানের ৭২নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক প্রেসিডেন্টের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ থাকতে হবে। শেখ হাসিনা তো সেগুলোর কিছুই করেননি।

এই পটভূমিতে সংবিধানের ১০৬ ধারা মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন আগাম বৈধতা পায়। তারপর শুরু হয় নতুন সরকারের কার্যক্রম।

নতুন সরকার এরমধ্যে অনেক কাজ করেছে। জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া ছাড়াও গত ২১ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রীবর্গ এবং সাবেক এমপিবৃন্দের ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে। এই ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট দিয়ে অনেক বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাতিল করার ফলে ভারতে শেখ হাসিনার স্ট্যাটাস এখন কী হবে? গত ২০ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মি. জয়সোয়াল বলেছিলেন যে, যারা ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট হোল্ডার তারা ভারতীয় আইন অনুযায়ী ৪৫ দিন ভারতে থাকতে পারেন। ২০ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনা ১৫ দিন ভারতে থেকেছেন। তিনি আরও ১ মাস থাকতে পারবেন। কিন্তু ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাহলে তিনি এখন সেখানে কিভাবে আছেন? ভারত তো তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি। আর দেবে বলেও মনে হয় না। কারণ তাকে যদি পলিটিক্যাল এ্যাসাইলাম দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটবে। এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এবং জনগণ এই বিষয়টি দেখার প্রতীক্ষায় আছেন যে অতঃপর শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার কী করে।

॥ তিন ॥
এই সরকারের একটি প্রশংসনীয় কাজ হলো এই যে, ইসলামী ব্যাংককে এস আলম তথা আওয়ামী লীগের রাহুমুক্ত করা হয়েছে। এখন এটি ওপেন সিক্রেট যে, ২০১৭ সালে ব্যাংকের অত্যন্ত সিনিয়র অফিসারদেরকে পাওয়ার সেন্টারের সিনিয়র অফিসারদের সশস্ত্র হুমকির মুখে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। অবশ্য ইতোমধ্যেই এস আলম একাই ব্যাংকটি থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি উত্তোলন করেছেন।

২২ আগস্টের সংবাদপত্র মোতাবেক ইউনূস সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের অন্ধকার যুগে যাদেরকে অপহরণ, গুম ও খুন করা হয়েছে তার ওপর একটি কমিশন গঠন করা হবে। গুম, খুন ও অপহরণের প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং যারা এই অপহরণের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি যথাযোগ্য ইনসাফ করা হবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে জার্মান ডিক্টেটর হিটলার তার রাজনৈতিক বিরোধীদেরকে জুলুম, নির্যাতন ও হত্যা করার জন্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্প গঠন করেছিলেন। হিটলার যেমন বিচার বহির্ভূত হত্যার রক্তে তার হাত রঞ্জিত করেছিলেন তেমনি শেখ হাসিনাও আয়না ঘরসহ বিভিন্ন বন্দীশালায় বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধীদের রক্তে তার হাত রঞ্জিত করেছিলেন।

এই সরকার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা সিটির দুই কর্পোরেশনসহ দেশের ১২ টি সিটি কর্পোরেশন, সমস্ত জেলা পরিষদ এবং সমস্ত উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নিযুক্তি বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তর আংশিকভাবে হলেও আওয়ামী মুক্ত হয়েছে। এছাড়া সচিব ও সিনিয়র সচিবদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল, পুলিশের আইজি থেকে শুরু করে ওপরের স্তরের আওয়ামীপন্থী পুলিশ অফিসারদের বাধ্যতামূলক অবসর, নির্বাহী বিভাগে অনেক আওয়ামীপন্থী সিভিল সার্ভেন্টদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করে সমগ্র প্রশাসনকে আংশিকভাবে হলেও আওয়ামী লীগের কৃষ্ণ অধ্যায়কে সাফ সুতরো করেছে।

শেষ করার আগে একটি সতর্ক বাণী উচ্চারণ না করে পারছি না। আওয়ামী লীগ কোনো রকম দাবি দাওয়া উত্থাপনসহ সকল রকম দাবি দাওয়া ও আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে কঠোর হস্তে দমন করতো। এই সরকার উদারনৈতিক গণতন্ত্র চালু করেছে। কিন্তু এই সুযোগে দেখা যাচ্ছে পুলিশ, আনসার, ডাক্তার, পেশাজীবী, ছাত্র, হিন্দু সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ হঠাৎ করে লম্বা দাবির ফিরিস্তি নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিদিন জমায়েত হচ্ছে। ফলে রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এমনকি এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিও জোর করে আদায় করেছে। এই কাজটি মোটেই ভাল হয়নি। শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য শ্রেণী পেশা ও সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে বলি, এতদিন আপনারা কোথায় ছিলেন? গত ১৫ বছরে আপনাদের কোনো রা’টি শোনা যায়নি কেন? আজ এই সরকারের উদারতার সুযোগ নিয়ে আপনারা গোলমাল করছেন কেন?

দেখতে হবে, এদের মধ্যে পতিত সরকারের এজেন্টরা অনুপ্রবেশ করেছে কিনা। এ সন্দেহটি এজন্যই জাগে যে, একাত্তর টেলিভিশনের ফারজানা রুপা এবং তার স্বামী শাকিল বিদেশ যাওয়ার জন্য কিভাবে গোয়েন্দা ক্লিয়ারেন্স পায়? কিভাবে তারা ইমিগ্রেশন পার হয়? সেদিন যদি সময় মত ডিবির সদস্যরা তাদেরকে আটকে না দিতেন তাহলে তো এতক্ষণে তারা চম্পট দিতেন। শঙ্কা আরো এজন্য জাগে যে, ৩০০ এমপি এবং চল্লিশোর্ধ মন্ত্রীদের মধ্যে হাতে গোনা মাত্র কয়েক জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট আড়াই শতেরও বেশি আওয়ামী রাঘব বোয়ালরা এখনো অধরাই থেকে গেছে।

অনেক কথাই বলার আছে। এক দিনে সব বলা সম্ভব নয়। সেই বিডিআর ম্যাসাকার থেকে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ম্যাসাকার, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি, আয়না ঘরের সৃষ্টি, চট্টগ্রাম অস্ত্র মামলা, সাগর রুনি হত্যাকা-, কুমিল্লার তনু হত্যাকা-, নারায়ণগঞ্জের ত্বকি হত্যাকা-, মেজর সিনহা হত্যাকা-সহ অসংখ্য হত্যা, খুন, রিমান্ডে অসংখ্য যুবককে বর্বর নির্যাতনের কাহিনী এখনো চাপা পড়ে আছে। কারা ছিল এগুলোর মাস্টারমাইন্ড? এই ধরনের অসংখ্য কাহিনী এখন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এসব লোমহর্ষক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। তার আগে রাজনৈতিক প্রশ্ন তুলে এই সরকারকে বিব্রত করা সমীচীন হবে না।
Email: asifarsalan15@gmail.com

https://www.dailysangram.com/post/564708