আজ রোববার। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের আজ তৃতীয় দিন। খোশ আমদেদ ড. ইউনূস। খোশ আমদেদ বীর ছাত্র জনতা। খোশ আমদেদ নতুন সরকার। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে গণতন্ত্রের ভেকধারী একটি মহল এ বিষয়টি এমন চতুরভাবে বারবার উত্থাপন করছেন যেন মনে হয় যে সেই আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসী বলে চিহ্নিত করা হতো, এখনও মনে হয় অত্যন্ত চতুরতার সাথে সূক্ষ্মভাবে সেই দিকেই অঙ্গুলি তোলা হচ্ছে। যে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ মাত্র ২১ দিনের মধ্যে অফিসিয়াল কাউন্ট অনুযায়ী ৪৭৫ জন আদম সন্তানকে হত্যা করেছে সে বিষয়টি মনে হয় তারা চাপা দিতে চাচ্ছেন। তবে তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না। কারণ ড. ইউনূস ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে বলেছেন যে তিনি যখন প্যারিস থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানে চড়েন তখন বিমানের মধ্যেই শুনেছেন যে ঢাকায় কিছু লোক অরাজকতার সৃষ্টি করছে। ঢাকায় নামার পর তিনি স্পষ্ট বলেছেন যে এরা হলো ষড়যন্ত্রকারী। এখন প্রশ্ন হলো, কারা এই ষড়যন্ত্রকারী? সেটি চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিন বাহিনী প্রধান, র্যাব ও পুলিশ প্রধান সভা করেছেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে অরাজকতাকারীদেরকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। আমরাও তাদের এই সিদ্ধান্তের সাথে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু কারা এই অরাজকতা সৃষ্টিকারী? তাদেরকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে হবে।
এটি ইতিহাসের সাক্ষী যে যখন কোনো বিপ্লব সাধিত হয় তখন পরাজিত শক্তি সেই বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য ভিত্তিহীন গুজব ছড়ায় এবং লুটপাট, ডাকাতি ইত্যাদি নানা ধরনের অপকর্ম করে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে। ঢাকায় ৭ ও ৮ আগস্ট রাতে কয়েকটি জায়গায় ডাকাতি হয়েছে এবং সারা মহানগরীতে ডাকাতির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারা এই ডাকাতি করেছে? এসম্পর্কে আমাদের নিজস্ব কোনো তথ্য নাই। কিন্তু ৯ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় এসম্পর্কে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম, “উদ্দেশ্য আতঙ্ক ছড়ানো/ডাকাতি করাতে ৩০০ লোক ভাড়া করে আওয়ামী লীগ নেতারা”।
খবরে বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতি ঘোলাটে করাসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি ছড়াতে রাজধানীতে ডাকাতি করাতে ৩শ’ লোক ভাড়া করে আওয়ামী লীগ নেতারা। পৃথক কয়েকটি বাড়িতে তাদের দিয়ে হানা দেয়ানোর পর ফেসবুকে গণডাকাতির গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। এসব আ’লীগ নেতার ষড়যন্ত্র ছিলো অশান্ত পরিবেশের কারণে যাতে দেশে কেয়ারটেকার সরকার শপথ নিতে না পারে। একই সাথে সেই সুযোগে দেশে সেনা শাসন আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পরবর্তী দু’দিন দেশের থানাগুলো ছিলো পুলিশ শূন্য। দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশকে আরো অশান্ত করতে নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে লোক ভাড়া করে নৈরাজ্য, লুটপাট আর ডাকাতির জন্য লোক ভাড়া করে আ’লীগ নেতারা। গত বুধবার মধ্য রাত থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নয়াবাজার, বসিলা, কাদিরাবাদ হাউজিং, শেখেরটেক, জিগাতলা, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, শনিরআখড়া, মিরপুরের পল্লবী, মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর এলাকা, উত্তরার ৮-৯, ১০-১১ নম্বর সেক্টর, গাজীপুর ও টঙ্গী কলেজ রোড এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা হয়েছে। কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতিও হয়েছে। এসব ঘটনায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং রাজশাহী মিলে প্রায় ২৯ জনকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু দুষ্ট চক্র ফেসবুকে প্রচার করছে মহল্লায় মহল্লায় গণডাকাতি এমনকি একই সময়ে মিরপুরে ৭০টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। কোথাও কোন প্রতিকার নেই। এ ধরনের প্রচারে সরকার পতনের দিন থেকেই রাত গভীর হলে আতঙ্ক বাড়ছে রাজধানীবাসীর মাঝে। এতে করে মসজিদে মাইকিং করে ডাকাতের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে এলাকা পাহারা দিচ্ছেন, নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
॥ দুই ॥
মিরপুর পল্লবী এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে আটক হয়েছেন ১৭ জন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের এ কাজে নামিয়েছেন। নেতাদের হয়ে স্থানীয় নাহিদ নামে এক যুবক তাদেরকে টাকা পয়সা দিয়ে ভাড়া করেছেন। নাহিদ বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০০ যুবক সংগ্রহ করে।
যারা ডাকাতি করতে এসেছিল বেশিরভাগ টোকাই এবং উঠতি তরুণ। তাদেরকে অস্ত্র এবং টাকা সরবরাহ করে এসব প্ল্যান করে করা হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, আটককৃতরা জানিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে ডাকাতিতে নেমেছেন। যাতে দেশে কেয়ারটেকার সরকার শপথ নিতে না পারে এবং সেই সুযোগে দেশে সেনা শাসন আসে। মানুষের মাঝে আতঙ্ক তৈরিতেই সারা দেশে একযোগে এই ডাকাতি চলছে বলে মনে করছেন তারা। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে খবর পেয়ে মসজিদের মাইকে সতর্ক করা হয়। পরে লোকজন লাঠিসোঁটা ও যার যা অস্ত্র ছিল তা নিয়েই রাস্তায় বেরিয়ে আসেন এবং তাদের ধাওয়া করেন।’
এই অরাজকতার, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিরোধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরের ভূমিকা এবার অত্যন্ত স্পষ্ট। এই দুইটি সংগঠনের হাজার হাজার কর্মী রাত জেগে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় পাহারা দিয়েছেন। জামায়াত ও শিবিরের ভূমিকা এবার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা রানাদাস গুপ্তের নজর এড়ায়নি। তিনি বলেছেন যে কওমি মাদ্রাসা এবং জামায়াতের ছাত্ররা যেভাবে হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে তাতে আমরা অর্থাৎ হিন্দু সম্প্রদায় প্রসন্ন। বিএনপিও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আহ্বান জানিয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চও তাদের নেতাকর্মীদেরকে নৈরাজ্য প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে। সুতরাং কারা এসব অরাজকতা করছে সেটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা এবং তাদেরকে আইনের আওতায় আনা এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
এই বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে হলে আাদেরকে শেখ হাসিনার বিদেশে পলায়নের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে যা ঘটেছিল তার ফেরিফায়েড সত্য ভার্সন জানা প্রয়োজন। সেই ১ ঘন্টার লোমহর্ষক কাহিনী নিম্নরূপ।
সোমবার সকাল ১০টা। গণভবনের লোকজন ভীতি ও উৎকণ্ঠার আরো একটি রাত পার করলো। শেখ হাসিনার পদত্যাগের আন্দোলন যেকোনো মূল্যে দমন করার লক্ষ্যে গণভবনের বিশাল হল রুমে তিন বাহিনী ও বিডিআর প্রধান, ডিজিএফআই, পুলিশ প্রধানের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং। শেখ রেহানাও বোনের পাশের সীটে মলিন মুখে নীরবে বসে আছেন। গণভবনে ভিন্ন রকমের একটি দিন। আগেরদিন আন্দোলনকারী ছাত্রদের সাথে সংঘর্ষে পুলিশ এবং আন্দোলন প্রতিহতকারী সশস্ত্র যুবলীগের ক্যাডারদের অনেক রক্ত ঝরলেও ছাত্ররা বীরদর্পে রাস্তা দখল করে রাখে।
আজ রোড মার্চ টু গণভবন। বুক পেতে গুলি নিয়ে ছাত্র জনতা স্বৈরশাসক হাসিনাকে তারা বিদায় করতে চায়। তীব্র স্রোতের মতো ধেয়ে আসা লক্ষ লক্ষ ছাত্রজনতা গগন বিদারী আওয়াজ তুলে সে দিকে ছুটে আসছে। তারা হাসিনা সরকারকে বিদায় করে রাষ্ট্র মেরামতের রক্ত শপথ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মিটিংয়ে এসেই সেনাপ্রধানের দিকে আড় চোখে রাগতভাবে তাকালেন। বিড় বিড় করে কিছু একটা বললেন। পুলিশ প্রধানকে হুংকার দিয়ে বললেন, ‘আমি যে সেনাবাহিনীকে এতো সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি, তারা নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। তোমার পুলিশও কিছু করতে পারে নাই। তোমাদের সামনে আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগের ৭০ জন লোক কিভাবে মারা পড়লো? আজ তোমরা ছাত্রদের যেকোনো মূল্যে রাস্তা থেকে সরিয়ে দাও। আমি আর্মির অস্ত্র পুলিশকে দিয়েছি এগুলো বহন করার জন্য নয়! আজ কয়েকশ রাজাকার ফেলে রাস্তা পরিষ্কার করো!’
আইজিপি বললেন, ‘আমার পক্ষে কয়েক শত নয়, কয়েক হাজার মারলেও ছাত্রদের ঠেকানো সম্ভব হবে না। আপনি তো ডিজিএফআই রিপোর্ট শুনলেন। দু-এক ঘন্টার মধ্যে ওরা গণভবনের গেটে পৌঁছে যাবে। আরো আগে পৌঁছতো, আর্মি কৌশলে তাদেরকে ঠেকিয়ে রেখেছে।’
॥ তিন ॥
প্রধানমন্ত্রী এবার চিৎকার করে বললেন, ‘আমার কী দোষ, আমি কী দোষ করেছি! আমি কি দেশের জন্য, তোমাদের জন্য কম করেছি! প্রয়োজনে আজ এক হাজার ফেলে দাও, গণভবন রক্ষা করো। একথা শুনে সবাই নীরব হয়ে রইলেন কিছু সময়। প্রধানমন্ত্রীর এ কথাগুলোর সাথে তারা পরিচিত হলেও আজ তিনি ভিন্ন মাত্রায়, চড়া স্বরে কথা বলছেন। তার এসব আদেশ পালন করে তাকে বাঁচানো যাবে না।
ডিজিএফআই এবং আইজি রেহানাকে নিয়ে পাশের রুমে গেলেন। বুঝালেন, ৫/১০ হাজার মেরেও এ আন্দোলন আর দমন করা যাবেনা। আপনি ওনাকে বুঝান। রেহানা ধীর লয়ে মিটিংয়ে পুনরায় এসে বসে বড় বোনের কাঁধে হাত রাখলেন। এই প্রথম তাকে সামনে রাখা সেনাসদরের তৈরি করা পদত্যাগ পত্র রেখে স্বাক্ষর করার অনুরোধ করলেন। রেহানার চোখে পানি।
প্রধানমন্ত্রী আবারও রাগতঃস্বরে প্রত্যাখ্যান করে সেনাপ্রধানকে অথর্ব জাতীয় একটি শব্দ বললেন। বললেন, ‘আমার পিতা এ দেশেকে স্বাধীনতা দিয়েছে, সপরিবারে জীবন দিয়েছে। আমি এ দেশের জন্য কিছুই করি নাই? জামাত-বিএনপিকে এ দেশকে পাকিস্তান বানানোর সুযোগ দেয়া যাবে না।’
সবাই ঘড়ির দিকে তাকালেন। ডিজিএফআই বারবার রিপোর্ট নিলেন। ছাত্রজনতা বিশাল বিশাল উত্তাল মিছিল নিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসছে। সময় ফুরিয়ে আসলেও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে নমনীয় হওয়ার লক্ষণ নেই। সবার মুখে অভিব্যক্তি, এ অবস্থায় কী করা যায়!
এবার পাশের রুমে গিয়ে ডিজিএফআই বিদেশে থাকা সজিব ওয়াজেদকে ফোনে বুঝালেন, কিছুক্ষণের মধ্যে চারপাশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ গণভবনে পৌঁছে যাবে। সেনাবাহিনী গুলি চালালেও তাদের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষা করা যাবে না। সজিব বললেন, ঠিক আছে আমি আম্মুকে বুঝিয়ে বলছি। সজিবের ফোন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী একেবারেই স্থবির হয়ে গেলেন। মুখ কালো করে বললেন, আমি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবো। তখন বেলা দেড়টা। প্রায় সবাই একযোগে বলে উঠলেন, স্যার আমরা ভাষণ রেকর্ড করার সময় পাবো না। আমরা হয়তো খুব বেশি হলে জোর করে এক ঘন্টা ছাত্রজনতার রোড মার্চ ঠেকিয়ে রাখতে পারবো। ৪৫ মিনিটের মধ্যে আপনি রেডি হন। আপনার জন্য হেলিকপ্টার এবং বিমান রেডি।
রুমের বাহির থেকে এসএসএফ এর কয়েকজন হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসলেন এবং হেলিকপ্টার নামার কথা জানালেন। একপ্রকার জোর করেই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়া হলো। তাকে তার বেড রুমের দিকে নিয়ে যাওয়া হলো। এসময় এসএসএফ এর ওয়ারলেস এবং তাদের বুট জুতার ঠক ঠক আওয়াজ গণভবনে এক ভীষণ রকমের তাড়াহুড়া দেখা দিলো। রেহানা ইতোমধ্যে তার বোনের ১৪ টির মতো বড় বড় লাগেজ রেডি করে ফেললেন। কড়া প্রহরায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়ি হলিকপ্টারের দিকে এগিয়ে গেলো। তখন ঘড়ির কাটায় বিকেল আড়াইটা হয়ে গেছে। ছাত্রজনতা গণভবনের ভিতর ঢুকা শুরু করে দিয়েছে।
আমরা একই সাথে উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করছি যে ইতোমধ্যেই ভারতের গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ড. ইউনূসের জনপ্রিয় সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের পুরাতন স্টাইলে বিষোদগার করা শুরু হয়েছে। এই সরকারকে বিএনপি ও জামায়াতের পদাঙ্ক অনুসারী বলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বদনাম দেওয়া হচ্ছে। এদের এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসী হুঁশিয়ার। আগামীতে এসম্পর্কে আরো কথা সম্ভবত বলতে হবে।
Email: asifarsalan15@gmail.com