২০ জুন ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৬

সিন্ডিকেটে জিম্মি চামড়া

ট্যানারি মালিক ও আড়তদার সিন্ডিকেটে জিম্মি হয়ে পড়েছে কাঁচা চামড়ার বাজার। তারা ঠেকিয়ে দিয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন। ফলে এবারও সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়নি। শুধু তাই নয়, ট্যানারি মালিক ও আড়তদার সিন্ডিকেটের কারণে কোরবানিদাতারা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের অর্ধেকও পাননি।

বাধ্য হয়ে অনেকে স্থানীয় মাদরাসা ও এতিমখানার লোকজনকে বিনা পয়সায় কোরবানির পশুর চামড়া দিয়ে দিয়েছেন। আবার কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কমে চামড়া কেনার পরও লোকসান গুণেছেন। আড়তদাররা তাদের ইচ্ছেমতো দামে চামড়া কিনেছেন খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। লালবাগের পোস্তায় এক লাখ টাকা দামের একটি গরুর কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। আর দেড় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫৫০ টাকায় যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে চার থেকে পাঁচগুণ কম। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, চামড়া বিক্রি করে তারা ন্যায্য দাম পাননি। তারা বলছেন, কোরবানি হওয়া গরুর কাঁচা চামড়ার দাম প্রতিটি গত বছরের তুলনায় ঢাকায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বাড়লেও নির্ধারিত দামের চেয়ে অন্তত ৩০০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে এবারও কাঁচা চামড়া কিনতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে দেখা যায়নি। চামড়ার দাম কমে যাওয়ার পর গত কয়েক বছর ধরে তাদের দেখা যাচ্ছে না। অথচ কোরবানির সময় পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা কোরবানি দেয়ার আগেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া তাদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। কেউ বিক্রি করতে না চাইলে জোর করে কোরবানি দেয়া পশুর চামড়া নিয়ে যেতেন। বাজার পড়ে যাওয়ায় এবার ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে চামড়া ক্রয় করতে দেখা যায়নি।

সরেজমিন দেখা যায় পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তায় ঈদের দিন সোমবার বিকালে ও রাতে বড় এবং মাঝারি আকারের গরুর কাঁচা চামড়া সর্বোচ্চ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে বড় ও মাঝারি আকারের চামড়া ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হাজারীবাগ এলাকায়ও একই দরে চামড়া বিক্রি হতে দেখা যায়। যাত্রাবাড়ি, শনির আখড়ায় বড় গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি করতে দেখা যায়। অপরদিকে ছাগলের চামড়া কিনতে একেবারেই অনীহা দেখিয়েছেন আড়তদাররা। একেকটি ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ টাকায়।

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযোগ করেন, আড়তদারদের সিন্ডিকেট পুরো দেশের কাঁচা চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যে বর্গফুট হিসেবে চামড়া কিনছেন না। এতে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ পড়েছেন বিপাকে। অনেকে কেনা দরের চেয়েও ১০০ টাকা কমে আড়তদারের কাছে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে আড়তদাররা বলছেন, কিছু আনাড়ি মৌসুমি ব্যবসায়ী লোকসান গুনলেও বেশিরভাগ লোক কাঁচা চামড়া বিক্রি করে লাভ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির মালিক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, সার্বিকভাবে এবার কাঁচা চামড়া কেনাবেচা ভালো হয়েছে। বেশিরভাগ মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনে লাভবান হয়েছেন। লবণের দাম তুলনামূলক এবার কম থাকায় সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও ভালো হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ফড়িয়া, আড়তদার ও মৌসুমি ব্যবসায়ী সবার জন্য ভালো হয়েছে।

জানা গেছে, রাজধানীর লালবাগে পোস্তায় এবার কোরবানির ঈদে ১ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। তবে এসব চামড়ার মধ্যে গুটি পক্স, ভালোভাবে গোশত না ছাড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ নষ্ট হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। পোস্তার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চামড়া সংগ্রহ শুরু হওয়ার পরপরই অর্থাৎ ঈদের দিন বিকেল ৫টার পর থেকে চামড়া কেনাবেচা জমে ওঠে। ঈদের দিন গভীর রাত পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। ঈদের পর দিন এবং গতকাল বুধবারও চলছে বেচাকেনা। তবে পোস্তায় আড়তের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি বাজারে চামড়া আসার পরিমাণও কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার রাজধানীর কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় বাজার পোস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত আড়তদাররা।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি আফতাব খান জানান, পোস্তায় এ মৌসুমে ১ লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবারও কোরবানির পশুর চামড়া কিনেছেন।

মৌসুমি ব্যবসারীরা বলছেন, সবার পক্ষে চামড়ায় লবণ দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমরা দ্রুত কাঁচা চামড়া বিক্রি করে দেই। রাজধানীতে পোস্তা ছাড়াও ঈদের দিনে সায়েন্সল্যাব, যাত্রাবাড়ি, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, মিরপুর, গুলশান, বনানী, সাভার, হেমায়েতপুর, আমিনবাজার, জিঞ্জিরা, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন স্থানে কাঁচা চামড়া কিনেছেন আড়তদাররা।

এ বিষয়ে বিএইচএসএমএর সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, পরিবহনের দীর্ঘসূত্রতার কারণে কাঁচা চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য কিছু সরকারি বিধিনিষেধও রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ঈদের ১০ দিন পর থেকে ঢাকার বাইরে থেকে চামড়া রাজধানী শহরে প্রবেশ করতে পারবে। এর আগে অন্য জেলার পশুর চামড়া নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা যাবে না। গরুর চামড়ায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ার শঙ্কা আছে। গরুকে মোটাতাজাকরণ, এটা অনাকাঙ্খিত আনফরচুনেটলি। আমাদের কাছে কখনো এটা কাম্য নয়, আমরা এটা চাইও না। এইটা যদি প্রপার মনিটরিং করা হয়, কন্ট্রোল করা সম্ভব। তবে সর্বোপরি গোশত থেকে চামড়া ছড়ানো এবং গুটি পক্সের জন্য ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার শঙ্কা আছে।

চামড়ার আড়ৎদারদের সং গঠনের নেতারা বলছেন, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এবার বড় চ্যালেঞ্জ অতিরিক্ত গরম। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি এড়াতে দ্রুত লবণ ব্যবহারের পরামর্শ তাদের। পোস্তায় চামড়া সংগ্রহের পর লবণজাত করে সাভারের ট্যানারিগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

একজন আড়তদার জানান, সরকার নির্ধারিত দামে লবণযুক্ত চামড়া ফুট হিসেবে ফড়িয়াদের কাছ থেকে কেনা হচ্ছে। এখন যেসব চামড়া আসছে সেটা লবণ ছাড়া সে জন্য এ চামড়ার দাম প্রতিফুট লবণযুক্ত চামড়া থেকে ৫ থেকে ৭ টাকা কমে ব্যবসায়ীরা কিনছেন। তবে শহরের চামড়া সন্ধ্যা ৬টা এবং শহরের বাইরের চামড়া যদি রাত ১০টার মধ্যে পোস্তায় আনা যায় তাহলে পচন রোধ করা যায়। সেই সঙ্গে দামও ভালো হবে। সংরক্ষণের বিষয়ে তারা আরো বলেন, ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় প্রতিবছর অন্তত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কোরবানির চামড়া নষ্ট হয়। বর্তমানে গরম অনেক বেশি, এ ছাড়া জ্যামের কারণে চামড়া নিয়ে আসতেও অনেক সময় লাগে। তাই পোস্তা এলাকায় সবাইকে চামড়া না এনে নিজ নিজ এলাকায় লবণজাত করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। এবছর চামড়া ব্যবস্থাপনা আশা করছি ভালো হবে। সরকার এক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

জানতে চাইলে শাহাদাত অ্যান্ড কোম্পানির ডিরেক্টর মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পশুর চামড়ায় গুটি দাগের কারণে আমরা অনেক চামড়া কিনিনি। এর ফলে টার্গেট অনুযায়ী, ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ চামড়া কিনতে পেরেছি। গুটি যেটা পক্স বা করোনার কারণে আমাদের যে পরিমাণ কোরবানির কাঁচা চামড়া কেনার টার্গেট ছিল, সে পরিমাণ কিনতে পারিনি।

এদিকে ঢাকার বাইরে থেকে আসা চামড়ার দাম আরো খারাপ। চট্টগ্রামের এক মৌসুমি ব্যবসায়ী প্রতিটি চামড়া গড়ে ৫০০ টাকায় কিনেছেন। কিন্তু আড়তদারেরা সেই চামড়ার দাম দিতে চান প্রতি পিস ৪০০ টাকার কম। অর্থাৎ লোকসান প্রতি চামড়ায় ১০০ টাকা। এর সঙ্গে গাড়ি ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই। একইভাবে রংপুরের মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান জানান, তিনি মাঝারি গরুর প্রতিটি চামড়া গড়ে ৬০০ টাকা দরে কিনেছেন। কিন্তু আড়তদাররা তাকে ৫০০ টাকার বেশি দাম দেয়নি। যশোরেও স্থানীয় আড়তদাররা কাঁচা চামড়ার দাম বলছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কেনা দামের চেয়ে কম। তারা একেকটি গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৯০০ টাকায় কিনেছেন। লবণ দিতে আরও একশ’ থেকে ১৫০ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আড়তদাররা হাটে প্রতি পিস চামড়ার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে কম বলছে। দাম না থাকায় খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় বাজার যশোরের রাজারহাটে (চামড়ার বাজার) ঈদ পরবর্তী প্রথম হাট মঙ্গলবার (১৮ জুন) একেবারেই জমেনি। যশোরের মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরও দাবি, সরকার নির্ধারিত মূল্যে তারা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার বাজার বসে যশোরের রাজারহাটে। ঈদ পরবর্তী সময়ে তাই এ বাজারের দিকে নজর থাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীদের।

সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, গত বছর যা ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় বর্গফুটপ্রতি চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। অপরদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গত বছর যা ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে সর্বোচ্চ ৭ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বকরির চামড়ার দাম বর্গফুটপ্রতি বেড়েছে ৬ টাকা। তবে বাস্তবে খাসি ও বকরির চামড়ার দাম এবার বাড়েনি। এছাড়া সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, ঢাকায় মাঝারি আকারের ২৫ বর্গফুটের লবণযুক্ত চামড়ার দাম হওয়ার কথা ১৩৭৫ থেকে ১৫০০ টাকা। এই হিসাব থেকে লবণ, মজুরি ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২৫০ টাকা বাদ দিলে ওই চামড়ার আনুমানিক মূল্য দাঁড়ায় ১১২৫ থেকে ১২৫০ টাকা।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বেশি ছিল। সেবার গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। এরপর থেকে বিভিন্ন কারণে চামড়ার দাম ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। ২০১৭ সালের পর থেকে সিনিন্ডকেট করে কাঁচা চামড়ার দাম কমিয়ে দেয়া হয়। ২০১৯ সালে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে বড় ধরনের ধস নামে। ন্যূনতম দাম না পেয়ে দেশের অনেক অঞ্চলে সড়কে চামড়া ফেলে দেওয়া হয় অথবা মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।

৫ লাখ পিস চামড়া ট্যানারিতেঈদুল আজহার সঙ্গে সঙ্গে কোরবানির পশুর কাচা চামড়া ঢুকতে শুরু করে সাভারের হেমায়েতপুর অবস্থিত বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার বুধবার বিকাল পর্যন্ত দুই দিনে প্রায় ৫ লাখ পিস কাচা চামড়া ট্যানারিগুলোতে ঢুকেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) কর্তৃক আয়োজিত ঈদুল আজহা পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, সর্বশেষ আমাদের সাভার ট্যানারিতে প্রায় ৫ লাখ পিস চামড়া প্রবেশ করেছে। এবার দেশের রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রত্যেক জেলায় ডিলারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ করার ব্যবস্থা করেছি এবং লবণের মূল্য গতবারের চেয়ে কেজিতে দুই টাকা করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে কোথাও লবণ সংকটে পড়েছে এরকম রিপোর্ট পাইনি।

ট্যানারি মালিকরা জানান, ঈদের দিন দুপুর বেলা থেকেই অনেক মাদরাসা মসজিদ থেকে ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নিয়ে আসা শুরু করেছে। সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে অবস্থিত আব্দুল্লাহ লেদারের মালিক খালেক মিয়া বলেন, যারা চামড়া নিয়ে এসেছেন তাদের অনেকেই লবণ ছাড়া এখানে কাচা চামড়া নিয়ে এসেছে। আমরা চামড়া পরিষ্কার করে লবণ মাখিয়ে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি। কমপক্ষে দুই আড়াই মাস চামড়া এভাবে রাখা যাবে।চামড়া শিল্পনগরীর প্রস্তুতির বিষয়ে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ চামড়া ঢুকেছে ট্যানারিতে। আরও চামড়া ঢোকার সম্ভাবনা আছে।’

https://dailyinqilab.com/national/article/665978