১৪ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ১০:২৬

হার্টের রিং বিক্রিতে ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট

হৃদরোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীকে স্টেন্ট বা রিং স্থাপন করা হয়। এতে চিকিৎসকরা যত দ্রুত সম্ভব প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পরামর্শ দেন রোগী ও স্বজনদেরকে। ফলে রোগীর স্বজনদের স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে হয়। এসময়ে হার্ট বা হৃদযন্ত্রে যে স্টেন্ট বা রিং স্থাপন করা হয়, সেটির গুণ-মান সম্পর্কে রোগী বা তার স্বজনের জানার তেমন কোনো সুযোগ থাকে না। আসল বা নকল বুঝাও মুশকিল হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর মূল্য নিয়েও মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে না তাদের। এ অসহায়ত্বের সুযোগে দেশে হার্টের রিং নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য করছে এক শ্রেণির সরবরাহকারী ও চিকিৎসক।

সম্প্রতি রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে এক রোগীকে দু’টি রিং স্থাপন করা হয়। ওই রোগীর স্বজন (সম্পর্কে বেয়াই হন) মানবজমিনকে বলেন, ৯০ হাজার টাকায় ১টি এবং ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় অপর রিংটি নিতে হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চিকিৎসক পরামর্শ দেয়ার পর আমরা বেশি চিন্তা করার সুযোগ পাইনি।

কারণ ওই সময় মানসিকভাবে দুর্বল ছিলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার ও রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজশ করে এই সুযোগ নিয়েছেন। এই সময়ে আসল বা নকল যাচাই করাও কঠিন।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি হন কুষ্টিয়ার রহিমা বেগম। বয়স ৫৫ বছর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে পেসমেকার লাগাতে হবে। রহিমার স্বজনরা মানবজমিনকে জানান, এক লাখ টাকার পেসমেকার কিনতে হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। জার্মানি থেকে আমদানি করা এই পেসমেকার আমদানিকারক কোম্পানির প্রতিনিধিরা রোগীর স্বজনকে জানান, তাদের হাতে এখন অল্প পেসমেকার রয়েছে। যা চাহিদার চেয়ে কম। চাইলেও এলসি খোলা যাচ্ছে না। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তাদের মজুত শেষ হয়ে যাবে। তখন দাম আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে পরামর্শ দেন কোম্পানির লোকেরা।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা সিন্ডিকেট গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রসাধনী থেকে শুরু করে এমন কোনো পণ্য নেই যেটি বাংলাদেশে নকল হয় না। এমনকি হার্টের রিং-ভাল্ব পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ বিক্রি হচ্ছে। দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে আমরা ১৫০০ মানুষকে হার্টের চিকিৎসা দিতে পারি। কিন্তু প্রতিদিন ঢাকা সিটিতে হার্টের রোগী আসে ৫ থেকে ১০ হাজার। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মেডট্রোনিক, অ্যাবোট, বোস্টন সায়েন্টিফিক এবং জার্মানির বায়োট্রোনিকসহ মোট ৪টি কোম্পানির পেসমেকার ব্যবহার করা হচ্ছে। ডলারের দামের দোহাই দিয়ে পেসমেকার ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান হৃদরোগ ইনস্টিটিউিটের পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের একজন চিকিৎসক। তিনি বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসায় যে পণ্য ছিল এক লাখ, সেটি হয়ে গেছে দুই লাখ। পেসমেকার নিয়ে মধ্যবিত্ত রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক কোম্পানি কনসেন্ট মেডিকেলের এক বিক্রয় প্রতিনিধি মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে রিং সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে ২৭টি কোম্পানি থাকলেও রিং সরবরাহ করে মাত্র হাতেগোনা ৭-৮টি কোম্পানি। তিনি বলেন, আমেরিকার উৎপাদিত যে রিং ভারতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপিতে বিক্রি হয়, সেটি বাংলাদেশে (ইউএস-সিনার্জি এইচডি) বিক্রি হয় ১ লাখ ৮২ হাজার টাকা। ফলে অনেক রোগী ভারতে চলে যান বা চোরাই পথে নকল রিং চলে আসে দেশে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে মূলত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা চিকিৎসকদের মাধ্যমেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করোনারি স্টেন্ট বা হার্টের রিং সরবরাহ করে। রোগীর হার্টে একেকটি রিং স্থাপনের জন্য চিকিৎসকরা ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিশন নেন। কখনো কখনো কমিশনের একাংশ চলে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এতে রিংয়ের মূল্য বেড়ে যায়। অনৈতিক এ কমিশন বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ক্যাথল্যাবে দেখা গেছে, রোগীকে ক্যাথল্যাবে নিয়ে যাওয়ার পর বাইরে স্বজনরা অপেক্ষা করেন। চুক্তি অনুযায়ী চিকিৎসকই পছন্দের কোম্পানির স্টেন্ট বা রিং সরবরাহ ও খরচের কথা জানাচ্ছেন। ক্যাথল্যাবের পাশেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীরা অপেক্ষা করেন। পছন্দের চিকিৎসক চুক্তি অনুযায়ী কোম্পানির প্রতিনিধিকে ডেকে স্টেন্ট সংগ্রহ করছেন। এ প্রক্রিয়ায় রোগীর স্বজনদের পছন্দের সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ মৃত্যু হয় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ নানা অসংক্রামক রোগে। তার মধ্যে ২৫ শতাংশ মৃত্যু হয় শুধু হৃদরোগে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশে হার্টের রিংয়ের বার্ষিক বাজার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার। প্রতিবছর দেশে প্রায় ৩৫ হাজার স্টেন্ট বা রিং পরানো হয়। শুধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ৯ হাজার স্টেন্ট লাগানো হয়।

মূল্য পুনঃনির্ধারণ ওষুধ প্রশাসনের: হৃদরোগ চিকিৎসায় অতি গুরুত্বপূর্ণ মোট ২৩ ধরনের স্টেন্টের (রিং) দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। চলতি বছরে ২রা এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশের হার্টের রিং (স্টেন্ট) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, পোল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যালেক্স ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৬২ হাজার ৩৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬১ হাজার ৯২১ টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৫৯ হাজার ১১৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৭৩ হাজার ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৭৬ হাজার টাকার বদলে ৬৩ হাজার টাকায় এবং ওরসিরো মিশনের দাম ৮১ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের স্টেন্টের দাম ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫৬ হাজার টাকা, স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৮৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬২ হাজার টাকা, জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৮৩ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৬ হাজার টাকা এবং নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের স্টেন্টের দাম ৭১ হাজার ২০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৬৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ভারতে তৈরি স্টেন্টের দামও কমিয়েছে অধিদপ্তর। মেটাফোর ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৪৮ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ডের স্টেন্ট ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইম মর্ফ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫০ হাজার, বায়োমাইমের স্টেন্ট ৬৫ হাজার ৫৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৯১ হাজার টাকার বদলে ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরোর দাম ৯৬ হাজার ৭৩২ টাকার বদলে ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্টের দাম ৩৩ হাজার ৫৯২ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্স রিং ৭৬ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফার দাম ৮৯ হাজার থেকে ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডমের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে কমে ৬৮ হাজার করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০২৩ সালের ১৩ই ডিসেম্বর দেশে ব্যবহৃত ২৭টি কোম্পানির ৪৪ ব্র্যান্ডের হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ১৬ই ডিসেম্বর থেকে এ দাম কার্যকর হয়। এতে বলা হয়, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ এর ধারা ৩০ (১) অনুসারে হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হলো। কার্ডিয়াক চিকিৎসা দেয়া সব হাসপাতালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনুরোধ করা হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব হাসপাতালে নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের তালিকা প্রদর্শন করতে হবে। রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত না করার ব্যবস্থা নিতে হবে। হার্টের রিংয়ের নাম, খুচরা মূল্য এবং উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখ করে ক্যাশ মেমো দিতে হবে। রোগীকে ব্যবহৃত রিংয়ের প্যাকেট সরবরাহ করতে হবে। রিংয়ের প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদক রাষ্ট্রের নাম এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকতে হবে। যাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সে অনুসারে নির্দেশনা দিতে পারেন। রিংয়ের খুচরা দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।
বহুল ব্যবহৃত যেসব রিংয়ের দাম কমেছে সেগুলো হলো- পোল্যান্ডের অ্যালেক্স প্লাসের দাম ৬২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমে ৫৩ হাজার টাকায় নেমেছে। আয়ারল্যান্ডের জিয়েন্স প্রাইম ৭২,৫০০ টাকা থেকে কমে ৬৬,৬০০ টাকা হয়েছে। একই কোম্পানির জিয়েন্স এক্সপেন্ডিশন ১ লাখ ৮ হাজার ৬২৮ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং জিয়েন্স অ্যালপাইন ১ লাখ ৪৯ হাজার থেকে কমে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

জার্মানির জিলমুসের দাম ৬০ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। আয়ারল্যান্ডের মেডট্রোনিকের রেজোলুটে ওনিক্সের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা থেকে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আমেরিকার বোস্টন সায়েন্টেফিকের প্রোমুস প্রিমিয়ারের দাম ৭৫ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৭৩ হাজার টাকা, প্রোমুস এলিটের দাম ১ লাখ ১২ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৯৩ হাজার টাকা এবং একই কোম্পানির সিনার্জি ব্র্যান্ডের রিংয়ের দাম ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা থেকে কমে হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। সুইজারল্যান্ডের বায়োম্যাট্রিক্স নেওফ্লিক্সের দাম ৬২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৮ হাজার টাকা। একই কোম্পানির বায়োম্যাট্রিক্স আলফা ৮৬ হাজার টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। নেদারল্যান্ডসের অ্যালবুমিনাস ডিইএস প্লাসের দাম ৭২ হাজার টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫৪ হাজার টাকা।

সুইজারল্যান্ডের বায়োফ্রিডম ৬৫ হাজার, প্রি-কিনেটিক ১৫ হাজার টাকা, আইট্রিক্স ৩৬ হাজার টাকা, ওসিরা মিশন ৬৫ হাজার টাকা, আয়ারল্যান্ডের ডিইএসওয়াইএনসি ৫৫ হাজার, সুপরাফ্ল্যাক্স ৫৩ হাজার, জাপানের আল্টিম্যাস্টার ৬০ হাজার, স্পেনের এনজিওলাইট ৫৩ হাজার, আইভাসকুলার এনজিওলাইট ৫৩ হাজার টাকা, আইএইটি ডেস্টিনি ৫৩ হাজার টাকা, নেদারল্যান্ডের কমবো প্লাস ৫৩ হাজার টাকা, ভারতের বায়োমিমে ৪০ হাজার টাকা, এভারমাইন-৫০ ৪০ হাজার টাকা, মেটাফোর ৩৫ হাজার টাকা, জার্মানির সিসি ফ্লাক্সে ১৫ হাজার টাকা, ইকা লিমুস ৫৩ হাজার টাকা, ইউকোন চয়েজ পিসি ৫৩ হাজার টাকা, অর্থস পিকো ১৫ হাজার টাকা, আবিরস ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্লিক্স আইএসআইআর ৫৩ হাজার টাকা, ম্যাগমা ৩৭ হাজার টাকা।

সুনা স্ট্যান্ট ১৪ হাজার টাকা, যুক্তরাষ্ট্রের কোবাল্ট ক্রোমিয়াম ৫৫ হাজার টাকা, ডিরেক্ট স্ট্যান্ট সিরো ৫৫ হাজার টাকা, ডিরেক্ট স্ট্যান্ট ২০ হাজার টাকা, দক্ষিণ কোরিয়ার জিনোস ডিইএস ৪৫ হাজার টাকা, ইতালির অ্যাভেন্টগার্ড ১৫ হাজার টাকা, সিআরই-৮ ৫৩ হাজার টাকা, পোল্যান্ডের অ্যালেক্স ৫৩ হাজার টাকা, ফ্রান্সের অ্যামাজোনিয়া ৫৩ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল ডিভাইস ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এবং বিএমএ ভবনের দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি, মেডি ফেয়ারের কর্ণধার হাজী মো. রিয়াজুল ইসলম (দীপক) মানবজমিনকে বলেন, ডলার সংকটের কারণে রিংয়ের দাম বাড়ছে। তবে দাম বাড়ানোর পেছনে এখানে আরও বিভিন্ন গ্রুপও কাজ করে। সেই বিষয়টি দেখতে হবে। কোনো পরিবারে যখন হার্টের মারাত্মক রোগী থাকে তখন স্বজনরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এই দুর্বলতা কাজে লাগান এই সিন্ডিকেট।

https://mzamin.com/news.php?news=114357