৪ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:৩০

খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১১ শতাংশ ছুঁই ছুঁই

মূল্যস্ফীতির হার ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

লাগাম টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না জীবনযাত্রার ব্যয়। অব্যাহতভাবে বেড়েই চলছে মূল্যস্ফীতির হার। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট মানুষ। গত মে মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯.৯৮ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৯.৭৪ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার বেড়ে এখন ১০.৭৬ শতাংশ। এটাও এপ্রিলে ছিল ১০.২২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এসব জানা গেছে।

বিবিএস গতকাল এই তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, গ্রাম ও শহর সবখানের মানুষকে চড়াদামে খাদ্যসামগ্রী কিনতে হচ্ছে। শহরের সাথে গ্রামের পণ্যমূল্যের পার্থক্য নেই। মূল্যস্ফীতির হারের নিচে পিষ্ট মজুরি হারও। মে মাসে এই মজুরি সূচক ছিল ৭.৮৮ শতাংশ।

পয়েন্ট টু পয়েন্টে জাতীয় মূল্যস্ফীতির হার খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর গত ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত খাতে এই হার মে মাসে কমে হয়েছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

গত মে মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশে। যা এপ্রিল মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এমনকি গত বছরের মে মাসেও ছিল ৯ দশমিক ৮৪ শতাশং। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশে। গত এপিলে ছিল ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাশং। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশে, যা এপ্রিল মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছর মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা এপ্রিলে ছিল ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের মে মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ০১ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, গত এক বছরের (জুন ২০২৩ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি নিরূপিত হয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। পূর্ববর্তী একই সময়ে (জুন ২০২২ থেকে মে ২০২৩ পর্যন্ত) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল শতকরা ৮.৮৪ ভাগ। এটি অনেক বেড়েছে। সারা দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাট-বাজার হতে নির্ধারিত সময়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহপূর্বক অনলাইনে ও জরুরি ডাক/কুরিয়ার/বাহকের মাধ্যমে মূল্য ও মজুরি শাখায় প্রেরণ করা হয়েছে। ওই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মে ২০২৪ মাসের বর্ণিত সূচকগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্ণিতাবস্থায়, মে ২০২৪ মাসে জাতীয় পর্যায়ে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৯.৮৯ ভাগ।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/840060