১৫ মে ২০২৪, বুধবার, ১:১৫

ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার

দেশে চলমান ডলার সংকটের উত্তরণ না হওয়ায় দিনদিন কমছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ। এরই মধ্যে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে গত দুই মাসের (মার্চ ও এপ্রিল) ১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল নিষ্পত্তি হয়।

এতে গতকাল সোমবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে। এদিকে প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। আগামী জুন শেষে এই অঙ্ক ১৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক গত দুই মাসে ১৬৩ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করেছে। এতে রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। তারপরও বর্তমানে দেশের নিট রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ প্রায় ১৮ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে। যদিও এখন তা প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের কম।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ থাকতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের তিন মাসের ব্যয় মেটাতে প্রয়োজন অন্তত ১৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ তিন মাসের খরচ মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডলার মজুদ নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।

https://timenewsbd.net/zrjLdI6z42gqiOAJ/