১২ মে ২০২৪, রবিবার, ৫:৫৫

পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে, বাড়তি চাপ মুদ্রাস্ফীতিতে

-ড. মো: মিজানুর রহমান

ঋণের সুদ নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়ে প্রতি মাসে ঋণের সুদ বাড়ছে। বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা। বহুল আলোচিত ‘৯-৬ সুদহার’ উঠিয়ে নেয়ার পর ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এখন আমানতের ওপর সুদের হারও বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতেও ব্যাংকে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মার্চে বেড়ে হচ্ছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। আর ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণের সুদহার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে যাচ্ছেন বেসরকারি বিনিয়োগকারী ও ভোক্তারা। বিনিয়োগাকারীরা তাদের ব্যবসার ব্যয় ঠিক রাখতে পারছেন না। এতে বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের উৎপাদন ব্যয়। আর পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাজারে পণ্যের দামও বাড়তে থাকে। ফলে বেকায়দায় পড়ে যাচ্ছেন ভোক্তারা।

এ দিকে ঋণের সুদ বেশি বেড়ে যাওয়ায় সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট পদ্ধতিতে ঋণের সুদের ভিত্তি হার নির্ধারিত হয়। তার সাথে যুক্ত হয় বাড়তি ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ। এ দুইয়ে মিলে ঋণের চূড়ান্ত সুদহার নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো। মার্চে স্মার্ট হারের সাথে বাড়তি যুক্ত হবে সাড়ে ৩ শতাংশ সুদ। এর পরও সুদের হার বেড়ে চলেছে।

চাপে পড়ছে ব্যাংকও। সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে ঋণের চেয়ে আমানতের প্রবৃদ্ধি কম। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সঞ্চয় কমিয়ে দিয়েছেন মানুষ। আবার করোনার কারণে দুই বছর ঋণ পরিশোধে ছাড় পাওয়ায় ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায়ও কমে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে ঋণ দেয়ার মতো তহবিল কমে এসেছে। আবার শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সঙ্কটে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামতো টাকা জমা রাখতে পারছে না। বেশি তারল্য সঙ্কটে থাকা কোনো কোনো ব্যাংক ১২ শতাংশ সুদেও আমানত নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সুদহার বেড়ে যাওয়ায় তারল্য সঙ্কট আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ঋণের কিস্তি পরিশোধের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অনেক ঋণগ্রহীতার কিস্তি অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে। কারণ, সুদহার বেড়ে গেলে গ্রাহকের কিস্তির পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক গ্রাহক ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করেন। এমনিতে ঋণ আদায় কমে গেছে। এখন সুদ হারের কারণে তা আরো কমতে পারে। অন্য দিকে, শিল্প উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা এক প্রকার কঠিন সময় পার করছেন। অনেকে লোকসানের ধকল কাটাতে না পেরে ব্যবসায় বন্ধ করে দিচ্ছেন। ব্যবসায়ী এমনকি ব্যাংকারদের মতে, সুদহার সহনীয় থাকলে ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো হয়। কারণ, সুদহার বেড়ে গেলে ব্যবসার খরচ বাড়ে। এতে গ্রাহকের কিস্তির পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক গ্রাহক ঋণ পরিশোধে বিলম্ব করেন। এমনিতে ঋণ আদায় কমে গেছে। এখন সুদহারের কারণে তা আরো কমতে পারে।
শিল্পাঞ্চলে জ্বালানি সঙ্কট ও উচ্চ ট্যারিফজনিত ব্যয়

শিল্পমালিকরা বলেছেন, ২০২৩ সালের শুরু থেকে গ্যাসের দাম ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া রুটিন সমন্বয়ের অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়িয়ে বিদ্যুতের দাম দুইবার বাড়ানো হয়েছে। ব্যয়বহুল জ্বালানি সব ধরনের শিল্পকে প্রভাবিত করে, কিন্তু ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা লাগে। প্রায় ৪০ কোটি টাকা বার্ষিক রফতানিমূল্যের একটি ছোট কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিলের ব্যয় প্রায় ৬০ লাখ টাকা। কারখানার মালিকদের মতে, এক বছর আগের তুলনায় তাদের বিদ্যুৎ বিল ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এমনকি অনেক ছোট কোম্পানি স্রেফ কারখানা সম্পূর্ণ সক্ষমতায় চালানোর জন্য আগের তুলনায় কম দামে অর্ডার নিচ্ছে।

বেশি বিল পরিশোধের পরও বিদ্যুতের লোডশেডিং হওয়া এবং পর্যাপ্ত গ্যাস না পাওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, আশুলিয়া এলাকায় কারখানাগুলো আট উৎপাদন ঘণ্টার মধ্যে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়ছে। নির্মাতাদের একার পক্ষে দাম সামঞ্জস্য করা খুব কঠিন হবে। কারণ বাড়তি ইউটিলিটি খরচ এবং মজুরি ব্যয় তাদের একটি কঠিন পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে। দাম বাড়ানোর পরও সরকার নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না। গ্যাস না পাওয়ায় অনেকের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। শিপমেন্টের সময়সূচি মিস হওয়ায় অনেক ক্রেতা বিমানে পণ্য পাঠানোর জন্য চাপ দেন। আবার অনেকে ডিসকাউন্টের দাবি করেন; যা শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়। অনেক সময় হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কারণে অতিরিক্ত ক্ষতির সম্মুখীন হন শিল্পমালিকরা, যা তাদের মূলধন বিনিয়োগে প্রভাব ফেলে। হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যার কারণে অনেক কারখানার ইউনিটগুলো অনেক সময় বন্ধও রাখতে হয়। ওই সব যন্ত্র মেরামতে এক কোটি টাকা খরচ করতেও হতে পারে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগির গ্যাস সঙ্কটের কোনো সুরাহা হবে না। তারা বলছেন, ডলার সঙ্কটে চাহিদা মেটাতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। অভ্যন্তরীণ গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সুফল পেতে অন্তত দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ফলে এ বছর ছাড়াও আগামী দুই বছর গ্যাসসঙ্কট অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। সরকার গ্যাস রেশনিংয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর মতে, দেশে গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আরো দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কাজ চলছে।

টিকে থাকার পথ খুঁজছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান
শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যয় মোকাবেলা ও খরচ সাশ্রয়ে বিকল্প বিভিন্ন উপায়ের চেষ্টা করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেনিম থেকে শুরু করে প্যাকেজিং, সাইকেল, গাড়ির ব্যবসার সাথে যুক্ত উদ্যোক্তারা জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটরে কৌশলগত বিনিয়োগ করেছেন। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ব্যয় মোকাবেলার লক্ষ্যে নেয়া পদক্ষেপটি লাভজনক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। রোবোটিক্সসহ দক্ষ যন্ত্রপাতি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে অনেক কোম্পানি উৎপাদনের মাত্রা ধরে রাখা বা এমনকি বাড়ানোর পাশাপাশি জ্বালানি, পানি ও জনশক্তির ওপর আগের তুলনায় কম খরচ করছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিদেশী ঋণ খুঁজছে, কারণ সেগুলোর সুদহার স্থানীয় ব্যাংকগুলোর তুলনায় কম। বৃহৎ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো এক ইউনিটের লোকসান পুষিয়ে নিচ্ছে অন্য ইউনিটের মুনাফা থেকে। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। পণ্যের দাম বাড়ালে এ উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে গ্রাহক হারানোর আশঙ্কায় কিছু নির্মাতা দাম বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য করতে প্যাকেজ করা পণ্যের ওজন কমানোর পথ বেছে নিয়েছেন। মূল্যস্ফীতির কারণে মজুরির চাপ উৎপাদন খাতের জন্য অতিরিক্ত ব্যয়-উদ্বেগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে এসব কোম্পানি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে কম খরচে ঋণ গ্রহণের মতো বিভিন্ন বিকল্প পথও অবলম্বন করেছে।

এভাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো ন্যূনতম লাভ বজায় রাখার এবং উচ্চমূল্যের ডলার, জ্বালানির ট্যারিফ বৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান সুদহার ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে মজুরির চাপ মোকাবেলার পথ খুঁজে নিচ্ছে। স্থানীয় এবং রফতানি বাজার উভয়ের নির্মাতারা একই ধরনের সঙ্কটে রয়েছে। কিন্তু চাপ রফতানি খাতগুলোতে বেশি। কারণ এগুলো অভ্যন্তরীণ বাজারের বিক্রেতাদের মতো বৈশ্বিক ক্রেতাদের ওপর অতিরিক্ত ব্যয় চাপাতে পারে না।

পোশাক ও টাইলস শিল্পের উদ্যোক্তাদের গ্যাস বিলে গত বছরের তুলনায় এক বছরে ১৪৩ শতাংশ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। উচ্চ সুদহার এবং কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের উচ্চমূল্যসহ অন্যান্য আর্থিক ব্যয় ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়েছে। একটি টেক্সটাইল প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে তারা ৬৫ শতাংশ সক্ষমতায় তাদের কারখানা পরিচালনা করেছেন, যা তাদের পরিচালন ব্যয়ও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিকে, তারা ব্যাংক ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে তাদের নির্ধারিত আর্থিক খরচ কমাতে কিছু বন্ড ইস্যু করেছেন। বর্তমান সুদের হার প্রায় ১৪ শতাংশ, যেখানে গত বছরের জুনে ছিল ৯ শতাংশ।

টিবিএসের মতে, কাঁচামালের দাম বাড়ছে, ইউটিলিটি মূল্য গত বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা তাদের পরিচালন ব্যয়ের প্রায় ৫ শতাংশ। এ ছাড়া ব্যাংক সুদের হারও বাড়ছে। তারা পরিচালন ব্যয়, অতিরিক্ত ব্যয় এবং মুনাফা কমিয়ে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে তাদের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন। দ্রুত ভোক্তাপণ্য নির্মাতাদের লাভের পরিমাণ বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। স্থানীয় অর্থায়নের উচ্চব্যয় প্রশমিত করতে অনেকে অভ্যন্তরীণ সুদ হারের তুলনায় কম সুদের কারণে বিদেশী ঋণের দিকে ঝুঁকছেন। স্থানীয় ভোক্তাপণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের দাম বাড়ানো এবং পণ্যের ওজন কমানোর মতো কৌশল বাস্তবায়ন করে ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ সমন্বয় সত্ত্বেও, তাদের লাভের মার্জিন সঙ্কুচিত হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাচ্ছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তারা কম খরচ করছেন।

বিজিএমইএর মতে, গত সাত মাসে পোশাক রফতানিকারকদের তিনটি প্রধান রফতানি পণ্যের দাম হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে টি-শার্টের ১৭ শতাংশ এবং স্যুয়েটারের রফতানিমূল্য ১৪ শতাংশ কমে গেছে। টিবিএসের প্রতিনিধি বলেন, দাম কমার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের বিক্রি গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমেছে। যেমন চিনো প্যান্টের দাম গত বছর ১৭ থেকে ১৮ ডলার ছিল। কিন্তু ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন একই পণ্য ১০ ডলারে কেনার প্রস্তাব করছে। একই সময়ে ক্রেতারা একটি বেসিক টি-শার্টের জন্য এক ডলার প্রস্তাব করছে, যা এক বছর আগে এক ডলার ৪০ সেন্ট ছিল। বিজিএমইএর এ নেতা বলেন, কারখানাগুলো তাদের আর্থিক প্রবাহ বজায় রাখতে অর্ডারের সম্পূর্ণ সক্ষমতা বুকের চেষ্টা করছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এর ফলে তাদের ব্যাংক দায় বেড়ে যাচ্ছে। রফতানিকারকদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ক্রেতাদের দাম কমানোর একটি বড় কারণ। অতিরিক্ত দায়বদ্ধতার ঝুঁকি এড়াতে কিছু কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে না এবং ভালো সময়ের অপেক্ষা করছে।

এক কথায়, ডলার ও গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং শ্রমিক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সব ব্যবসার খরচ বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে ডলারের দাম একবারে ১১০ থেকে এখন ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুদহার বাড়ানোয় আরো চাপে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শেষ পর্যন্ত সব চাপ গিয়ে পড়বে ভোক্তাদের ওপর। মাঝখানে কিছু ব্যবসায়ী ক্ষতিতে পড়বেন। স্মরণযোগ্য যে, মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। তবে এত চাপ একসাথে নেয়া কঠিন হচ্ছে ব্যবসায়ীদের জন্য। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ অব্যাহত থাকছে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com

https://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/834260